চিনকে শায়েস্তা করতে নিজেকে সাজাচ্ছে ভারত, আসছে ১০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম
গত ১৫ জুন গালওয়ান সীমান্তে চিন বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষের পর থেকেই সবরকম পরিস্থিতির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করে রেখেছে ভারত। ১৯৬২ সালের সঙ্গে এখনকার ভারতের যে কোনও মিল নেই সেটাও জানে বেজিং। তাই চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক ভাবে সমস্যা সমাধানের কথা বললেও লাদাখে অতিরিক্ত স্থল সেনা মোতায়েন করেছে ভারত। এবার এয়ার ডমিন্যান্সও শুরু করেছে ভারত। সামরিক শক্তি আরও মজবুত করেই এবার কোমর বেঁধে চিনকে জবাব দিতে নামছে নয়াদিল্লি। আর এর মধ্যেই আমেরিকা, প্রান্স, ইজরায়েল, রাশিয়া থেকে কমপক্ষে আরও ১০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেতে চলেছে ভারত। ফলে এদেশের ওপর দাদাগিরি ফলানো যে অত সহজ হবে না তা টের পাচ্ছে বেজিংও।
| Published : Jun 29 2020, 04:08 PM IST / Updated: Jun 29 2020, 04:15 PM IST
- FB
- TW
- Linkdin
কূটনৈতিক বৈঠকে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরানোর কথা বললেও এখন তা করেনি চিন। বেজিংয়ের এই মিথ্যাচার ধরে ফেলেছে ভারত। তাই সীমান্তে লাল ফৌজের যুদ্ধ হুঙ্কার যখন বাড়ছে তখন লাদাখে প্রায় ৫০ হাজার অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী।
ইতিমধ্যে লাদাখে পৌঁছে গিয়েছে টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাঙ্ক, বসানো হয়েছে জমি থেকে আকাশমুখী ক্ষেপণাস্ত্র, এয়ার সার্ভেল্যান্স সিস্টেম। সামরিক শক্তি আরও মজবুত করতে এবার জোর প্রস্তুতি চালাচ্ছে নয়াদিল্লি।
আমেরিকা, ফ্রান্স, ইজরায়েল ও রাশিয়া থেকে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই কমপক্ষে ১০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেতে চলেছে ভারত।
আগামী মাসে ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে আসছে বিশ্বের প্রথম সারির যুদ্ধবিমান হিসেবে পরিচিত রাফাল। বিমানঘাঁটি কিংবা সমুদ্রের বুকে ভাসতে থাকা বিমানবাহী জাহাজের রানওয়ে থেকে উড়ে গিয়ে শত্রঘাঁটিতে হামলা চালাতে সক্ষম এই রাফাল।
রাশিয়ার কাছ থেকে কয়েক হাজার অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইল, অনেকগুলি টি-৯০ ব্যাটল ট্যাঙ্কের ইঞ্জিন, ট্যাঙ্কের অন্যান্য অংশ, বিপুল সংখ্যক মাল্টিব্যারেল রকেট লঞ্চার কিনেছে ভারত।
রাশিয়ার থেকে বিধ্বংসী এস ৪০০ মিসাইল সিস্টেম কিনছে ভারত। এবার দেশের সুরক্ষায় থাকছে অ্যান্টি-এয়ারক্রাফ্ট ওয়েপন সিস্টেম তথা সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল সিস্টেম।
আরেক বন্ধু ইজরায়েলের থেকে কেনা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের অত্যাধুনিক আনম্যানড এরিয়াল ভিহাইকল বা চালকবিহীন উড়ন্ত যান ও ভারতীয় নৌসেনার জন্য বিপুল সংখ্যক ক্ষেপণাস্ত্র।
ভারতীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে ক্রমাগত গোপন তথ্য আদানপ্রদান করছে আমেরিকা। বিভিন্ন বিষয়েই মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার থেকে গোপন তথ্যের পাশাপাশি স্যাটেলাইট চিত্রের মাধ্যমে ইনপুট পাচ্ছেন ভারতীয় সেনা গোয়েন্দারা। এছাড়া আমেরিকার এক সংস্থার সঙ্গে ছোট আগ্নেয়াস্ত্র কেনার ব্যাপারে চুক্তি করেছে ভারত সরকার।