করোনার মাঝেই আরেক যুদ্ধ জয়, ২৩ রকম নিউমোনিয়ার থেকে সুরক্ষা দিতে ভ্যাকসিন বানাল ভারত
- FB
- TW
- Linkdin
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, সেরামের তৈরি নিউমোনিয়ার ভ্যাকসিনের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে সাফল্য মিলেছে। ভ্যাকসিন ট্রায়ালের প্রতিটি পর্যায়ের তত্ত্বাবধান করেছে কেন্দ্রের অধীনস্থ ‘স্পেশাল এক্সপার্ট কমিটি’। ট্রায়ালের রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই ভ্যাকসিনে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে ডিসিজিআই।
মোট তিন পর্যায়ে ২,২২৫ জন শিশুর উপর সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি প্রতিষেধকের ট্রায়াল চলেছে। সবকটি ট্রায়ালের তথ্য বিশ্লেষণ করে সিরাম ইনস্টিটিউট এই প্রতিষেধকটিকে ‘নিউমোকোক্যাল পলিসারাইড কনজুগেট ভ্যাকসিন’ হিসেবে বাজারে ছাড়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
করোনা সংক্রমণের সঙ্গে অনেক ক্ষেত্রেই মিল রয়েছে নিউমোনিয়ার উপসর্গের। তবে করোনা যেমন আরএনএ ভাইরাস ঘটিত একটি রোগ, নিউমোনিয়ার জন্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দায়ি হল ব্যাকটেরিয়া। তবে ব্যাকটিরিয়া ছাড়াও ছত্রাক ও ভাইরাসের সংক্রমণের ফলেও নিউমোনিয়া হতে পারে।
নিউমোনিয়ার ক্ষেত্রে কোভিডের মতোই উপসর্গ দেখা যায়। জ্বর, প্রবল কাশি, বুকে সংক্রমণ এর প্রাথমিক উপসর্গ। সংক্রমণ গভীরে ছড়ালে তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শীতের সময় শুষ্ক আবহাওয়ায় নিউমোনিয়া সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া কিংবা ভাইরাস আরও বেশি সক্রিয় হয়ে ওঠে।
সামান্য ঠান্ডা লাগা থেকেও কারও কারও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। যাঁদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, মূলত, বয়স্ক ও শিশুরাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হয়।
আক্রান্ত রোগীর হাঁচি, কাশি, থুতু থেকে নিউমোনিয়ার জীবাণু ছড়াতে পারে। করোনার মতো একেও ড্রপলেট ইনফেকশন’ বলা হয়। সেরাম জানিয়েছে, এই ভ্যাকসিনের প্রয়োগে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ছে।
জানা গিয়েছে, নিউমোক্কাল পলিস্যাকারাইড ব্যাকটেরিয়ার স্ট্রেন কাজে লাগিয়ে এই ভ্যাকসিন প্রতিষেধকটি বানিয়েছে সিরাম ইনস্টিটিউট। সংস্থার দাবি, তাদের তৈরি এই প্রতিষেধকটি ২৩ রকম নিউমোনিয়ার হাত থেকে সুরক্ষা দিতে সক্ষম। করোনা আতঙ্কের আবহে সিরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি নিউমোনিয়ার টিকা বাজারে আসার খবরে কিছুটা স্বস্তি মিলল।