সেনা দিবসের প্রদর্শনীতে ড্রোনের আত্মপ্রকাশ, শক্তিশালী ড্রোনের দিকেই ঝুঁকছে ভারত
সেনা দিবসে সেনা বাহিনী দেশের মানুষের সামনে আনল ড্রোনের দাদাগিরি। সেনা আধিকারিকার কথা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় নতুন ড্রোনগুলিকে। যা সেনার দক্ষতাকে আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। শুক্রবার সেনা দিবসের কুচকাওয়াজে ড্রোনের প্রদর্শনির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। সেখানে দেখা যায় উন্নত প্রযুক্তির ড্রোনগুলি কোন কোন কাজে ভারতীয় সেনা জওয়ানরা ব্যবহার করতে পারে।
- FB
- TW
- Linkdin
সেনা দিসবের কুচকাওয়াজে সেনাবাহিনী কুচকাওয়াজের সময় এদিন ৭৫টি ড্রোনের প্রদর্শন করে। এই ড্রোনগুলি প্রতিপক্ষের বিমানের ওপর নজরদারী চালাতে সক্ষম। সোনা বাহিনীর তরফে জানান হয়েছে ড্রোনগুলি অতি উচ্চ এলাকায় রসদ সবরাহসহ একাধিক কাজে যেমন ব্যবহার করা যায় তেমনই ব্যবহার করা যায় উদ্ধারকাজে।
২১ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে ভারত। আর সেই কারণেই ভারতীয় সেনা বাহিনীর হাতে রয়েছে প্রচুর আধুনিক সমরাস্ত্র। যারমধ্যে রয়েছে আর্টিলারি ইনটেলিজেন্স, অটোমেশন ওয়েপেনস সিস্টেম, রোবট, ক্লাউড কমপিউটিং সিস্টেম।
প্রদর্শনের সময় জানান হয়েছে ড্রোনগুলি শক্রপক্ষের দিকে ৫০ কিলোমিটার অবধি প্রবেশ করতে পারে। সেখানে তাণ্ডবলীলাও চালাতে সক্ষম। কিন্তু এই সময় ড্রোনের অপারেটরদের জীবন হানির কোনও ভয় থাকছে না। তাঁরা নির্বিঘ্নে সেনা ছাউনিতে বসেই কাজ করতে পারে।
যুদ্ধের যেকোনও চ্যালেঞ্জ মোকিবালিয় ভারত আগামী দিনের জন্য প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন সেনা প্রধান এমএম নারাভানে। আর সেক্ষেত্রে ভারত চাইছে স্বাবলম্বী হতে। সেই কারণে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার ৩২ হাজার কোটি টাকার একটি চুক্তি করেছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সেনা প্রধান বলেছেন, আত্মনির্ভাব ভারত গঠনে মুখ্যভূমিকা পালন করবে দেশীয় বেসরকারি সংস্থা, ক্ষুদ্র মাঝারি কুটির শিল্প ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। আর সেক্ষেত্রে বিদেশ থেকে কোনও কিছু আমদানির হ্রাস করা হবে।
আগামী দিনে ভারতেও চিনা, আমেরিকা, রাশিয়ার মত ড্রোন প্রযুক্তিতে উন্নতির চেষ্টা করছে। মেকিং ইনন্ডিয়ার প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে ড্রোনের উন্নয়ন উদ্যোগরে সরকার দুইভাবে সমর্থন করছেন। এক ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর পরবর্তী প্রজন্ম প্রয়োজনীয় দিকে যেমন লক্ষ্য রাখা হচ্ছে, তেমনই উন্নয়ন প্রকল্পগুলির দিকেও লক্ষ্য রাখা হচ্ছে।