করোনা-টিকা প্রস্তুতকারক সেরাম কর্তা পুনেওয়ালাদের অন্দরমহল, গতিময় এক সুখী গৃহকোনের ছবি
- FB
- TW
- Linkdin
ভারত তো বটেই, সেই সঙ্গে গোটা বিশ্বের নজর রয়েছে পুনের সেরাম ইনস্টিটিউটের দিকে। কারণ এই সংস্থাই বাতার পেয়েছে অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার বিকাশ করা করোনাভাইরাসের টিকা তৈরির করার। বিশ্বের সর্ববৃহৎ টিকা প্রস্তুতকারক সংস্থাও সেরাম। তারই মালির মাত্র ৩৯ বছরের আদার পুনেওয়ালা।
পুনেওয়ালা জানিয়েছেন প্রথম দফায় তাঁরা ৫০ মিলিয়ন ডোসের টিকা সরবরাহ করতে প্রস্তুস্ত তাঁর সংস্থা। তিনি আরও জানিয়েছেন প্রথম দফায় তাঁর সংস্থার তৈরি টিকা দেশের নাগরিকদের জন্যই সরবরাহ করা হবে। পুনেওয়ালা জানিয়েছেন আর্থিক চুক্তি হয়ে যাওয়ার ৭-১০ দিনের মধ্যেই টিকা সরবরাহ শুরু হয়ে যাবে।
মাত্র ৩৯ বছরের বিশ্বের নজর কেড়েছে আদার পুনেওয়ালা। বাবার তৈরি টিকা তৈরির সংস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেছেন তিনি। গুণমান বজায় রেখে সস্তায় টিকা তৈরি করেই বাজিমাৎ করেছেন তিনি। রকেট গতিতে এসেথে তাঁর সাফল্য
শুধু কর্মক্ষেত্রে নয়, ব্যক্তি জীবনেও গতি পছন্দ আদার পুনেওয়ালার। কারণ পছন্দের প্রাণি হল ঘোঁড়া। তাঁদের আস্তাবলে রয়েছে রেসের মাঠে জয়ী একাধিক ঘোঁড়া। রেসের মাঠে অবাধ যাতায়াত পুনেওয়ালাদের। কারণ রেসের অধিকাংশ ঘোঁড়াই আসত তাঁদের আস্তাবল থেকে।
আদার পুনেওয়ালার সংগ্রহে রয়েছে দেশী বিদেশী নামি দামি গাড়ি। সংগ্রহে রয়েছে ভিন্টেজ কারও।
বিজয় মালিয়ার পার্টিতে আলাপ হয়েছিল নাতাশার সঙ্গে। তারপর ২০০৬ সালে বিয়ে। কর্পোরেট মহলে জনপ্রিয় নাম হলেও বর্তমানে ঘনিষ্ট মহলে আদার পুনেওয়ালা বলে থাকেন নাতাশাই তাঁর সাফল্যের মূলমন্ত্র। দুই ছেলে নিয়ে সুখী পরিবার বলা যেতেই পারে।
ছুটি কাটানোর ক্ষেত্রে গতিই পছন্দ আদার পুনেওয়ালার। স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে সমুদ্রে ভেসে ভেসে ছুটি কাটাতে পছন্দ করেন তিনি।
চূড়ান্ত বৈভব পছন্দ পুনেওয়ালাদের। তা বোঝা যায় তাদের অফিস দেখলে। বাড়িতেও সেই ঐশ্বর্যের ছাপ স্পষ্ট। মার্কিন কনস্যুলেটের অফিসই কিনেছিলেন তাঁরা। মুম্বইতে সেটাই তাঁদের ঠিকানা। আর এই বাড়ি কেনার জন্য আম্বানিদের সঙ্গে আইনি লড়াই করতে হয়েছিল।
অন্দরেও বৈভবের ছাপ স্পষ্ট। বাড়ির অধিকাংশ ঝাড়বাতি আর আসবাপ পড়তি রাজ বা মহারাজাদের থেকে কেনা। আফিস বা বাড়ি সর্বত্রই একই ছবি।
বাবা সাইসার মিস্ত্রিও একজন সফল ব্যক্তিত্ব। সেই বাবাই আদার পুনেওয়ালাকে সাফল্যের রাস্তা দেখিয়েছেন। করোনাভাইরাসের টিকা সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অন্তরায় হয়ে দাঁড়াননি। আদারের কথায় পরামর্শ দিয়েছেন। তাই করোনা বিশ্বে আবারও সাফল্যের মুকুট উঠেছে তাঁর মাথায়।