- Home
- India News
- 'দিনে মাত্র আধঘণ্টা দিন শরীরচর্চায়', ফিট ইন্ডিয়ার বর্ষপূর্তিতে দেশবাসীকে সুস্থ থাকার মন্ত্র জানালেন মোদী
'দিনে মাত্র আধঘণ্টা দিন শরীরচর্চায়', ফিট ইন্ডিয়ার বর্ষপূর্তিতে দেশবাসীকে সুস্থ থাকার মন্ত্র জানালেন মোদী
- FB
- TW
- Linkdin
কেন্দ্রের ফিট ইন্ডিয়া মুভমেন্টের বর্ষপূর্তিতে দেশের ফিটনেস বিশেষজ্ঞ ও ফিট থাকায় উত্সাহীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সেই বৈঠকে ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের অধিনায়ক বিরাট কোহলি, অভিনেতা মিলিন্দ সোমন ও পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকরের মতো ফিটনেস ফ্রিকরা।
কাশ্মীরের উদীয়মান মহিলা গোলকিপার আফসান, যোগগুরু শিবানন্দ সরস্বতীর সঙ্গে শরীর সুস্থসবল রাখার প্রয়োজনীয়তা ও নানা উপায়ের কথা আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী ।
৭ জন খ্যাতনামা ক্রীড়াবিদ ও ফিটনেস বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা কীভাবে শরীরকে সক্ষম রাখেন সেই বিষয়ে আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
ফিট ইন্ডিয়া কর্মসূচি চালু করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন মিলিন্দ সোমন।
এ দিনের বৈঠকে অভিনেতা তথা ফিটনেস ফ্রিক মিলিন্দ সোমন বলেন, যদি একজনের মানসিক জোর থাকে, তাহলে ১০০ কিলোমিটার হাঁটাটা খুব কঠিন কোনও কাজ নয়। ফিটনেস কোনও সীমা জানে না। তাঁর কথায়, 'ফিট থাকার জন্য কারও অনেকটা জায়গা বা জিম থাকতেই হবে, এমন কোনও ব্যাপার নেই। তাঁরা এ সব ও এনার্জি ড্রিংক ছাড়াই মানুষ ফিট থাকতে পারে।'
ফিটনেস নিয়ে ক্রিকেটার বিরাট কোহলি বলেন, 'কোনওদিন প্র্যাকটিস মিস হয়ে গেলেও এমন কোনও দিন হয় না, যে দিন আমি আমার ফিটনেস সেশন বন্ধ রাখি।'
পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর বলেন, 'স্বাস্থ্য নয়, মেদ কমাতে হবে। আমাদের বাড়িতে তৈরি খাবার খাওয়া উচিত এবং প্যাকেজড খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এটাই সুস্বাস্থ্যের গোপন রহস্য।'
অনুষ্ঠানের শেষলগ্নে এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে স্বাস্থ্য ঠিক থাকলেই বাকি সমস্ত কিছু ঠিক থাকবে বলে উল্লেখ্য করেন মোদী। করোনা আবহের মধ্যে দেশব্যাপী শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভারতবাসী যে চেষ্টা চালাচ্ছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
বয়স্ক মানুষদের সুস্থ রাখার জন্য যুব সম্প্রদায় যেভাবে তাঁদের শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য উৎসাহিত করছেন তা উল্লেখ করেন মোদী। শারীরিক শক্তি বৃদ্ধি পেলে মানসিক জোর বাড়ে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
বিবেকানন্দের বাণী উদ্ধৃত করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন শক্তি মানে জীবন ও আর দুর্বলতার অর্থ মৃত্যু। শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রতিটি মানুষের সময় দেওয়া উচিত। ভারতের নাগরিকরা সেই পথ অনুসরণ করে গোটা বিশ্বের সামনে নজির তৈরি করেছে। তাই করোনা মহামারীর সঙ্গে লড়াইয়ে ভারতীয়রা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। আমি সবাইকে বলব ফিটনেসের ডোজ, আধঘণ্টা রোজ এই মন্ত্রটা মাথায় রাখতে। প্রতিদিন যদি ৩০ মিনিট শারীরিক সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য সময় ব্যয় করা হয়। তাহলে আমরা শক্তিশালী হয়ে উঠব।’