- Home
- India News
- করোনা-বিশ্বে নজির দিল্লির, তৈরি হল পৃথিবীর বৃহত্তম কোভিড কেয়ার সেন্টার, দেখুন ছবিতে ছবিতে
করোনা-বিশ্বে নজির দিল্লির, তৈরি হল পৃথিবীর বৃহত্তম কোভিড কেয়ার সেন্টার, দেখুন ছবিতে ছবিতে
কোভিড-১৯ মহামারিতে ভারতের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্য গুলির মধ্যে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। ভারতের কোভিড-১৯ ট্র্যাকার অনুযায়ী রবিবার সকালে দিল্লির মোট করোনা রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৯৭,২০০-তে। এই অবস্থায় দিল্লির হাসপাতালগুলিতে আর করোনা রোগী ভর্তির জায়গা মিলছে না। গত মাসে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী, দিল্লির হাসপাতালে শুধু রাজ্যবাসীই ভর্তি হতে পারবেন ঘোষণা করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন। এই নিয়ে লেফট্যানেন্ট গভর্নরের সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছিলেন। এই অতিরিক্ত রোগীর সমস্য়া মেটাতেই রাজধানীতে তৈরি হল বিশ্বের সবচেয়ে বড় কোভিড কেয়ার সেন্টার।
| Published : Jul 05 2020, 01:14 PM IST / Updated: Jul 19 2020, 06:38 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
রবিবার সকালে সর্দার প্যাটেল কোভিড কেয়ার সেন্টার নামে এই নতুন কোভিড কেয়ার সেন্টারটির উদ্বোধন করলেন দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজাল।
এই সেন্টারটি তৈরি করা হয়েছে ছত্রপুরের রাধা সোয়ামি সতসং বিয়াসে। ১০,০০০ শয্যা বিশিষ্ট এই সেন্টারই আপাতত বিশ্বের 'বৃহত্তম' কোভিড কেয়ার সেন্টার বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
যেসব কোভিড রোগীর দেহে সংক্রমণের হালকা উপসর্গ ও রয়েথে এবং যাঁরা উপসর্গহীন, বা অ্যাসিম্পটমেটিক, এমন করোনভাইরাস রোগীদেরই চিকিৎসা করা হবে। যাঁরা উপসর্গবিহীন এবং বাড়িতে স্ব-বিচ্ছিন্নতার সুবিধা নেই, তাঁরাও আসতে পারবেন এখানে।
কেন্দ্রটি দৈর্ঘ্যে ১,৭০০ ফুট, প্রস্থে ৭০০ ফুট। বলা হচ্ছে প্রায় ২০টি ফুটবল মাঠ ঢুকে যাবে এর মধ্যে। ৫০টি করে শয্যার ২০০ টি ঘেরাটোপে ভাগ করা হয়েছে কেন্দ্রটিকে।
দিল্লি সরকার এই কেন্দ্রকে প্রশাসনিক সহায়তা দেবে। তবে, মূল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ। রাধা সোয়ামি বিয়াস ধর্মীয় সম্প্রদায়ের স্বেচ্ছাসেবীরাও এই কেন্দ্রটি চালাতে সহায়তা করবেন।
আইটিবিপি ডিজি এসএস দেশওয়াল জানিয়েছেন, তাঁদের চিকিত্সক, নার্স এবং প্যারামেডিক কর্মীরাই এই কোভিড-১৯ কেয়ার সেন্টারের দায়িত্ব নেবেন। আইটিবিপি গত কয়েক মাস ধরে করোনা রোগীদের দেখভাল করেছে। ,সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগানো হবে।
দিল্লির স্বাস্থ্য দফতরের সর্বশেষ বুলেটিন অনুসারে দিল্লিতে এখন মোট করোনা মামলার সংখ্যা ৯৭,২০০। তবে এর মধ্যে সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ৬৮,২৫৬ জন। আর সক্রিয় মামলার সংখ্যা ২৫,৯৯০।