আধার ও ডিজিটাল পেমেন্টে ভারতের মত কাজ করেনি কোনও দেশ, গেটস দিলেন দরাজ সার্টিফিকেট
- FB
- TW
- Linkdin
ধুঁকতে থাকা ভারতীয় অর্থনীতির ভবিষ্যৎ নিয়ে বরাবরই আশাবাদী শিল্পপতি বিল গেটস। আগামী দশকে দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলার মতো সম্ভাবনা ভারতের আছে বলে আগেই মন্তব্য করেছিলেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা । একইসঙ্গে গেটসের আশা, অর্থনৈতিক উন্নয়নের সুফল হিসেবে এদেশে দারিদ্র কমবে। এক্ষেত্রে 'উৎসাহের সঙ্গে' স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে আরও বেশি করে লগ্নির সুযোগ পাবে বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি।
বরাবরই ভারতের আর্থিক পরিষেবা ও ওষুধ শিল্পের পারফরম্যান্স নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করতে দেখা গেছে গেটসকে। ভারতে আধারের মাধ্যমে চিহ্নিতকরণ ব্যবস্থার ভূয়সী প্রশংয়া আগেই শোনা গিয়েছে বিশ্বের অন্যতম ধনীব্যক্তির গলায়। একইসঙ্গে ভারতের আর্থিক পরিষেবা এবং ওষুধ শিল্পের পারফরম্যান্স নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
ফের একবার আধারের প্রশংসা শোনা গেল গেটসেক কন্ঠে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বিল গেটস বলেছেন, ডিজিটাল মাধ্যমে অর্থ প্রদান দুর্দান্ত জিনিস। বিশ্বের যে কোনও দেশই ভারত যে স্তরটি করেছে তা বিশ্বের অন্য কোনও দেশ করেনি। তিনি বলেন, ভারত তার ডিজিটাল আর্থিক সক্ষমতা ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছিল। এখানে আধার এবং এনপিসিআই পেমেন্ট সিস্টেমটি খুব ভালভাবে কাজ করে।
এর আগে ২০১৮ সালেও বিল গেটস আধার ব্যবস্থার প্রশংসা করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই বেস প্রযুক্তিতে কোনও গোপনীয়তার সমস্যা নেই। বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন অন্যান্য দেশগুলিতেও এই প্রযুক্তি সম্প্রসারণের জন্য তহবিল দিয়েছে, কারণ এটি অনুসরণীয়। গেটস বলেছিলেন যে অন্যান্য দেশেরও এই প্রযুক্তি গ্রহণ করা উচিত।
ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন ইন্ডিয়া (এনপিসিআই) একটি অলাভজনক সংস্থা, যার লক্ষ্য হল ভারতে পুরো ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার পাশাপাশি বৈদ্যুতিন পেমেন্ট সিস্টেমের প্রাথমিক পরিকাঠামো গড়ে তোলা। এটি ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের পরিচালনায় ১০টি বৃহত্তম ভারতীয় ব্যাঙ্ক দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।
এদিকে বিশ্বকে কোভিডমুক্ত করতে প্রতিষেধক টিকা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে ভারতের ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি। ফের একবার এই মন্তব্য করলেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহ-চেয়ারম্যান বিল গেটস।
কোভিড-১৯: ইন্ডিয়া ওয়ার অ্যাগেনস্ট দ্য ভাইরাস শীর্ষক তথ্যচিত্রে গেটস বলেছেন, ‘বিশাল আয়তন, অজস্র শহর এবং বিপুল জনসংখ্যার কারণে অতিমারীর বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই নিঃসন্দেহে কঠিন চ্যালেঞ্জ।’
বিল গেটস আরও বলেন, কয়েকটি ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির টিকা চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়ালে রয়েছে। তাদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের ফলও ভাল। তাই আশা করা যায় কিছু ভ্যাকসিন আগামী বছরের একেবারে শুরুর দিকেই চলে আসবে।