রাম সেতুর রহস্যভেদ হবে, জলের তলায় গবেষণার অনুমতি আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার
রাম সেতু নিয়ে রহস্য ভেদ করতে উদ্যোগী হল ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। সেতুটির বয়স ও সেতু সম্পর্কি একাধিক তথ্য জানতে জলের তলায় পরীক্ষা চালানোর অনুমতি দিয়েছে। ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অব ওশানোগ্রাফি,গোয়ার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই এই প্রকল্পের কাজ করা হবে বলেও জানিয়েছে আর্কিওলজির সেন্ট্রাল অ্যাডভাইরারি বোর্ড।
- FB
- TW
- Linkdin
রাম সেতুর বয়স জানতে গবেষণা ও পর্যবেক্ষণের অনুমতি দিয়েছে ভারতের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া। গোয়ার ন্য়াশানাল ইনস্টিটিউট অব ওশানওগ্রাফির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগেই এই আন্ডারওয়াটার প্রজেক্টটি সম্পন্ন করবে।
রাম সেতু তামিলনাড়ুর পাম্বান দ্বীপ যা রামেশ্বরম দ্বীপ আর শ্রীলঙ্কার মান্নার দ্বীপের মধ্যে একটি শৃঙ্খল। অতীত ভূতাত্বিক প্রমাণ অনুযায়ী এই শৃঙ্খলটি ভারত ও শ্রীলঙ্কার মধ্যে প্রাচিনকালের ভূমি সংযোগের একটি চিহ্ন।
এনআইওর পরিচালক অধ্যাপক সুনীল কুমার সিংহ জানিয়েছেন, গবেষণাটি ভূতাত্বিক সময়, অন্যান্য সহায়ক পরিবেশগত তথ্যের সঙ্গে সম্পর্কিত প্রত্নতাত্ত্বিক বিষয় ও রেজিওমেট্রেক পর্যবেক্ষণের ওপর ভিত্তি করে হবে। থার্মোলুমিনেসন্সের সাহায্য নেওয়া হবে।
৪৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির বয়স জানতে রেডিওমেট্রিক কৌশল ব্যবহার করা হবে।
বর্তমান সময়ে দাঁড়িয়ে এই প্রকল্পটি ধর্মীয় ও রাজনৈতিক গুরুত্ব রয়েছে। পুরাণ অনুযায়ীয় সীতাকে অপরহণ করে লঙ্কায় নিয়ে গিয়েছিল রাবণ রাজা। তাঁকে উদ্ধার করার জন্যই শ্রীরামচন্দ্র লঙ্কায় যাত্রা করেন। সেই সময় সমুদ্র পার হওয়ার জন্য পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছিল সেতুটি।
জলস্তরের ৩৫-৪০ মিটার নিচে রয়েছে সেতুটি। আর সেখান থেকে পলির নমুনা সহ একাধিক তথ্যে সংগ্রহের জন্য সিন্ধু সাধনা বা সিন্ধু সংকল্প জাহাজ ব্যবহার করা হবে। গবেষণায় রামসেতুর আশেপাসে অন্য কোনও পরিকাঠামো রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হবে।