রাত পোহালেই আদবানী-জোশীদের ভাগ্য নির্ধারণ, জেনে নিন বাবরি ধ্বংস মামলা নিয়ে সব কিছু
- FB
- TW
- Linkdin
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস হওয়ার ঠিক পরেই দুটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। প্রথমটি ছিল অজ্ঞাত পরিচয় করসেবক বা ধর্মীয় স্বেচ্ছাসেবীদের বিরুদ্ধে।
দ্বিতীয় এফআইআর-টিতে নাম ছিল আদবানি, মুরলী মনোহর জোশী, উমা ভারতী-সহ বিজেপি নেতাদের, যাঁরা মসজিদ ধ্বংসের সময় ওই স্থানে উপস্থিত ছিলেন। পরে এই ঘটনায় আরও পঁয়তাল্লিশটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল।
১৯৯৩ সালের ৮ জুলাই রায়বেরিলি-তে এই মামলাটি শুনানির জন্য একটি বিশেষ সিবিআই আদালত গঠন করা হয়েছিল। ২০০১ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট আদবানিসহ হাইপ্রোফাইল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিল। ৫৭ জন সাক্ষীর বয়ান লিপিবদ্ধ করে ২০০৫ সালের ২৮ জুলাই অভিযোগপত্র গঠন করা হয়েছিল। তাতে নাম ছিল ২৮ জনের।
২০১৭ সাল পর্যন্ত লখনউ এবং রায়বেরিলি-তে বাবরি ধ্বংস সম্পর্কিত দুটি মামলার শুনানি চলেছিল। লখনউ-এ ছিল বেনামী করসেবকদের বিরুদ্ধে মামলা এবং রায়বেরিলিতে আদবানি-সহ আট হাই-প্রোফাইল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা চলছিল। কিন্তু ওই বছরই বাবরি ধ্বংস মামলার বড় বাঁক এসেছিল।
ওই বছর সুপ্রিম কোর্ট বাবরি ধ্বংসের ঘটনাকে, 'সংবিধানের ধর্মনিরপেক্ষ কাঠামোর উপর আঘাত' বলে আদবানিদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়ন্ত্রের অভিযোগ পুনর্বহাল করে। আদালত এই বিষয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের ২০০১-এর রায়কে 'ভ্রান্ত' বলে খারিজ করে দিয়েছিল। সেইসঙ্গে রায়বেরিলির মামলাটিও লখনউয়ের বিশেষ আদালতে স্থানান্তরিত করে।
এরপর, ২০১৯ সালের ১৯ জুলাই, আদালত এই মামলার ফৌজদারি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সময়সীমা ছয় মাস বাড়িয়ে দিয়েছিল এবং নয় মাসের মধ্য়ে চূড়ান্ত রায় দিতে হবে বলে সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিল। চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল সেই সময়সীমা শেষ হলে, বিশেষ বিচারক গত ৬ মে তারিখে মেয়াদ বাড়ানোর জন্য শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিলেন। সুপ্রিম কোর্ট, ৩১ অগাস্ট নতুন সময়সীমা নির্ধারণ করেছিল। ওইদিন আবার সময়সীমা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
এই মামলায় অভিযুক্ত তালিকায় যে বড় নামগুলি রয়েছে, সেগুলি হল - বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এল কে আদবানি, মুরলি মনোহর জোশী, উমা ভারতী, উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কল্যাণ সিং, শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মোহান্ত নৃত্যগোপাল দাস, শিবসেনা নেতা সতীশ প্রধান প্রমুখ। এঁদের কেউই সম্ভবত বুধবার রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত থাকবেন না।
২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট, অযোধ্যা জমি বিতর্ক মামলার রায়দানের সময়, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনা-কে 'গুরুতর অপরাধ' বলে অভিহিত করেছিল।