- Home
- India News
- বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে রেমডেসিভির মিলছে এদেশে, সিপরেমির দাম এক হাজার টাকা কমাল সিপলা
বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে কম দামে রেমডেসিভির মিলছে এদেশে, সিপরেমির দাম এক হাজার টাকা কমাল সিপলা
- FB
- TW
- Linkdin
করোনা সলিডারিটি ট্রায়ালে রেমডেসিভির ওষুধের সুফল লক্ষ্য করেই এই ওষুধ ব্যবহারের ছাড়পত্র দিয়েছিল ড্রাগ কন্ট্রোল। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর) জানিয়েছিল, রেমডেসিভিরের রিকভারি ট্রায়ালের রিপোর্টও ভালর দিকেই। রেমডেসিভিরের ইন্টারমাস্কুলার ইঞ্জেকশনের প্রয়োগে অন্তত ৬৮% রোগীর শ্বাসকষ্ট কমেছে।
রেমডেসিভিরের নির্মাতা সংস্থা আমেরিকার গিলিয়েড সায়েন্সেস। তাদের সঙ্গে চুক্তি করেই ভারতে এই ওষুধ তৈরির লাইসেন্স পেয়েছে সিপলা ফার্মাসিউটিক্যাল, হেটেরো ল্যাব ও জুবিল্যান্ট লাইফ সায়েন্সেস। তিন সংস্থাই তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড তৈরি করেছে। যার মধ্যে হেটেরো ল্যাবের ব্র্যান্ড কোভিফোর ও সিপলার ব্র্যান্ড সিপরেমি ইতিমধ্যে ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদন পেয়ে গেছে।
সিপলা জানিয়েছে, বেশি পরিমাণ সিপরেমির ভায়াল তৈরির জন্য দমনের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি সভারিন ফার্মা ও মুম্বইয়ের বিডিআর ফার্মাকে বরাত দেওয়া হয়েছে। রেমডেসিভির ওষুধের মূল উপকরণ তথা ‘অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট’ বানাচ্ছে বিডিআর ফার্মা। প্রথম ধাপে ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সিপ্রেমি ইঞ্জেকশনের ভায়াল নিয়ে আসার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সভারিন ফার্মা জানিয়েছে, প্রতি মাসে প্রায় ৯৫ হাজার ওষুধের ভায়াল তৈরি করার ক্ষমতা রয়েছে তাদের। কোন কোম্পানিতে কত পরিমাণ ওষুধ তৈরি হচ্ছে, তাদের সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্ট কী, খুঁটিনাটি তথ্য জানতে টাস্ক ফোর্স তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল (সিডিএসসিও)। সিপলা জানিয়েছে, তাদের তৈরি রেমডেসিভিরের জেনেরিক ভার্সন সিপ্রেমির সেফটি ট্রায়ালের রিপোর্টও ভাল।
এর আগে সিপলা জানিয়েছিল, তাদের তৈরি রেমডিসিভিরের জেনেরিক সিপরেমির ১০০ মিলিগ্রামের এক একটি ইনজেকশনের দাম মোটামুটি ৫,০০০ টাকা হতে পারে। তবে পূর্ব ঘোষণার চেয়ে এক ধাক্কায় ১,০০০ টাকা কমিয়ে ১০০ মিলিগ্রাম সিপরেমির দাম ৪,০০০ টাকা করেছে সিপলা।
সিপরেমি হল ১০০ মিলিগ্রামের একটি ইনজেকশন যা প্রতিদিন এক ডোজ (১০০ মিলিগ্রাম) বা একবার করে ইনজেকশন দেওয়া হবে পর পর মোট ৫ দিন। পাঁচ দিন দেওয়ার পর সিপরেমির ‘কোর্স’ সম্পূর্ণ হবে। অর্থাৎ, সংস্থার পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী,সিপরেমি প্রয়োগে করোনা চিকিৎসার খরচ ছিল ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা যা এক ধাক্কায় ৫,০০০ টাকা সস্তা হল।
ইতিমধ্যেই রেমডেসিভিরের জেনেরিক ভার্সন ডেসরেম ভারতের বাজারে আনছে আন্তর্জাতিক ড্রাগ নির্মাতা সংস্থা মাইল্যান এনভি। ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদনও পেয়ে গেছে মাইল্যান। ভারতের বাজারে তারা রেমডেসিভিরের দাম রেখেছে প্রতি ভায়ালে ৪৮০০ টাকা। মনে করা হচ্ছে, সেই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতেই পাঁচ হাজার টাকা থেকে দাম কমিয়েছে সিপলা।
করোনা থেরাপিতে অ্যান্টি-রেট্রোভিয়াল ওষুধ রেমডেসিভির তৈরির দৌড়ে রয়েছে হায়দরাবাদারে ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানি হেটেরো ল্যাবও। হেটেরো গ্রুপ জানিয়েছে, অন্তত ২৫ হাজার ভায়াল তৈরি হয়েছে কোভিফোরের। যার মধ্যে ১৫ হাজার ওষুধের ভায়াল পাঠানো হয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভায় ও ১০ হাজার পাঠানো হচ্ছে তামিলনাড়ুতে।
কোভিফোরের প্রতি ১০০ মিলিগ্রাম ভায়ালের দাম পড়বে ৫৪০০ টাকা। আগামী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে প্রায় এক লাখ কোভিফোর ওষুধের ভায়াল বাজারে নিয়ে আসবে হেটেরো।