- Home
- India News
- লাদাখ জট কাটাতে টানা ১৪ ঘণ্টার বৈঠক, সেনা কর্তাদের সঙ্গে হাজির ছিলেন প্রশাসনিক কর্তারাও
লাদাখ জট কাটাতে টানা ১৪ ঘণ্টার বৈঠক, সেনা কর্তাদের সঙ্গে হাজির ছিলেন প্রশাসনিক কর্তারাও
- FB
- TW
- Linkdin
অগাস্ট মাসের শেষেক দিকে আবারও গুলি চলেছিল পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এলাকা। ভারতীয় বাহিনীর পক্ষ থেকে জানান হয়েছিল চিনা সেনা ভারতীয় এলাকায় অনুপ্রবেশ করতে চেয়েছিল। আর চিনাদের আগ্রাসন রুখে দেওয়ার কারণে সতর্কতামূলক গুলি চালান হয়েছিল। তবে তার আগেও ভারত অভিযোগ করেছিল লাদাখে চিনা সেনা প্ররোচনামূলক আচরণ করছে।
লাদাখের পরিস্থিতি ক্রমেই উত্তপ্ত হচ্ছে। সীমান্তে গুলি চলার পর এই প্রথম ভারত ও চিনের সামরিক কর্তারা বৈঠকে বসেন। সোমবার মলডোর চিনা সেনা ঘাঁটিতে বৈঠক হয়। টানা ১৪ ঘণ্টার বৈঠকে সীমান্ত সমস্যা নিয়েই আলোচনা হয়েছে। সেনা সূত্রের খবর ভারত সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর ওপর জোর দিয়েছ।
সেনা সূত্রের খবর, ভারত প্যাংগং, গোগরাসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় দ্রুত সেনা সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। চিনের ওপর চাপ বাড়াতে এদিন ভারতীয় সেনা কর্তাদের পাশাপাশি বিদেশ মন্ত্রকের কর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
দ্রুত সেনা সরিয়ে নেওয়ার রোডম্যাপ তৈরির ওপর জোর দিয়েছে ভারত। যদিও পূর্ব লাদাখের বেশ কয়েকটি এলাকায় ভারত চিনাদের তুলনায় অনেকটাই ভালো অবস্থানে রয়েছে।
তবে সেনা সূত্রের খবর, চিনারা চিরাচরিতভাবে ভারতের কোর্টেই বল ঠেলেছে। চিনের দাবি, এই বিষয়ে ভারতের প্রথম পদক্ষেক করা উচিৎ।
একটি সূত্র জানাচ্ছে ১৪ ঘণ্টা দীর্ঘ বৈঠকের পরেও লাদাখ সীমান্তের উত্তাপ কমাতে তেমন কোনও সমাধান সূত্র খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে দুই দেশের প্রতিনিধিরা আগামী বৈঠকের বিষয়ে আশাবাদী।।
সূত্রে খবর, বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে এখনও মতভেদ রয়েছে। ১৪ ঘণ্টার লম্বা সীমান্ত সমস্যা সম্পর্কে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করা সম্ভব হয়নি। তাই কিছুদিন পরেও বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে।
একটি সূত্র বলছে সীমান্ত উত্তার কমাতে আরও দুটি বৈঠকের প্রয়োজন রয়েছে। গত জুন মাসে গালওয়াল সংঘর্ষ হয়। তারপর থেকে এপর্যন্ত সীমান্ত উত্তাপ কমাকে ভারত ও চিনের মধ্যে এই নিয়ে ৬ দফায় সামরিক বৈঠক হয়েছে। বেশ কয়েকবার কথা বলেছেন সামরিক কর্তারা।
গত সেপ্টেম্বর মাসে মস্কোতেও পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন ভারত ও চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীরা। কথা বলেছিলেন দুই দেশের বিদেশ মন্ত্রীরাও।
চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যরা ভারতের ওপর চাপ বাড়াতে চিন অধিগৃহীত আকসাই চিনে ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সহ প্রচুর মারণাস্ত্রের সম্ভার বাড়িয়েছে।