- Home
- India News
- এবারে বাঘের ঘরেই ঘোগের বাসা, আক্রান্ত করোনার চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করা বায়োকনের কর্ণধার নিজেই
এবারে বাঘের ঘরেই ঘোগের বাসা, আক্রান্ত করোনার চিকিৎসা নিয়ে গবেষণা করা বায়োকনের কর্ণধার নিজেই
- FB
- TW
- Linkdin
বায়োকন চেয়ারপার্সন কিরণ মজুমদার শ -র কোভিড-১৯ টেস্ট রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। বিগত কয়েক দিন ধরেই করোনাভাইরাসের মৃদু উপসর্গে ভুগছিলেন তিনি। যে কারণে কোভিড টেস্ট করাতে দেন। সেই রিপোর্ট নিশ্চিত করা হয়েছে তিনি করোনা আক্রান্ত।
কিরণ মজুমদার শ নিজের ট্যুইট হ্যান্ডেলে লেখেন, "করোনা তালিকায় আমিও সংযোজিত হলাম। আমার মৃদু উপসর্গ রয়েছে। আমি আশা রাখি করোনা এর বেশি প্রভাব ফেলবে না আমার শরীরে।"
বায়োকনের চেয়ারপার্সন এই ট্যুইট করার পর থেকেই নানা মহল থেকে আরোগ্য কামনা করে বার্তা আসা শুরু হয়। কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর লেখেন, "আমি গোটা ঘটনাটা শুনে অত্যন্ত মর্মাহত হয়েছি। আপনাকে শারীরিক ভাবে সুস্থ দেখতে চাই। বন্ধু আপনি সেরে উঠুন।"
বায়োকন প্রধানের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ট্যুইট করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু)চিফ সায়েন্টিন্ট সৌম্য স্বামীনাথন।
দিন কয়েক আগে রাশিয়া নোভেল করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করার পরপরই চ্যালেঞ্জ ছুড়েছিলেন বায়োটেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রির প্রধান কিরণ মজুমদার শ। রাশিয়া পৃথিবীর প্রথম সুরক্ষিত করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দাবি করায়, কিরণ বলেন, এ ব্যাপারে ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা সংক্রান্ত তথ্যের অভাব রয়েছে। পাশাপাশি বিশ্বের অন্যত্র ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ‘আরও উন্নত’ কর্মসূচি চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
এদেশে কিরণ মজুমদার শ'র বেঙ্গালুরু কেন্দ্রিক বায়োফার্মাসিউটিক্যাল সংস্থা বায়োকন করোনা চিকিৎসায় সোরিয়াসিসের ওষুধ ইটোলিজুমাবের প্রয়োগ করতে চেয়ে আবেদন করেছিল । সোরিয়াসিসের থেরাপিতে ইটোলিজুমাব ব্যবহারে সম্মতি দিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোলও।
বলা হয়, গুরুতর শ্বাসকষ্টের জন্য এই ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। ওষুধটি দিল্লির লোকনায়ক জয়প্রকাশ, দিল্লির অল ইন্ডিয়া মেডিক্যাল ইনস্টিটিউট অফ মেডিক্যাল সায়েন্স এবং মুম্বইয়ের এডওয়ার্ড মেমোরিয়াল ওবিওয়াইএল-এর কোভিড রোগীদের উপর পরীক্ষামূলক ভাবে প্রয়োগ করা হয়। ৩০ জনে ২০ জন রোগীই এই ওষুধে সাড়া দেন। যদিও ৩০ জনের শরীরে ট্রায়াল করেই এই অনুমোদন নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
কেন্দ্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রকের অধীনস্থ ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স জানায়, কোভিড থেরাপিতে রোগীদের শরীরে ইটোলিজুমাবের প্রভাব কেমন হবে তার সঠিক প্রমাণ এখনও মেলেনি। কম সংখ্যক রোগীর উপরে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের যে রিপোর্ট এসেছে তার উপর ভিত্তি করে সার্বিকভাবে এই ওষুধের ব্যবহারে সম্মতি দেওয়া যাবে না।
২০১৩ সাল থেকে ভারতের বাজারে সোরিয়াসিসের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয় ইটোলিজুমাব। দেশে এই ওষুধের ব্র্যান্ড নাম ‘আলজুমাব’ । এই ওষুধ হল একপ্রকার মনোক্লোনাল অ্যান্টিবডি যার কাজ সাইটোকাইন প্রোটিনের ভারসাম্য বজায় রাখা। এই সাইটোকাইন প্রোটিনের বেশি ক্ষরণ হলেই শরীরে তীব্র ইনফ্ল্যামেশন বা প্রদাহ তৈরি হয়। করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে এই প্রদাহজনিত রোগই বেশি হচ্ছে। তাই ইটোলিজুমাব ওষুধের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ শুরু করেছিল বায়োকন।
তবে মৃদু বা মাঝারি সংক্রমণের রোগীদের থেরাপিতে ইটোলিজুমাব ওষুধের ব্যবহারে অনুমতি মিলেছে। খুব তাড়াতাড়ি এই ওষুধ বাজারে আনতে পারেন তাঁরা। প্রতি ১০০ মিলিগ্রাম ভায়ালের দাম পড়বে ৮ হাজার টাকা।