দিল্লি থেকে বেঙ্গালুরু, দাঙ্গার পিছনে উঠে আসছে একটিই সংগঠনের নাম, জানুন বিস্তারিত
- FB
- TW
- Linkdin
বেঙ্গালুরু পুলিশের দাবি এই ঘটনায় অন্তত ৪০০০ লোককে খেপিয়ে তুলেছিল এসডিপিআই। ঘটনায় জড়িত অভিযোগে মুজাম্মিল পাশা নামে এক স্থানীয় এসডিপিআই নেতাকে গ্রেফতার-ও করা হয়েছে। অভিযুক্ত পাশা এর আগে বেঙ্গালুরু পুরসভার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। এসডিপিআই-এর অভিযোগ, নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতেই পুলিশ এই গ্রেফতার করেছে।
সোশাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া বা এসডিপিআই আসলে ইসলামি সংগঠন পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআই-এর রাজনৈতিক শাখা।
গত ২৩ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি - তিনদিন ধরে সিএএ এবং এনআরসি-র বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে যে ভয়াবহ দাঙ্গার আগুন ছড়িয়ে পড়েছিল, তার পিছনে পেছনে কিন্তু উঠে এসেছিল এই পিএফআই-এর নামই। আদালতে দিল্লি পুলিশ-এর জমা দেওয়া প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে সেই রকমই বলা হয়েছিল।
তবে শুধু দিল্লির দাঙ্গা সংঘটিত করাই নয়, ইসলামি সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গেও পিএফআই-এর যোগায়োগ রয়েছে বলে অভিযোগ। এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেটের পক্ষ থেকে এই সংগঠনের বিরুদ্ধে অর্থ পাচারের মামলাও করা হয়েছে। দেশজুড়ে সিএএ-এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভের পিছনেও এই সংগঠনের উসকানি কাজ করেছিল, বলা হয়েছে গোয়েন্দা রিপোর্টে।
নিজে সিএএ-বিরোধী হয়েও, সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের সময় কেরলে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন অভিযোগ করেছিলেন, এই বিক্ষোভের অজুহাতে এসডিপিআই মানুষের মধ্যে ভেদাভেদ সৃষ্টি করছে। তবে তারও আগে থেকে উত্তরপ্রদেশের মতো দেশের অনান্য অনেক জায়গা থেকেই পিএফআই এবং এসডিপিআই-এর সদস্যদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্ট এবং উস্কানিমূলক বক্তৃতার মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে।
তবে বেঙ্গালুরুর ঘটনার পিছনে অন্যান্য আরও অনেক কারণ আছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি, মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক দখলের লড়াই, রাজনৈতিক চাপের কাছে নতমস্তক এবং নিরুৎসাহিত পুলিশ বাহিনী - এমন কিছু বিষয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি করেছিল। এসডিপিআই তারই সুযোগ নিয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।