- Home
- India News
- লাদাখ সংঘাতের মাঝেই চিনের নতুন ষড়যন্ত্র, জিনপিং-কে এবার একেবারে উচিত শিক্ষা দিল অরুণাচলের জনতা
লাদাখ সংঘাতের মাঝেই চিনের নতুন ষড়যন্ত্র, জিনপিং-কে এবার একেবারে উচিত শিক্ষা দিল অরুণাচলের জনতা
- FB
- TW
- Linkdin
গত বছরই অরুণাচল প্রদেশ এবং তাইওয়ানকে চিনের অংশ হিসেবে না দেখানোর জন্য বিশ্বের ৩০,০০০ মানচিত্র পুড়িয়ে দিয়েছিল চিন।
লাদাখ উত্তেজনার মাঝেই এবার অরুণাচল সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে চিন। জানা গিয়েছে, অরুণাচল সীমান্তের ছয়টি জায়গাকে চিন ক্রমাগত পাখির চোখ করে তুলছে। সীমান্তবর্তী আপার সুবানসিরি এলাকা ছাড়াও সংলগ্ন লংজু , বিসা, মাঝা এলাকায় চিন আগ্রাসনের চেষ্টায় বুঁদ। এমনকি অরুণাচলের বিসা এলাকা সংলগ্ন জায়গায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার ওপারে চিন রাস্তা নির্মাণের কাজও শুরু করেছে বলে খবর।
অরুণাচলকে কখনও ভারতের অংশ হিসেবে চিন স্বীকৃতি দেয়নি। বেজিংয়ের মতে, উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্য তিব্বতের অংশ।
ভারত-চিন সীমানা থেকে মাত্র ২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে পিএলএ। অরুণাচলপ্রদেশের সীমান্তে চিনের দিকে একের পর এক ইমারত গড়ে চলেছে চিন। সেখানে তিব্বতের নিঙ্গচি এলাকায় লালফৌজ নিজের সেনা ঘাঁটি শক্ত করতে শুরু করেছে। স্যাটেলাইট ছবিতে এমন তথ্যের ইঙ্গিতও মিলেছে। জানা গিয়েছে সেখানে, ছোট বিমানবন্দর ছাড়াও একটি এয়ারস্ট্রিপ তৈরি করে নিয়েছে চিনা সেনা।
একাধিক রিপোর্ট বলছে, লাদাখের পাশাপাশি শীতকালীন সংঘাতে চিন অরুণাচল ঘিরেও আস্ফালন দেখাতে পারে। কারণ আপার সুবানসিরির আসাপিল্লা এলাকার কিছু চূড়া লাল ফৌজ দখলের চেষ্টা করছে। আর তার হাত ধরেই উঁচু এলাকা থেকে অরুণাচলে নজরদারি করতে পারবে বলে চিন চেষ্টা করে যাচ্ছে।
চিনের ষড়যন্ত্র বুঝে অরুণাচল সংলগ্ন ৬ টি এলাকায় নজরদারি ও ৪ টি এলাকায় সতর্কতা বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনা।
চিনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এবার ভারতীয় সেনাক পাশে এসে দাঁড়াল অরুণাচলবাসী। গালওয়ান উপত্যকায় ভারতীয় সেনাদের হত্যার প্রতিশোধে চিনা পণ্য বর্জনের ডাক দিয়েছিল ভারতীয় নাগরিকরা। সেইমত চলছিল চিনা পণ্য বর্জনের অভিযান। এই অভিযানে অনেকটাই এগিয়ে গেল অরুণাচল প্রদেশের উচ্চ সুবানসিরি জেলার বাসিন্দারা।
সীমান্ত এলাকায় লালফৌজের আক্রমণের পরবর্তীতে ভারতীয় নাগরিকরা চিনা পণ্য বর্জনের অভিযানে সামিল হয়েছিল। দিকে দিকে চলছিল চিনা পণ্য বর্জন এবং সর্বোপরি চিনা রাষ্ট্রপতি জিনপিং-এর কুশপুতুলিকা দাহ। রাস্তায় ফেলে ভেঙে ফেলা হচ্ছিল সমস্ত চিনা ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী।
অরুণাচল প্রদেশের উচ্চ সুবানসিরি জেলা চিনা সীমান্তের পার্শ্ববর্তী হওয়ায় প্রতি মাসে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার চিনা সামগ্রী সেখানে আসে। ব্যবসায়ীরা সেই পণ্য থেকে প্রায় ৫০ শতাংশ লাভও করতে পারে। কিন্তু বর্তমান সমে ব্যবসায়ী এবং ক্রেতারা কেউই চিনা পণ্য কিনতে নারাজ। সস্তায় হলেও, তারা চীনা পণ্য আর কিনছেন না। প্রয়োজনে বেশি অর্থ খরচা করা হলেও, চিনা পণ্য আর নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অরুণাচলের নিউ মার্কেট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নায়ালুক দোনি জানিয়েছেন, ‘চিনা পণ্য বর্জনের এই কাজ করতে আমাদের প্রায় ২ মাস লেগে গেছে। বিগত ২ মাস ধরে গ্রাহকরা এবং ওল্ড মার্কেট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন চিনা পণ্য বর্জনে সামিল হয়েছে’।
দোনি আরও জানিয়েছেন, পূর্বে চিনা পণ্য বিক্রিতে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ লভ্যাংশ পাওয়া যেত। অ্যালকোহল, প্রসাধনী সামগ্রী, সিগারেট এবং খেলনা এই ধরনের বেশির ভাগ পণ্যই আমদানি করা হয় চিন থেকে। কিন্তু এখন তা বর্জন করে ভারতীয় পণ্য বিক্রিতে লভ্যাংশ এসে দাঁড়িয়েছে ১০-১৫ শতাংশ। তবে এতেই খুশি অরুণাচলের ব্যবসায়ীরা। বেজিংকে শিক্ষা দিতে চিনা পণ্য বর্জন করে বিক্রয়কারী এবং গ্রাহকরা বেশি অর্থ দিতেও প্রস্তুত।