মে মাসেই দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ৬৪ লক্ষ, ভয় ধরাল আইসিএমআরএর সিরো সার্ভে রিপোর্ট
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে ভারত লড়াই করছে গত মার্চ মাসের শেষের দিক থেকে। যদিও এই দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্তের হদিস পাওয়া গিয়েছিল ফেব্রুয়ারি মাসে। আর ইন্ডিয়ার কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের সিরো সার্ভে রিপোর্ট অনুযায়ী গত মে মাসেই দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা ছিল ৬৪ লক্ষেরও বেশি। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ে এটাই ছিল আইসিএমআর-এর প্রথম সিরো সার্ভে রিপোর্ট। আর সেই সমীক্ষা রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের ০.৭৩ শতাংশ বা ৬৪,৬৮,৩৩৮ শতাংশ প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষই সেই আক্রান্ত ছিলেন।
| Published : Sep 11 2020, 12:00 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
মে মাসেই দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমিত হয়েছিলেন ৬৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ। তেমনই দাবি করা হয়েছে আইসিএমআরএর সিরো সার্ভে রিপোর্টে।
গত মাসে ১১ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত এই সমীক্ষা চালায় আইসিএমআর। সক্ষীমার জন্য ২৮ হাজারেরও বেশি মানুষের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
সমীক্ষার রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের ০.৭৩ শতাংশ মানুষেই সেই সময় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত ছিলেন।
সবথেকে বেশি সংক্রমংণ ছড়িয়েছিল ১৮-৪৫ বছর বয়েস্কদের মধ্যে। শতাংশের হারে তা ছিল ৩৯.৫ শতাংশ।
৬০ বছরের উর্ধ্বে আক্রান্তের হাত ছিল ১৭,২ শতাংশ। আইসিএমআরএর সক্ষীমার রিপোর্ট অনুযায়ী দেশের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১ শতাংশই সেই সময় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন।
দেশের মোট ৭০টি জেলায় এই সক্ষীমা চালানো হয়েছিল। বাড়ি বাড়ি গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সেই সময় ১৫টি জেলায় কোনও সংক্রমিত ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি বলেও জানিয়েছে আইসিএমআর।
তুলনামূলকভাবে কং সংক্রমিত ছিল ২২টি জেলা। মাঝারি সংক্রমণের তালিয়াভুক্ত করা হয় ১৬টি জেলাকে। সংক্রমণের মাত্রা অনেকটাই বেশি ছিল ১৭টি জেলায়।
আইসিএমআর এর সমীক্ষায় দেখা গেছে,১৫১ অর্থাৎ ০.৫ শতাংশ মানুষ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে এসেছিলেন। ৭০ জন অর্থাৎ ০.৩ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন আগেই ভাইরাল সংক্রমণের জন্য তাঁদের পরীক্ষা করা হয়েছিল।
সংগৃহীত নমুনাগুলিকে চারটি স্তরে ভাগ করা হয়েছিল। প্রতিটি ক্লাস্টার থেকে ৪০০ জন ও প্রতি পরিবারের একজন প্রাপ্তবয়স্কের নাম নথিভুক্ত করা হয়েছিল।
সমীক্ষায় দেখা গেছে সংক্রমিত হওয়ার প্রথম সাত দিন পর থেকে অথবা দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই অ্যান্টিবডি কাজ করতে শুরু করেছে।