- Home
- India News
- রাফাল যুদ্ধ বিমান ঘিরে আবারও নতুন বিতর্ক , সিএজি-র রিপোর্টে প্রশ্নের মুখে ফরাসি সংস্থা
রাফাল যুদ্ধ বিমান ঘিরে আবারও নতুন বিতর্ক , সিএজি-র রিপোর্টে প্রশ্নের মুখে ফরাসি সংস্থা
- FB
- TW
- Linkdin
২০১৬ সালে ৫৯০০০ কোটি টাকার বিনিয়ম ৩৬টি রাফাল যুদ্ধ কেনার চুক্তি হয়েছিল। আর সেই চুক্তি অনুয়ায়ী ইতিমধ্যেই ভারতে পৌঁছে গেছে ৫টি রাফাল যুদ্ধ বিমান। কয়েকটি যুদ্ধ বিমান আগামী অক্টোবরেই ভারতে আসবে। মোট ৩৬টি যুদ্ধ বিমান কেনার চুক্তি হয়েছি। বাকিগুলি ২০২১ সালের মধ্য়েই ভারতে পাঠিয়ে দেবে ফরাসি সংস্থাটি। চুক্তির শর্ত তেমনই।
রাফাল যুদ্ধ বিমান কেনার সময় ফরাসি সংস্থার সঙ্গে আরও একটি চুক্তি হয়েছিল। আর সেই চুক্তি অনুযায়ী ফরাসি সংস্থাটি চুক্তি মূল্যের ৫০ শতাংশ মূল্যের প্রকল্প বা কাজের বরাত ভারতীয় কোনও সংস্থাকে দেবে অথবা প্রযুক্তিগতভাবে সাহায্য করবে।
চুক্তি অনুযায়ী ফরাসি সামরিক সংস্থাটি অনিল অম্বানির রিল্যায়েন্স ডিফেন্সের সঙ্গে চুক্তি করেছিল। রাষ্ট্রায়াত্ত্ব সংস্থা হ্যালকে বাদ দিয়ে চুক্তি করার অভিযোগ তুলে ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের আগে সরব হয়েছিল কংগ্রেস।
বুধবার সংসদে পেশ করা রিপোর্টে বলা হয়েছে দ্যাসোঁ অ্যাভিয়েশন ও এমবিডিএ প্রথমিকভাবে প্রস্তাব দিয়েছিল যে চুক্তির ৩০ শতাংশ কাজ হয়েছে। তাদের যুক্তি ছিল তারা ডিআরডিও বা ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশনকে অফসেটের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে উচ্চ প্রযুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে ডিআরডিও লাইট কমব্যাট এয়ারক্রাফ্টের ইঞ্জিনের জন্য ফরাসি সংস্থাটির থেকে প্রযুক্তিগত সাহায্য চেয়েছিল।
ডিআরডিও হালকা যুদ্ধ বিমান তৈরির পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আর সেই জন্যই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ এই সংস্থাটি কাবেরী নামের একটি ইঞ্জিন তৈরি করার জন্য ফরাসি সংস্থার দ্বারস্থ হয়েছিল। বাদল অধিবেশেনের শেষ দিনে পেশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী এখনও সেই প্রযুক্তি দেয়নি ফরাসি সংস্থাটি।
সিএরজির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের নীতি ও তার বাস্তবায়নের বিষয়গুলি পর্যালোচনা করে দেখা প্রয়োজন। বিদেশ থেকে যেসব জিনিস কেনা হচ্ছে তার অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অফসেট সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে না।
রিপোর্ট বলা হয়েছে এই জিনিস শুধু রাফালের ক্ষেত্র নয়। অন্যান্য ক্ষেত্রেও হচ্ছে। যার জেরে সুবিধে পাচ্ছে না দেশীয় সংস্থাগুলি। পাশাপাশি বলা হয়েছে রাফাল চুক্তি অনুযায়ী ৭ বছরের মধ্যে প্রযুক্তি দিয়ে সাহায্য করতে হবে ফরাসি সংস্থাকে। কিন্তু এখনও মাত্র ৩ বছরই হয়েছে। তাই হাতে আরও সময় রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সিএজি এই রিপোর্ট পেশ করার পরই আসরে নেমে পড়েছে কংগ্রেস। দলের তরফে রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেছেন রাফাল চুক্তিতে যে গড়বড় রয়েছে তা স্বীকার করে নিয়েছে সিএজি।
রাফাল চুক্তিতে গরমিল রয়েছে বলে প্রথম থেকেই সরব ছিল কংগ্রেস। রাফাল চুক্তি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছিল শতাব্দী প্রাচিন এই দলটি। তবে সেখান থেকে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছিল কংগ্রেসকে।