- Home
- India News
- লাদাখ সীমান্তে এবার লালফৌজের মোকাবিলায় 'রক্ষাকবচ' হাজির সেনার হাতে, রুখবে আধুনিক মারণাস্ত্রের গুলিও
লাদাখ সীমান্তে এবার লালফৌজের মোকাবিলায় 'রক্ষাকবচ' হাজির সেনার হাতে, রুখবে আধুনিক মারণাস্ত্রের গুলিও
- FB
- TW
- Linkdin
লাদাখ সীমান্তে এবার লালফৌজের মোকাবিলায় 'রক্ষাকবচ' হাজির সেনার হাতে, রুখবে আধুনিক মারণাস্ত্রের গুলিও
নিজের জীবন বাজি রেখে শত্রুপক্ষের মোকাবিলা করতে হয় ভারতীয় জওয়ানদের। যে কোনও মুহূর্তে ঘটে যেতে পারে চরম পরিণতি। তাই সেনা জওয়ানদের প্রাণের কথা ভেবেই তাঁদের নিরাপত্তায় আরও জোর দিতে চাইছে কেন্দ্র।
চিন সীমান্তে উত্তেজনার মাঝে আধুনিক সমরাস্ত্রে সজ্জিত হচ্ছে সেনা বাহিনী। এবার লাদাখ সীমান্তে চিনের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সেনাদের জন্য বিশেষ বুলেট প্রুফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করল ভারত সরকার।
এবার সেনা জওয়ানদের সুরক্ষাতেই নতুন বুলেট প্রুফ জ্যাকেটের ব্যবস্থা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অভিনব জ্যাকেটগুলি তৈরি করছে ভাবা অ্যাটোমিক রিসার্চ সেন্টার। নতুন এই জ্যাকেটের নাম 'ভাবা কবচ'। এর পরে থাকলে একে-৪৭ রাইফেলের গুলিও ভেদ করবে না বলে জানিয়েছে বিএআরসি।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অনুরোধ মেনে নিরাপত্তা জওয়ানদের জন্য এই রক্ষাকবচ তৈরি হয়েছে বার্কের ট্রম্বে সেন্টারে। এই বুলেটপ্রুফ জ্য়াকেট এতটাই মজবুত যে, এসএলআর, ইনসাস রাইফেল থেকে ছুটে আসা গুলিও রুখে দেবে।
হায়দরাবাদের মিশ্র ধাতু নিগম মিধানিতে তৈরি করা হচ্ছে এই নতুন ধরনের জ্যাকেট। জানা গেছে, এই বুলেট প্রুফ জ্যাকেট আন্তর্জাতিক গুণমান বজায় রেখে তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পরীক্ষা করার জন্য কয়েকটি জ্যাকেট প্যারা মিলিটারি ফোর্সকে দেওয়া হয়েছে।
এতদিন বুলেট প্রুফ জ্যাকেটের প্রতিটি আমদানি করতে খরত হক দেড় লক্ষ টাকা। সেখানে ভাবা কবচ-এর দাম পড়ছে ৭০হাজার টাকা। ওজনও সেগুলির প্রায় অর্ধেক হালকা বলে সুরক্ষাকর্মীদের ব্যবহার করতেও সুবিধা হয়।
বার্ক-এর বৈজ্ঞানিকরা জানিয়েছেন, ভাবা সুরক্ষা কবচের ওজন ৬-৭ কেজির মধ্যে, সেখানে বিদেশ থেকে অর্ডার করে আনা জ্যাকেটের ওজন ১৭ থেকে ২০ কেজি।
বার্কের ৫ বিজ্ঞানীর একটি টিম এক বছর ধরে ভাবা জ্যাকেট নিয়ে কাজ করেছেন। ২০১৫-১৬য় শুরু হওয়া এই প্রজেক্টের আওতায় স্বদেশী জ্যাকেটের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখছে সিআরপিএফ, ইন্দো-তিব্বত বর্ডার পুলিশ, সিআইএসএফের টিম। জম্মু ও কাশ্মীরে মোতায়েন সেনাবাহিনীর উত্তর কম্যান্ডও এই জ্যাকেটের বিশেষ সংস্করণ পরীক্ষা করছে। এপর্যন্ত ৩০-এর বেশি পরীক্ষায় উতরে গিয়েছে ভাবা কবচ।
মিধানিতে তৈরি হওয়া এই বুলেট প্রুফ জ্যাকেটকে এরই মধ্যে ছাড়পত্র দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও।
এবার তাই ‘ভাবা কবচ' নামের এই লাইফ সেভিং জ্যাকেট পরা থাকলে সীমান্তে অনেকটাই নিরাপদ থাকবেন ভারতের বীর জওয়ানরা।
মিধানির চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সঞ্জয় কুমার ঝাঁ বলেছেন, 'এই বুলেট প্রুফ জ্যাকেট প্রচুর সংখ্যক বানানোর জন্য আমাদের প্রযুক্তি ও কাঁচামালের সরবরাহ রয়েছে। আমরা এই জ্যাকেট তৈরিতে উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করছি।'
নিরাপত্তাবাহিনীর চাহিদা, প্রয়োজনমতো তিন আলাদা আলাদা ধরনের সুরক্ষা কবচ বানানো হয়েছে। হার্ড বোরোন কার্বাইড সিরামিক্স পলিমারের সঙ্গে কার্বন ন্যানো টিউব ও কম্পোজিট পলিমার মিশিয়ে তৈরি হয়েছে তা। বার্ক তাদের পরমাণু চুল্লিতে বোরোন কার্বাইড ব্যবহার করে।
বুলেট প্রুফ জ্যাকেট ছাড়াও সেনা বাহিনীর নিরাপত্তায় এবার বুলেট প্রুফ যানও তৈরি করা হচ্ছে। সেইসঙ্গেই তৈরি করা হয়েছে বিশেষ ধরনের তাঁবু।
এই গাড়ি এতটাই শক্তিশালী হবে যে, সেটির টায়ারে গুলি লাগার পরও ১০০ কিলোমিটার চলতে পারবে।
ডিসেম্বর মাসে লাদাখের মতো একাধিক জায়গায় তাপমাত্রা মাইনাস ডিগ্রিতে নেমে যায়। সেখানে বিশেষ ধরনের তাঁবু পাঠানো হয়েছে, তার মধ্য একসঙ্গে ৮ থেকে১০ জন সেনা থাকতে পারবেন৷