- Home
- India News
- ৭০ বছরের সম্পর্কে ইতি, ৪ বছরের আইনি লড়াইয়ের পড় ভারাক্রান্ত হৃদয়ে টাটাকে বিদায় মিস্ত্রিদের
৭০ বছরের সম্পর্কে ইতি, ৪ বছরের আইনি লড়াইয়ের পড় ভারাক্রান্ত হৃদয়ে টাটাকে বিদায় মিস্ত্রিদের
- FB
- TW
- Linkdin
সাইরাস মিস্ত্রির পরিবার গত সপ্তাহেই পাল্টা নোটিস পাঠিয়েছিল টাটা সন্সের কাছে। শাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠী টাকা তোলায় বেআইনিভাবে ভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলে টাটা সন্সের পরিচালনা পর্ষদের কাছে নোটিস পাঠিয়েছিল।
টাটা সন্সের ১৮.৩৭ শতাংশ শেয়ার রয়েছে সাইরাস মিস্ত্রি পরিবারে হাতে। করোনা পরিস্থিতি ওই শেয়ার বন্ধক রেখে টাকা তোলার পরিকল্পনা করেছেন মিস্ত্রিরা। আর সেটা আটকাতে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে টাটারা।
তারই প্রেক্ষিতে তাদের কাছে নোটিস পাঠায় মিস্ত্রিরা।এই নোটিসের তিন দিনের মধ্যে টাটাদের উত্তর দিতে বলা হয়েছিল। তা না হলে পুরজি পালোনজি গোষ্ঠী ক্ষতিপূরণ দাবি করবে।
এর পরে মঙ্গলবার টাটা গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা করল মিস্ত্রি পরিবার৷ সংখ্যালঘু শেয়ার হোল্ডারদের মধ্যে মিস্ত্রি পরিবারেরই টাটা গোষ্ঠীতে সবথেকে বেশি অংশীদারিত্ব ছিল৷
টাটাদের শেয়ারের বিনিময়ে বাজার থেকে ঋণ তোলার চেষ্টা করেছিল মিস্ত্রি পরিবার৷ তাতেই আপত্তি জানায় টাটা পরিবার৷ এর পরেই টাটাদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার কথা জানিয়েছে মিস্ত্রি পরিবার৷
মঙ্গলবারই সুপ্রিম কোর্টে টাটা সন্স-এর তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, মিস্ত্রি পরিবারের হাতে থাকা ১৮ শতাংশ শেয়ার কিনে নিয়ে তারা আর্থিক সঙ্কটে পড়া শাপুরজি-পালনজি গ্রুপকে ঋণ পরিশোধে সাহায্য করতে তৈরি৷ যদিও মিস্ত্রি পরিবার চেয়েছিল, তাদের হাতে থাকা টাটাদের শেয়ার বাজারে ছেড়ে তার বিনিময়ে মূলধন জোগাড় করতে৷
এরপরেই মঙ্গলবার ‘‘দুঃখজনক, কিন্তু একসঙ্গে থাকা সম্ভব নয়, এটাই আলাদা হওয়ার সময়’’ এমন বিবৃতি দেয় শাপুরজি পালোনজি (এসপি) গোষ্ঠী।
গত কয়েক বছর ধরেই তিক্ততা চরমে পৌঁছেছিল দেশের নামকরা দুই ব্যবসায়ী পরিবারের। অংশীদার,কর্মচারী, শেয়ার বাজার কারও তা আর অজানা ছিলনা ।
পালোনজি মিস্ত্রির ছোট ছেলে সাইরাস মিস্ত্রিকে চার বছর আগে আচমকাই তাদের চেয়ারম্যান পদ থেকে বিতাড়িত করে টাটারা। তার পরে টাটা-মিস্ত্রির তেতো লড়াইয়ে বারবার উত্তাল হয় দেশ। চার বছর পরে সেই লড়াই থামার ইঙ্গিতও মিলল আচমকাই।
মঙ্গলবার শাপুরজি পালোনজি গোষ্ঠী জানিয়ে দিল টাটা সন্সের সঙ্গে তাঁদের সাত দশকের সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সময় ঘনিয়েছে। এবার বিচ্ছেদ না হলে আরও তিক্ততা তৈরি হতে পারে।
এই ব্যাপারে শাপুরজি কোম্পানির তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “শাপুরজি পালনজি এবং টাটার সম্পর্ক ৭০ বছরের পুরনো। পারস্পরিক আস্থা, বিশ্বাস ও বন্ধুত্বের কারণেই তা সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু আজ শাপুরজি পালনজি গ্রুপ সুপ্রিম কোর্টে জানিয়ে দিয়েছে, টাটার থেকে আলাদা হয়ে যাওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। নইলে এই যে অনন্ত মামলা মোকদ্দমা শুরু হয়েছে তা জীবিকা ও অর্থনীতির উপর প্রভাব ফেলতে পারে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিচ্ছেদের কথা বলতে গিয়ে মিস্ত্রী পরিবারের হৃদয় ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ছে। কিন্তু এও ঠিক যে এর ফলে সকলের স্বার্থই সুরক্ষিত থাকতে পারে।
টাটা সন্সে শাপুরজি পালনজি গ্রুপের ১৮.৪ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে। সেই পরিমাণ শেয়ার দুটি বিনিয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে ধরে রেখেছে মিস্ত্রী পরিবার। হতে পারে সেই অংশীদারিত্ব এবার বিক্রি করে দেবেন তাঁরা।