- Home
- India News
- 'ধর্ষণ নয় অনার কিলিং', বিস্ফোরক তত্ত্ব দিলেন নির্ভয়ার পর হাথরস আসামীদের আইনজীবি এপি সিং
'ধর্ষণ নয় অনার কিলিং', বিস্ফোরক তত্ত্ব দিলেন নির্ভয়ার পর হাথরস আসামীদের আইনজীবি এপি সিং
২০১৯ সালের শেষ দিক ও চলতি বছরের শুরুতে আইনজীবী এপি সিং ছিলেন গোটা ভারতের চোখে ভিলেন। নির্ভয়া মামলায় আসামীদের পক্ষে লড়েছিলেন তিনি। তাঁরই আইনি প্রজ্ঞার জোরে দীর্ঘদিন মামলার প্যাঁচে আটকে গিয়েছিল তাদের ফাঁসি। এবার আবার প্রায় একইরকম পরিস্থিতি। উত্তরপ্রদেশের হাথরসে ১৯ বছরের এক দলিত তরুণীকে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগ উঠেছে। আরও একবার গোটা দেশে সাড়া ফেলা এক ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্তদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন সেই এপি সিং। শুক্রবার এশিয়ানেট নিউজ-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাতকারে তিনি এই মামলা সম্পর্কে তাঁর অভিমত, তাঁর প্রস্তুতি - এক কথায় মনের কথা জানিয়েছেন।
- FB
- TW
- Linkdin
প্রশ্ন: হাথরসের মামলায় আপনার প্রথম পদক্ষেপ কী হতে চলেছে?
উত্তর: হাথরস মামলায় অভিযুক্তদের পরিবার আমার কাছে আইনি পরমর্শ চেয়েছেন। শনিবার, ১০ অক্টোবর, সকাল দশটায় আমি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজা মানবেন্দ্র সিং এবং অখিল ভারত ক্ষত্রিয় মহাসভার কয়েকজনের সঙ্গে হাথরস-এর এসপি এবং অভিযুক্তদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করব। তারপরে আলোচনা করে পরবর্তী কৌশল নির্ধারণ করা হবে।
প্রশ্ন: হাথরস মামলায় কেন আপনি 'অনার কিলিং' (সম্মান রক্ষার্থে হত্যা) বলে মনে করেন?
উত্তর: প্রথমত, হাথরসে অনার কিলিং ঘটেছে, ধর্ষণ নয়। অক্টোবরে ২০১৯ থেকে মার্চ ২০২০ পর্যন্ত অভিযুক্ত এবং মৃতা তরুণীর বাড়ির মধ্যে ১০৪টি ফোনকল হয়েছিল। অভিযুক্ত সন্দীপের ফোনে এসেছিল ৬২টি কল, আর অভিযুক্ত সন্দীপ করেছিল ৪২টি কল। দ্বিতীয় কারণ হলো, পুরো ব্যাপারটা আসলে মৃতার ভাইয়ের তাদের প্রেমের সম্পর্ক খারাপ লাগা।
প্রশ্ন: মেয়েটি তাহলে কীভাবে আহত হয়েছিল? মেরুদণ্ডের আঘাতের কারণ কী?
উত্তর: অভিযুক্ত সন্দীপ ৬ মাস দিল্লিতে ছিল। এই ঘটনার কয়েকদিন আগে তিনি দিল্লি থেকে বাড়ি এসেছিল। নির্যাতিতার ভাই সন্দেহ করেছিলেন যে তিনি সন্দীপের সঙ্গে তাঁর বোন দেখা করেছে। তারপরই সে তার বোনকে মারধর করে। মেরুদণ্ডের আঘাত লেগেছিল এই সময়ে। তারপর সে (মৃতা তরুণী) মাঠের মাঝখান দিয়ে দৌঁড়ে পালিয়েছিল। সেখানে কাটাতার ছিল। তাতে সে আটকে যায়, যার ফলে তার জিভে ক্ষত তৈরি হয়েছিল। মিডিয়া বলে গেল যে তার জিভ কেটে দেওয়া হয়েছে। জিভ কেটে ফেলা হলে সে পরবর্তী বিবৃতিটা কীভাবে দিয়েছিল?
প্রশ্ন: হাথ্রাস মামলায় ধর্ষণ হয়নি, এটা 'অনার কিলিং'-এর ঘটনা... আদালতে আপনি কীভাবে প্রমাণ করবেন?
উত্তর: মেডিকেল রিপোর্টে কোথাও ধর্ষণ নেই। এফআইআর-এও কোনও ধর্ষণ লেখা হয়নি। প্রাথমিক তদন্তেও ধর্ষণের কথা বলা হয়নি। প্রথম বক্তব্য ছিল মায়ের, তাতে ঝগড়া হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। এফআইআর, মায়ের বক্তব্য এবং গ্রামবাসীর বক্তব্যই ঘটনার সত্যতা প্রকাশ করছে।
প্রশ্ন: নির্যাতিতা ও অভিযুক্তের পরিবারের মধ্যে কি আগে থেকে শত্রুতা ছিল?
উত্তর: গ্রামবাসীরা প্রত্যক্ষদর্শী। তারা বলেছে যে নির্যাতিতা এবং অভিযুক্তের মধ্যে বন্ধুত্ব ছিল। আরও জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে মেয়েটির বাবা এবং ছেলের বাবার মধ্যে এসসি-এসটি আইন নিয়ে একটা ঝামেলা হয়েছিল। কিন্তু বাচ্চারা ফিল্মি স্টাইলে চলেছিল। বাবাদের মধ্যে লড়াই হতে পারে তবে তারা প্রেমে পড়বে।
প্রশ্ন: নির্ভয়া মামলার মতো কি হাথরস মামলাও দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে?
উত্তর: মিডিয়া সক্রিয় থাকলে তা হবে না। আর আমি যত দ্রুত সম্ভব রায় বের করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করব।