করোনা মোকাবিলায় ভেষজ ওষুধ কতটা স্বস্তিত আনবে, কী বলছে আয়ুষ মন্ত্রক
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করছে গোটা দেশ। এই অবস্থায় এখনও কোনও ওষুধ বা প্রতিষেধক আবিষ্কার হয়নি। তবে বিশ্বের বহু জায়গায় বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা চালাচ্ছেন। পিছিয়ে নেই আমাদের দেশও। অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের পাশাপাশি ভারতীয় প্রাচিন আয়ুর্বেদিক শাস্ত্রের ওপরও ভরসা রাখছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে বেশ কয়েকটি ভাষজ গাছকে। আমাদের প্রত্যহিক জীবনেও সেই গাছগুলির ব্যবহার রয়েছে। সেগুলি ব্যবহারে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তবে কেন্দ্রীয় সরকার আগেই ঘরোয়া উপায়ে রোগপ্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে বেশ কয়েকটি নির্দেশ দিয়েছিল।
- FB
- TW
- Linkdin
)
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ক্রমাগত বাড়ছে বিশ্ব জুড়ে। বাদ যায়নি ভারতও। এই অবস্থায় এখনও পর্যন্ত কোনও প্রতিষেধক বা ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু আয়ুষ মন্ত্রক আর্য়ুবেদ চিকিৎসার ওপর ভরসা রাখছে।
সাম্প্রতিক আয়ুষ মন্ত্রক, কাউন্সিল অব সায়েন্টিফিক অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে করোনাভাইরাস উপসমে ব্রতী হয়েছে। অশ্বগন্ধা, গাডুচি, যষ্ঠীমধু, পেপলি দিয়ে তৈরি ওষুধের ক্লিনিক্যাল টেস্টের উদ্যোগী হয়েছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্রথম থেকেই আয়ুষ মন্ত্রক ঘরোয়া উপায়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে একাধিক পরামর্শ দিয়েছিল। ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চললেও ভেষজ ওষুধগুলির গুণাগুণ দেওয়া হল।
অশ্বগন্ধা- সর্দিকাশি থেকে শুরু ভাইরাল ফিবারে চরম উপকারী এই ভেষজ ওষুধ। মানসিক চাপ ও ক্লান্তি কমাতে ম্যাজিকের মত কাজ দেয় অশ্বগন্ধা। আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মতে এই ওষুধটি হার্টের পক্ষে খুবই উপকারী। শরীর চাঙ্গা রাখতেও গুরুপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
গাড়ুচি বা গিলয়-- মানুষকে অমরত্ব দেয় বলেই প্রাচিত সাহিত্যে রয়েছে। কিন্তু আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকদের মধ্যে রোগ নিরাময়ের তীব্র শক্তি রয়েছে এই ভেষজ মূলে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে সক্ষম। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ইমিউনোমডুলেটরির বৈশিষ্ট্য রয়েছে রয়েছে। হজম সমস্যা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যার সমাধান করতেও সক্ষম এটি।
যষ্ঠিমধু- মিষ্ঠি ভেষজ হিসেবেই এটি পরিচিত। অ্যালকোহলিস নামেও পরিচিত। সর্দি কাশি সারাতে খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে। গলার সমস্যার ম্যাজিকের মত কাজ দেয়। একই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম। আলসারের সঙ্গে লড়াই করতে পারে বলেও অনেকেই দাবি করেন।
পেপলি- সর্দি কাশি ব্রঙ্কাইটিসের ক্ষেত্রে কার্যকরী। হাঁপানি ও রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা থাকলে এই ভেষজ রীতিমত ভালো ফল দেয়। রোগ প্রতিরোধেও বিশেষ সহাযতা করে। পেপলি ব্য়াথা সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।
আয়ুষ ৬৪ হল আরও একটি ওষুধ যা নিয়ে এখনও পরীক্ষা চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। একাধিক গুল্ম ও শিকড় সংগ্রহের কাজ চলছে। বলা হয়েছে ওষুধটি ম্যালেরিয়া মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যেই দেখা গেছে করোনা মোকাবিলায় হাইজ্রোক্সাইক্লোরোকুইন যথেষ্ট ভালো সাড়া দিয়েছে। রোগীর সঙ্গে করোনা মোকাবিলায় যাঁরা সামনের সারিতে দাঁড়ি কাজ করছেন তাঁদেরও এই ওষুধ দেওয়া হয়েছে।