পূর্ব লাদাখ থেকে শিক্ষা নিয়ে রণকৌশলে বড় বদল, উত্তর সীমান্তে শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত
- FB
- TW
- Linkdin
সেনা দিবসের অনুষ্ঠানের কথা জানিয়ে যে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন সেনা প্রধান এমএম নারাভানে সেখানেই তিনি বলেছিলেন যে হুমকির মুখোমুখি হয় শীতকালের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল পূর্ব লাদাখ সীমান্তের জন্য। শীতকালেও মোতায়েন ছিল সেনা বাহিনী। আর সেই ঘটনাই চোকে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে ভারতীয় সেনা বাহিনীর ক্ষমতা। পাশাপাশি সেনা মোতায়েন আর শক্তি বাড়ানো নিয়ে একটি ধারনাও তৈরি হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
সেনা প্রধানের কথায় পূর্ব লাদাখ সেক্টরে একটি সামঞ্জস্য তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। গোটা পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। তিনি বলেন পূর্ব লাদাখের প্রক্রিয়াটি একটি চলমান আর অবিচ্ছিন্ন প্রক্রিয়া। পূর্ব লাদাখের পরিস্থিতি দেখে বোঝো যাচ্ছে উত্তর সীমান্তেও বেশ কিছু পরিবর্তন আনা জরুরি।
সাংবাদিক সম্মেলনের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে সেনা প্রধান স্পষ্ট করে জানিয়েছেন মাউন্টেন স্ট্রাইস কপার্সের কোনও বিভাগ বা বিন্যাস করা হবে না। তবে সেনা বাহিনীরে ৩-৪টি ছোট ছোট যুদ্ধ গ্রুপে ভাগ করা হবে। প্রতিটি গ্রুপের দায়িত্বে থাকবেন একজন মেজর জেনারেল। তিন থেকে চারটি গ্রুপের প্রতিটিতে ১০-১৫ হাজার সেনা থাকবে। সবমিলিয়ে ৪-৫ হাজার থাকে এই বিভাগে।
আগামী দিনে এজাতীয় ১২-১৩টি ব্যাটেল গ্রুপ ইন্টিগ্রেটেড ব্যাটেল গ্রুপ বা আইজিবি তৈরির পরিকল্পনা রয়েছে সেনা বাহিনীর। এটি খুবও দক্ষ সেনাদের নিয়ে পরিচালিত হবে। এই দলের সেনাদের মূলমন্ত্র হবে ভূখণ্ড রক্ষার জন্য সবরকম হুমকি উপেক্ষা করে কাজ করে যাওয়া।
এই দলের সদস্যরা মাত্র ১২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হতে সক্ষম।
২০১৯ সালে আইজিবি গ্রুপের কাজ ইতিমধ্যেই প্রাথমিক পরীক্ষা উত্তীর্ণ হয়েছে হিম বিজয় নামের অনুশীলনে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখার অতি উচ্চতায় এই দলের সদস্যরা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।
ভারত চিনের সঙ্গে ৩.৪৮৮ কিলোমিটার সীমান্ত ভাগ করে নেয়। লাদাখ ছাড়ও অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখণ্ড, হিমাচল প্রদেশে রয়েছে চিন সীমান্ত। ধীরে ধীরে সবকটি রাজ্যেই ধীরে ধীরে সেনার শক্তি বাড়ান হবে। বর্তামানে ৩৫-৪০ হাজার সেনা মোতায়েন রয়েছে এই এলাকায়।