চতুর্থ দফার লকডাউনে রাজ্যে ও দেশে কী খলো-কী বন্ধ, দেখে নিন এক ঝলকে
গত সোমবার থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে চতুর্থ দফার লকডাউন। ৩১ মে পর্যন্ত চলবে এবারের লকডাউন। এবারে কী করণীয়, কী নয়, সেই সংক্রান্ত গাইডলাইন জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। চতুর্থ দফায় লকডাউনে বেশকিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়েছে। তবে বন্ধও থাকছে নানা পরিষেবা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক কী কী খুলছে আর কী কী বন্ধ থাকছে লকডাউন ফোরে।
- FB
- TW
- Linkdin
এবার জোন ভাগ রাজ্যের ওপর ছাড়া হয়েছে। রেড, অরেঞ্জ আর গ্রিন জোন চিহ্নিতের কাজ রাজ্যগুলোই করবে। সেক্ষেত্রে মানতে হবে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের গাইডলাইন। তৃতীয় দফার লকডাউন অবধি এই জোন চিহ্নিতকরণের কাজ কেন্দ্রের আওতাধীন ছিল।
বাংলায় ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ছে লকডাউন । নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সংক্রমণের তথ্য অনুযায়ী তিনটি জোনে ভাগ করা হবে রাজ্যের রেড জোনগুলিকে । মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন বুথ ও ওয়ার্ডভিত্তিক জোন তৈরি করা হবে। তিনটি জোন যথাক্রমে - এ অর্থাৎ ক্ষতিগ্রস্ত জোন, বি অর্থাৎ বাফার জোন এবং সি অর্থাৎ ক্লিন জোন।
বি ও সি জোনে ২১ তারিখ থেকে খুলে যাবে সেলুন-সহ সব দোকান। সেলুন-পার্লারে কড়া ভাবে স্বচ্ছতা ও সামাজিক দূরত্বের নীতি মানতে হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
সেলুন খোলার ছ'দিন বাদ থেকে রাস্তায় চালু হবে অটো। তবে সর্বোচ্চ দু'জন করে যাত্রী বসতে পারবেন অটোতে।
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ২১ তারিখ থেকেই খুলবে সব বড়, মাঝারি ও ছোট দোকান। ২৭ তারিখ থেকে হকার বাজার খোলার চেষ্টা করা হচ্ছেও বলে জানিয়েছেন। তবে তা নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে পুরসভা ও পুলিশের যৌথ কমিটি।
মূলত জোড় বিজোড় নীতিতেই হকার বাজার খোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে প্রত্যেক দোকানে স্যানিটাইজার রাখা বাধ্যতামূলক বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিভিন্ন জেলার মধ্যেও সরকারি বাস পরিষেবা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বেসরকারি বাস পরিষেবা শুরু করতেও অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়াও একদিন অন্তর অফিস খোলার কথাও জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দূরত্ববিধি মেনে হোটেল খোলায় সম্মতি দিলেও রেস্তোরাঁ বন্ধ থাকবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।লকডাউনের ছাড় ও নিয়ম শিথিল সম্পর্কে জানালেও জমায়েত হলে 'পুলিশ ব্যবস্থা নেবে' বলেও জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'খেলাধুলো চলবে, তবে জমায়েত নয়।'
চতুর্থদফার লকডাউনে রাজ্যের হাতে বেশি ক্ষমতা দেওয়া হলেও যেবিষয়গুলিতে কেন্দ্র নিষেধাগারি জারি রেখেছে তার মধ্যে রয়েছে অন্তর্দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বন্ধ রাখা।
বন্ধ থাকবে মেট্রো রেল পরিষেবাও।
স্কুল, কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে চতুর্থ লকডাউনে।
বন্ধ থাকবে হোটেল-রেস্তোরাঁ। তবে হোম ডেলিভারির জন্য রেস্তোরাঁর রান্নাঘর খোলা রাখা যাবে।
৩১ মে পর্যন্ত বন্ধ সব সিনেমা হল, শপিং মল, জিমন্যাশিয়াম, স্যুইমিং পুল, বিনোদন পার্ক, থিয়েটার, বার, অডিটোরিয়াম।
ক্রীড়াঙ্গন ও স্টেডিয়ামগুলি খোলার নির্দেশ দেওয়া হলেও সেখানে কোনও দর্শককে ঢুকতে দেওয়া হবে না।
লকডাউন ফোরে সব সামাজিক, রাজনৈতিক, বিনোদন, শিক্ষামূলক, সাংস্কৃতিক, খেলাধূলা, ধর্মীয় অনুষ্ঠান ও জমায়েতও নিষিদ্ধ। ধর্মস্থান জনগণের জন্য বন্ধ থাকবে।
৬৫ বছরের উপরে বৃদ্ধ, অন্তঃসত্ত্বা ও শিশুদের বাড়িতে থাকতে হবে।
তবে ছাড় দেওয়া হয়েছে আন্তঃরাজ্য যাত্রীবাহী বাস ও গাড়ির চলাচলে। এই ব্যাপারে অবশ্য সংশ্লিষ্ট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির যৌথ সম্মতির প্রয়োজন।
সর্বাধিক ৫০ জন অতিথিকে নিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। শেষকৃত্যে থাকতে পারবেন সর্বাধিক ২০ জন।
দোকানগুলিতে বলা হয়েছে, গ্রাহকদের থেকে ৬ ফিট দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করতে। রেড জোনে অনাবশ্যকীয় জিনিস বিক্রিতে অনুমতি দেওয়া হয়েছে ই-কমার্সকে।
রিকশা, অটোরিকশা, ট্যাক্সি চলাচলে অনুমতি। খুলবে সেলুন।