ভারতের বাজারে "সিপরেমি"-র পর এবার আসছে করোনার ওষুধ "কোভিফোর", দাম ৫ হাজার টাকারও উপরে
করোনাভাইরাস সংক্রমণের এখনও পর্যন্ত কোনও প্রমাণিত চিকিৎসাপদ্ধতি বেরোয়নি। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসার জন্য রোগীদের অন্য রোগের জন্য অনুমোদিত ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করা হচ্ছে। এদিকে বিশ্বের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে এদেশেও ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা সংক্রমণ। ইতিমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৭০ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গিয়েছে। তবে এর মধ্যেই আশার খবর শোনাচ্ছে ভারতের দুই ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা সিপলা ও হেটেরো। রেমডেসিভিরকে প্রাথমিক ভাবে কোভিড ১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া। যদিও, শুধুমাত্র সংকটজনক করোনা রোগীদের ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে এই ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। তাই ভারতেই এই ওষুধ তৈরি শুরু হয়েছে। রেমডিসিভিরের জেনেরিক ভার্সনের নাম সিপাল যেমন দিয়েছে সিপরেমি, তেমনি হায়দরাবাদের কোম্পানি হেটেরো ল্যাবস লিমিটেডের তৈরি ওষুধটির নাম হচ্ছে কোভিফোর।
| Published : Jun 25 2020, 02:18 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
রেমডিসিভিরকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কোভিড-১৯ রোগীর চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হয়েছে। চিকিৎসায় ইতিবাচক সাড়া মেলায় গুরুতর আক্রান্তদের ওপর এই ওষুধ প্রয়োগ করার অনুমতি দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও দক্ষিণ কোরিয়া। পাশাপাশি, এই ওষুধের পূর্ণ ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে জাপান সরকারও।
গত রবিবারেই, ভারতীয় বাজারে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসায় গিলিড সায়েন্সের তৈরি অ্য়ান্টি-ভাইরাল ওষুধ রেমডিসিভিরের জেনেরিক ভার্সান বিক্রি করার অনুমতি পেয়েছে সিপলা ও হেটেরো ল্যাব।
এদেশে রেমডিসিভিরের দুই জেনেরিক ভার্সন সিপরেমি ও কোভিফোরের দাম নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চা চলছে। এর মধ্যে সিপ্রেমি ওষুধের ১০০ মিলিগ্রামের দাম ৫ হাজার টাকার আশেপাশে রাখার কথা ঘোষণা করেছে সিপলা ফার্মাসিউটিক্যালস।
এবার হায়দরাবাদের কোম্পানি হেটেরো ল্যাবস লিমিটেড কোভিফোরের দাম ঘোষণা করল। তারা জানিয়েছে কোভিড-১৯ ড্রাগের জেনেরিক সংস্করণ এই ওষুধের প্রতি ১০০ মিলিগ্রাম শিশির দাম হবে ৫ হাজার ৪০০ টাকা।
করোনার চিকিৎসায় রেমডিসিভিরের সুফল দেখা দেওয়ার পর ভারতও এই ওষুধ ব্যবহারের ছাড়পত্র দেয়। এই ওষুধের প্রস্তুতকারক মার্কিন সংস্থা গিলিয়েড সায়েন্সেসের সঙ্গে ভারতের সিপলা, হেটেরো ল্যাব ও জুবিল্যান্ট লাইফসায়েন্সের চুক্তি হয়।
এরপর সিপলা এর জেনেরিক ভার্সন সিপরেমি তৈরি করে। হেটেরো ল্যাব বানায় কোভিফোর।
হেটেরো ল্যাবের চেয়ারম্যান পার্থসারথি রেড্ডি জানিয়েছেন, ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমোদনের পরই এই ওষুধ করোনা রোগীদের উপর প্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে রোগীর শারীরিক অবস্থা খতিয়ে দেখে তারপরই এই ওষুধ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
হেটেরো ল্যাবের তরফে জানানো হয়েছে, তারা এই ওষুধের ২০ হাজার শিশি সরবরাহ করবে। যার প্রতি ১০০ মিলিগ্রামের দাম ৫ হাজার ৪০০ টাকা।
সিপরেমি ও কোভিফোর ২টি ওষুধেরই ডোজ কমপক্ষে ৫ দিনের। কোভিফোর করোনা রোগীর শরীরে প্রথমে ২০০ মিলিগ্রাম দেওয়া হচ্ছে। এরপর থেকে ১০০ মিলিগ্রাম দেওয়া হচ্ছে। যদিও সবই হচ্ছে চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে।
তবে ২টি ওষুধের দামই ৫ হাজার টাকার কাছাকাছি হওয়ায় কতজন ভারতবাসী তা ব্যবহার করতে পারবেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। যদিও এনিয়ে এখনও কিছু জানায়নি হেটেরো ল্যাব। অবশ্য সিপলা তাদের ওষুধের দাম নিয়ে পুনর্বিবেচনা করার কথা জানিয়েছে।