- Home
- India News
- ফিরে দেখা ২০২০, একের পর এক নির্বাচনে কী করে জয় অব্যাহত রাখল মোদী-অমিত শাহর গেরুয়া শিবির
ফিরে দেখা ২০২০, একের পর এক নির্বাচনে কী করে জয় অব্যাহত রাখল মোদী-অমিত শাহর গেরুয়া শিবির
ফিরে দেখা ২০২০। গতবছর লোকসভা নির্বাচনে নিরঙ্কশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছিল বিজেপি। কিন্তু তারপরেও একটুকু চিড় পড়েনি গেরুয়া শিবিরের আত্মবিশ্বস আর কর্মপদ্ধতিতে। কারও দ্বিতীয়বার দিল্লির মসনদ দখল করার পরেও বিজেপি নেতৃত্ব কঠোর পরিশ্রম করছে একের পর এক নির্বাচনে জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে। সদ্যো বিহার নির্বাচনেও বিজেপ দাপট দেখিয়ে। বাদ যায়নি পুরোসভা বা গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচন। রাজ্যসভা থেকে শুরু বিধানসভা নির্বাচন সবেতেই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করেছে বিজেপি। গত মার্চ মাস থেকেই করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে গোটা দেশ। কিন্তু তারই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়ে রাজ্যসভার ৭০টি আসনের নির্বাচন। সেখান থেকেই জয়েরর মুখ দেখতে শুরু করেছে বিজেপি।
| Published : Dec 14 2020, 02:12 PM IST / Updated: Dec 21 2020, 11:15 AM IST
- FB
- TW
- Linkdin
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন
সিএএ এনআরসি ইস্যুতে যখন উত্তাল গোটা দেশ তখনই দিল্লি বিধানসভা নির্বাচন হয়। ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি একচেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখলেও সাফল্য খব একটা সহজে আসেনি। রীতিমত ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেছিল বিজেপি। ২০১৫ সালের তুলনায় আসন সংখ্যা বেড়েছে বিজেপির। বর্তমানে দিল্লি বিধানসভায় আপে বিধায়ক সংখ্যা ৬২ আর বেজেপির ৮।
বিহার বিধানসভা নির্বাচন
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভা নির্বাচনে দ্বিতীয় সংখ্যা গরিষ্ঠতার বিচারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বিজেপি। প্রথম তেজস্বী যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল। বিজেপির আসন সংখ্যা ৭২। আর আরজেডির আসন সংখ্যা ৭৫। গত ১৫ বছরে এই প্রথম বিজেপি সহযোগী নীতিশ কুমারের জেডিইউ-র থেকে বেশি আসন পেয়েছে। যা দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের চমক ও ভোট রণনীতির ফল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
রাজ্যসভা নির্বাচন
৭৪ আসেন রাজ্যসভা নির্বাচন হয়। সেখানেও বিজেপি রীতিমত সাফল্যের ছাপ রেখে গেছে। কারণ এই প্রথম রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেল বিজেপি। যা বাজপেয়ী-আডবানী জমানায় হয়নি তাই করে দেখালেন মোদী-অমিত শাহ জুটি।
উপনির্বাচন
মধ্যপ্রদেশ, উত্তর প্রদেশে উপনির্বাচনে দলীয় আধিপত্য বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। জ্যোতিরাদিত্যর দলবদলের পর মধ্য প্রদেশের ২৮টি আসনে ভোটের দিকে চোখ ছিল গোটা দেশের। কিন্তু সেখানেই দলীয় নেতৃত্বের কঠোর পরিশ্রম সাফল্য এনে দিয়েছে। অন্যদিকে মণিপুরে হার স্বীকার করে নিতে বাধ্য হয়েছে কংগ্রেসকে। শুধুমাত্র হরিয়ানায় দলীয় আধিপত্য বজায় রাখতে পেরেছে কংগ্রেস।
স্থানীয় নির্বাচন
সদ্যোই ফল প্রকাশ হচ্ছে হায়দরাবাদ পুরসভার নির্বাচনের। সেখানেও স্থানীয় দল টিআরএসের ঘাড়ের ওপর নিঃস্বার ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি। রাজস্থানের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রথম স্থানে রয়েছে গেরুয়া শিবির। একের পর এক পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদ কংগ্রেসের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে।
রাজস্থানে ধাক্কা বিজেপির
তবে রাজস্থানের পুরসভা নির্বাচনে কিছুটা হলেও ধাক্কা খেতে হয়েছে বিজেপি। ১২টি জেলায় ৫০টি পুরসভা ও ৭টি সিটি কাউন্সিলের নির্বাচন হয়। তারমধ্যে কংগ্রেস দখল করেছে ৬২০টি আসন। আর বিজেপির দখলে রয়েছে ৫৪৮টি আসন। চলতি বছরে কেরল ও জম্মু কাশ্মীরের স্থানীয় নির্বাচন চলছে। সেগুলিতে বিজেপি নেতৃত্ব কী ছাপ রাখতে পারে সেটাই এখন দেখার।