PM-CARES-এর টাকাতেই টিকা পাবেন ৩ কোটি ফ্রন্টলাইনার, তহবিলের উৎস যদিও আজও বিতর্কিত
করোনাভাইরাস মহামারির মোকাবিলায় তৈরি করা হয়েছিল পিএম-কেয়ার্স তহবিল। যা নিয়ে পরবর্তীকালে বিস্তর রাজনৈতিক বিতর্কও হয়েছে। এবার সেই তহবিলের টাকাই স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এবং অন্যান্য ফ্রন্টলাইন কর্মীদের কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য ব্যয় করা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। যদিও এই তহবিলের উৎস নিয়ে আজও রয়েছে বিতর্ক।
- FB
- TW
- Linkdin
২০২০ সালের মার্চ মাসে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব যখন ভারতে ক্রমে বাড়ছে, সেই সময় তৈরি করা হয়েছিল পিএম-কেয়ার্স তহবিল। এর প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল, কোভিড-১৯ মহামারির ফলে তৈরি হওয়া জরুরি অবস্থার মোকাবিলা করা এবং ক্ষতিগ্রস্থদের ত্রাণ প্রদান। সেই সময় থেকে অনেকগুলি দিন কেটে গিয়েছে। ভারতে করোনার দাপট শিখর ছুঁয়ে এখন বেশ কমের দিকে। সেইসঙ্গে, আগামী ১৬ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে কোভিড-১৯ টিকাকরণ অভিযান। সিরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভাক্সিন-কে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে।
এই ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মী এবং কোভিড মোকাবিলায় প্রথম সারিতে থাকা অন্যান্য কর্মীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যাটা আনুমানিক তিন কোটি। সোমবার, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, এই টিকাকরণ অভিযানের প্রথম পর্যায়ে যে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত এক কোটি কর্মী এবং দুই কোটি অন্যান্য ফ্রন্টলাইন কর্মীদের টিকা দেওয়া হবে, তার সব ব্যয়ভার বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার। এই খরচ পিএম-কেয়ার্স তহবিল থেকেই করা হবে বলে সূত্রের খবর।
এর আগে বারবারই কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি পিএম-কেয়ার্স তহবিল নিয়ে বিজেপি সরকারকে আক্রমণ করেছে। কার কাছ থেকে কত টাকা অনুদান নেওয়া হয়েছে, তা জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানিয়েছে। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি তো এই তহবিলে চিনা সংস্থার থেকেও অনুদান নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন। এতে করে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে বলেও দাবি করেছিলেন।
তবে মোদী সরকার এই বিবরণ প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছে। তারা সাফ জানিয়েছে এই তহবিল সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত নয়, তাই জনসমক্ষে তার বিবরণ প্রকাশ করার প্রশ্ন নেই। অনুদানের বিশদ না দিলেও এই তহবিলের অর্থ শুধুমাত্র কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলার কাজেই ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে কেন্দ্র।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ গত অগাস্টে জানিয়েছিলেন, তখনও পর্যন্ত করোনা মোকাবিলায় পিএম-কেয়ার্স তহবিল থেকে ৩,১০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। কোভিড রোগীদের জন্য ৫০,০০০ ভেন্টিলেটর কিনতে খরচ হয়েছে ২ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া, পরিযায়ী শ্রমিকদের সহায়তায় এক হাজার কোটি টাকা এবং ভ্যাকসিন বিকাশের গবেষণার জন্য ১০০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মন্ত্রী। এবার টিকা কেনার জন্যও এই তহবিল থেকেই টাকা খরচ করা হতে পরে।