আন্দোলন মঞ্চ থেকেই মেয়ের জন্মদিন পালন কৃষকের, অমিত শাহর বাড়ি গেলেন কৃষি মন্ত্রী
তিনটি কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এখনও পর্যন্ত সরব বিক্ষোভকারী কৃষকরা। সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ৯ ঘণ্টার প্রতিকী অনশন পালন করেন কৃষকরা। একই সঙ্গে চলে বিক্ষোভ অবস্থান। অন্যদিকে রবিবারের পর এদিনও কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমরের সঙ্গে ১০টি কৃষক সংগঠনের নেতারা দেখা করে নতুন কৃষি আইনের প্রতি তাঁদের সমর্থন জানিয়ে গেছেন।
| Published : Dec 14 2020, 04:28 PM IST / Updated: Dec 15 2020, 09:28 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত অনশন করেন প্রতিবাদী কৃষকরা। সিংহু বর্ডারের পাশাপাশি টিকরি বর্ডারসহ বেশ সবকটি সীমানা এলাকায় প্রতিবাদ অনশন করেন কৃষকরা।
এদিন কৃষকদের সমর্থনে অনশন কর্মসূচি গ্রহণ করে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। দলের সঙ্গে থেকে আন্দোলনকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেওয়া হয়।
এদিনও কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্রী সিং তোমরের সঙ্গে দেখা করেন কেরল, উত্তর প্রদেশ, হরিয়ানা সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যের কৃষক নেতারা। তাঁরা নতুন কৃষি আইনের প্রতি তাঁদের সমর্থন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে।
এদিনও আন্দোলনকারী কৃষকদের নিয়ে আরও একদফায় বৈঠক হয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহর বাড়িতে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্যাবিনেট সেক্রেটারি রাজীব গুহ ও স্বরাষ্ট্র সচিব অজয় কুমার ভাল্লা।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং ফিকির ৯৩তম বার্ষিক সম্মেলনে আরও একবার জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার এখনও আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। আর কৃষকদের বিভ্রান্তি দূর করতে সবরক চেষ্টা তারা চালাবেন বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি আরও একবার মনে করিয়ে দেন, দেশের মধ্যে কৃষি একমাত্র ক্ষেত্র যেটি মহামারির প্রাদুর্ভাব এড়াতে সক্ষম হয়েছে।
আন্দোলন মঞ্চ থেকেই এক কৃষক তাঁর মেয়ের প্রথম জন্মদিন উদযাপন করেন। তিনি বলেন কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। আন্দোলনে সফল না হওয়া পর্যন্ত তিনি কিছুতেই বাড়ি ফিরে যাবেন না। তাই আন্দোলন মঞ্চ থেকেই ছোট্ট মেয়ের জন্মদিন পালন করেন অন্য সহযোদ্ধাদের সঙ্গে।
এদিনও আন্দোলনকারী কৃষকরা আরও একদফা বৈঠক করেন পরবর্তী কর্মসূচি নির্ধারণের জন্য। বেশ কয়েকটি কৃষক সংগঠন ইতিমধ্যেই দাবি তুলেছে কেন্দ্রীয় নূন্যতম সহায়ক মূল্য নিয়ে যেসব আশ্বাস গিয়েছে তা তাদের বিভ্রান্ত করার জন্যই দিয়েছে।
একটি সূত্রের খবর, খুব তাড়াতাড়ি কেন্দ্রীয় সরকার আরও একবার আন্দোলনকারী কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে।