মহারাষ্ট্র সহ ৫ রাজ্যে পৌঁছে গেল করোনার ওষুধ 'কোভিফোর', পরবর্তী পর্যায়ে আসছে কলকাতায়
- FB
- TW
- Linkdin
রেমডিসিভিরকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হয়েছে। চিকিৎসায় ইতিবাচক সাড়া মেলায় গুরুতর আক্রান্তদের ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করার অনুমতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পাশাপাশি, এই ওষুধের পূর্ণ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জাপান সরকারও।
ভারতীয় বাজারে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় গিলিড সায়েন্সের তৈরি অ্য়ান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভিরের জেনেরিক ভার্সান বিক্রি করার অনুমতি পেয়েছে সিপলা ও হেটেরো ল্যাব।
যদিও, শুধুমাত্র সংকটজনক করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে এই ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। রেমডিসিভিরের জেনেরিক ভার্সনের নাম সিপলা যেমন দিয়েছে সিপরেমি, তেমনি হায়দরাবাদের কোম্পানি হেটেরো ল্যাবস লিমিটেড তৈরি ওষুধটির নাম হচ্ছে কোভিফোর।
প্রথম পর্যায়ে কোভিফরের ২০ হাজার শিশি মহারাষ্ট্র, দিল্লি ছাড়াও পাঠানো হয়েছে গুজরাত, তামিলনাড়ু ও তেলঙ্গানায়।
পরের ব্যাচের ওষুধ পাঠানো হবে কলকাতা, ইন্দোর, ভোপাল, লখনউ, পটনা, ভুবনেশ্বর, রাঁচি, বিজয়ওয়াড়া, কোচি, ত্রিবান্দ্রাম ও গোয়ার মতো ১১টি শহর।
হেটেরোর তরফে জানানো হয়েছে, প্রাথমিক ভাবে ওষুধটির ১০০ মিলিগ্রামের শিশি বানানো হয়েছে। যার দাম পড়বে ৫ হাজার ৪০০ টাকা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী, শিশু ও প্রবীণ কোভিড রোগীদের জন্য প্রথম দিন ওই ওষুধ ২০০ মিলিগ্রাম করে খাওয়াতে হবে। তার মানে, দুই শিশি। তার পর দ্বিতীয় দিন থেকে টানা পাঁচ দিন ধরে রোজ ১০০ মিলিগ্রাম (একটি শিশি) করে ওষুধ খাওয়াতে হবে রোগীদের। এই নিয়ম শিশু ও প্রবীণ দু’ধরনের কোভিড রোগীর ক্ষেত্রই প্রযোজ্য।
ফলে, মোট ৬ দিনে রোগীদের কোভিফর খাওয়াতে হবে মোট ৭০০ মিলিগ্রাম করে। ৬ দিনে ওষুধ বাবদ খরচ পড়বে ৩৭ হাজার ৮০০ টাকা।
হেটেরো ল্যাবের ডিরেক্টর ভামসি কৃষ্ণ বান্দি জানিয়েছেন, ওষুধটি শুধুমাত্র সরকারি হাসপাতাল ও সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতেই পাওয়া যাবে। কোনও রিটেল স্টোরের মাধ্যমে তা বিক্রি করা হবে না।
আগামী তিন সপ্তাহ থেকে এক মাসের মধ্যে কোভিফরের ১ লক্ষ শিশি উৎপাদন ও বাজারে আনতে চাইছে হেটেরো।
এখন প্রাথমিক ভাবে হায়দারবাদে বানানো হলেও ভবিষ্যতে কোভিফরের ঢালাও উৎপাদন বিশাখাপত্তনম থেকে হবে বলে জানিয়েছে হেটেরো ল্যাব।