ব্যর্থ ক্রিকেটার থেকে সফল রাজনীতিবিদ, লালুপ্রসাদ যাদব ছাড়াই ভিত তৈরি করলেন তেজস্বী
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে রীতিমত নজর কেড়েছে লালুপ্রসাদ যাদবের কনিষ্ঠ পুত্র তেজস্বী যাদব। বিরোধী শিবিরে তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। বুথ ফেরত সমীক্ষাতেও ৬৯ বছরের নীতিশ কুমারের থেকে এগিয়ে রয়েছেন ৩১ বছরের তেজস্বী যাদব। নির্বাচনী প্রচারেও নীতিশ কুমার আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কালঘাম ছুটেছিল তাঁর জন্য। লালু পুত্র প্রথমে কিন্তু প্রথমে রাজনীতিতে আসতে চাননি। ক্রিকেটের বাইশ গজই তাঁকে টেনেছিল। কিন্তু প্রথম থেকেই তেমন ভাগ্য সহায় হয়নি। তারই ক্রিকেটের ময়দানকে বিদায় জানিয়েছে রাজনীতির মায়দানকে ই বেছে নেন তেজস্বী যাদব।
- FB
- TW
- Linkdin
লালুপ্রসাদ ও রাবড়ি দেবীর কনিষ্ঠ পুত্র তেজস্বী যাদবের জন্ম ১৯৮৮ সালের ১০ নভেম্বর। বড় ছেলে তেজপ্রতাপ। বাবা মা উভয়েই ১৫ বছর ছিলেন বিহারের ক্ষমতায়। কিন্তু প্রথম জীবনে রাজনীতি আকর্ষণ করেনে তেজস্বী যাদবকে।
প্রথম জীবনে ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন তেজস্বী যাদব। সেইমত প্রস্তুতিও শুরু করেন তিনি। মিডিল অর্ডারে ডানহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন তিনি। আইপিএলেও সুযোগ পেয়েছিলেন তেজস্বী যাদব।
প্রথমে ঝাড়খণ্ডের হয়ে ক্রিকেট খেলতেন। পরবর্তীকালে চলে আসেন দিল্লিতে। যা নিয়ে কিছুটা সমালোচনা হয়েছিল। সুযোগও পেয়েছিলেন আইপিএলএর দল দিল্লি ডেয়ার ডেভিলসএ। সেই সময় তাঁর সমালোচনা করে অনেকেই বলেছিল লালু প্রসাদ যাদবের প্রভাবেই এই সুযোগ।
দিল্লির হয়ে অনুর্ধ্ব ১৯ দলেও খেসাল সুযোগ পেয়েছিলেন তেজস্ব। পাশাপাশি ২০০৮ সালের ভারতের হয়ে অনুর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ দলেও সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি।
অনুর্ধ্ব ক্রিকেট দলের স্ট্যান্ডবাই ক্রিকেটার ছিলেন তিনি। পাশাপাশি চার চারটি মরশুমে আইপিএল এ দিল্লির দলে থাকলেও মাঠে নামার সুযোগ পাননি তিনি।
অগ্যতা ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে চলে আসেন রাজনীতির ময়দানে। ২০১৫ সালেই লালুপ্রসাদ যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দলে যোগদেন তিনি। লালু নীতিশের জোট বিহারের ক্ষমতা দখল করার পরই তিনি ছিলেন উপমুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু কিছুদিন পরেই জোট ভেঙে যায়। আর তারপরই পদ হারাতে হয় তেজস্বী। পশুখাদ্য কেলেঙ্কারিতে বাবা লালুপ্রসাদ যাদবকে জেলে যেতে হয়। তারপরই শুরু হয় তেজস্বীর আসল লড়াই। লোকসভা নির্বাচনেও তাঁর নেতৃত্বে লড়াই করেছিলে আরজেডি। কিন্তু সেই সময় মোদী হাওয়ায় চাপা পড়ে গিয়েছিলেন তেজস্বী।
২০১৭ সাল থেকেই বিহার বিধানসভার বিরোধী নেতা তিনি। আরজেডির সঙ্গে জোট ভেঙে বিজেপির হাত ধরায় নীতিশের কট্টর সমালোচক হিসেবেই নিজেকে তুলে ধরা শুরু করেন তিনি। বর্তমানে তিনি বিরোধী শিবিরের মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী।
একের পর এক ভোট প্রচারে তিনি নীতিশ সরকারের অনুন্নয়, বেরোজগারির কথা তুলে ধরে ছিলেন। তাতে জনসমাগমও হয়েছিল প্রচুর পরিমান। তিন দশক পর বিহারের ভোট হল লালুপ্রসাদের বিনা উপস্থিতিতে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে সেই খামতি কিছুটা হলেও পুরণ করেছিলেন তেজস্বী।
নীতিশের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য সরকারি ক্ষেত্রে ১০স লক্ষ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তিনি। তাতে উৎসাহিত বিহারের যুব সম্প্রদায়। আরই প্রতিছবি দেখা গেছে বুথ ফেরত সমীক্ষায়।
একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষা বুথ ফেরত সমীক্ষায় এগিয়ে রেখেছে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন মহাজোটকেই। সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে একই ট্রেন্ড।