ভারতের সঙ্গে জোট বাঁধছে রাশিয়া ও জাপান, চিনের মোকাবিলায় তলে তলে চলছে বড় প্রস্তুতি
- FB
- TW
- Linkdin
লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বরাবর চিনের সঙ্গে ভারতের উত্তেজনা কিছুটা কমলেও পুরোপুরি দূর হয়নি। ভারতের চোখে চোখ রেখে চিন সেনা অপেক্ষা করছে কখন পলক পড়ে। তাই ভারতও চিন সীমান্তে যে কোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি রয়েছে। মজুত রয়েছে প্রচুর ভারতীয় সেনা ও বায়ুসেনার জওয়ান। সামরিক এই প্রস্তুতির পাশাপাশি কূটনীতিক ক্ষেত্রেও তলে তলে চিনের মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে ভারত। একদিকে আমেরিকার সঙ্গে মিলে তৈরি করছে কোয়াড অন্যদিকে রাশিয়ারর সঙ্গেও হাত মিলিয়ে একঘরে করতে চাইছে চিনকে।
জানা যাচ্ছে ভারত ও রাশিয়া একটি ত্রিপাক্ষিক জোট গঠনের জন্য কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা শুরু করেছে। এই জোটের তৃতীয় শরিক হতে পারে জাপান।
রাশিয়া আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে এবং চিনের বন্ধু হিসাবেই পরিচিত। তবে ভারত স্বাধীন হওয়ার সময় থেকেই মস্কো নয়াদিল্লির বিশ্বস্ত বন্ধু। গত সপ্তাহেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে জাপানের সঙ্গে ত্রিদেশীয় জোট গড়ার বিষয়ে আলোচনা করেছে ভারত ও রাশিয়া, এমনটাই জানা গিয়েছে।
দক্ষিণ চিন সাগরের সঙ্গে সঙ্গে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলেও আধিপত্য কায়েম করতে চাইছে বেজিং। এদিকে ভারত মনে করে, এই অঞ্চলটি কোনও নির্দিষ্ট দেশের করায়ত্ব হতে পারে না। সব দেশের এই জলপথ ব্যবহার করার সমান অধিকার রয়েছে। এই অবস্থা কায়েম রাখার লক্ষ্যেই প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে নয়া জোট গড়ার কথা ভাবছোে নয়াদিল্লি।
নয়াদিল্লির বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে এই জোট নিয়ে রাশিয়ার কিছু উদ্বেগ ছিল। গত ৪ অগাস্ট রাশিয়ার বিদেশ প্রতিমন্ত্রী ইগর মোরগুলভ-এর সঙ্গে এই জোটের প্রস্তাব ও প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছেন ভারতের বিদেশ সচিব হর্ষ শ্রিংলা। যারপর থেকে এই জোটে রাশিয়ার যোগ দেওয়া নিয়ে আশাবাদী নয়াদিল্লি।
রাশিয়ার সঙ্গে এই নয়া জোটের পাশাপাশি, ভারত এই মুহূর্তে 'কোয়াড' জোট-এর বিষয়টিকেও আনুষ্ঠানিক রূপ দিতে চাইছে। ২০০৭ সালে জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে-র উদ্যোগে চিনা আগ্রাসনের মোকাবিলার লক্ষ্যেই ভারত, আমেরিকা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া-কে নিয়ে গঠিত হয়েছিল চারদেশিয় জোট কোয়াড। সরকারিভাবে এই জোট গঠিত না হলেও সদস্য দেশগুলি একত্রিতভাবে সামরিক মহড়া, কৌশলগত আদান-প্রদান করে থাকে। ভারতে সরাসরি চিনা আগ্রাসনের পর এই জোট আরও প্রয়োজনীয় হয়ে পড়েছে বলে মনে করেন সামরিক ও কৌশলগত বিশেষজ্ঞরা।