'নিউ নর্মাল'-এ প্রথম নির্বাচন, ভোট প্রক্রিয়ায় কতটা অদলবদল ঘটালো কমিশন, দেখুন
- FB
- TW
- Linkdin
শুরু করা যাক প্রচার পর্ব থেকে। প্রচারের সময় সমস্ত রকমের শারীরিক যোগাযোগ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শারীরিক দূরত্বের নিয়ম মেনে জনসভা করা যেতে পারে, নাহলে ভরসা রাখতে হবে ভার্চুয়াল সবার উপর। নির্বাচনী সভায় স্বাস্থ্য বিধি মানা নিশ্চিত করতে সমস্ত সভা নির্বাচন কমিশন ও স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকরা পর্যবেক্ষণ করবেন।
ঘরে ঘরে গিয়ে প্রচারের বিষয়ে কমিশন মাত্র তিনজনের প্রচার স্কোয়াড গড়ার অনুমতি দিয়েছে। রোডশো-ও করা যাবে। তবে আগে ১০টি গাড়ির বহরের অনুমতি দেওয়া হতো, এইবার বহরের গাড়ি সংখ্যা নেমে এসেছে পাঁচটিতে।
অনলাইনে এবং শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে - দুইভাবেই মনোনয়ন জমা দিতে পারবেন প্রার্থীরা। তবে আগে যেমন দলবল নিয়ে রোড শো করে প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে যেতেন, এইবার তা হবে না। প্রত্যেক প্রার্থীর সঙ্গে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় মাত্র দুজন ব্যক্তিকে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মনোনয়নপত্র, এফিডেফিট-এর সঙ্গে সঙ্গে এই প্রথমবার প্রার্থীরা জামানতের অর্থ-ও অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যমেই দিতে পারবেন।
এর আগে এক একটি ভোটকেন্দ্রে সর্বাধিক ১,৫০০ জন ভোটার রাখা হতো। এইবার সেই ,সংখ্যা নামিয়ে আনা হয়েছে ১,০০০-এ। এতদিন শুধু ভোটের কাজে নিযুক্ত কর্মীরাই পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারতেন। এবার এই সুবিধা পাবেন প্রতিবন্ধী, ৮০-র ঊর্ধে বয়স এমন ব্যক্তিরা এবং অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাগুলিতে নিযুক্ত ব্যক্তিরা।
ভোট দিতে পারবেন কোভিড-১৯ পজিটিভ কিংবা সম্ভাব্য আক্রান্ত-রাও। তাদের কথা মাথায় রেখেই ভোটগ্রহণের সময় এক ঘন্টা বাড়ানো হয়েছে। সাধারণত সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৫টা অবধি ভোটগ্রহণ করা হতো। এইবার হবে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। শেষ ঘন্টায় ভোট দেবেন কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী এবং আক্রান্ত বলে সন্দেহ করা হচ্ছে এমন ব্যক্তিরা।
ভোটকেন্দ্রে সমস্ত ভোটারদের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা এবং ফেস মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। থাকবে থার্মাল স্ক্যানার। নিবন্ধিত ভোটারদের ইভিএম-এ বোতাম টেপার আগে গ্লাভস দেওয়া হবে। এছাড়া প্রয়োজনমতো ভোটারদের ফেস মাস্ক এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার-ও দেওয়া হবে। বিহার নির্বাচনের জন্য ৭ লক্ষ হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ৪৬ লক্ষ ফেস মাস্ক, ৬ লক্ষ পিপিই কিট, ৬.৭ ফেস শিল্ড, এবং ২৩ লক্ষ জোড়া গ্লাভস-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।