যুদ্ধ হলে ভারতের পক্ষে দাঁড়াবে কোন কোন দেশ, জেনে নিন জিনপিং সাহায্য পাবেন কাদের
- FB
- TW
- Linkdin
যেভাবে চিনা আগ্রাসন ক্রমেই বাড়ছে তাতে মোটেই খুশি নয় আমেরিকা । ভারত-চিন প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সংঘর্ষকেও ভালো চোখে দেখছে না তারা। এই পরিস্থিতিতে ভারতের পাশেই থাকার ইজ্ঞিত দিচ্ছে আমেরিকা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশসচিব মাইক পম্পেও বলেছেন , ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং ফিলিপিন্সের মতো এশিয় দেশগুলির উপর যেভাবে রণংদেহী মনোভাব নিয়েছে চিন তা যথেষ্টই উদ্বেগের। ব্রাসেলস ফোরামের ভার্চুয়াল সম্মেলনে মার্কিন বিদেশসচিব জানিয়েছেন ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের আগ্রাসনের কারণেই ইউরোপ থেকে মার্কিন সেনার সংখ্যা কমানো হচ্ছে।
আর কয়েক দিনের মধ্যে বড় সংখ্যক মার্কিন সেনা দক্ষিণ এশিয়ায় চলে আসবে বলে নিশ্চিত করেছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও।
দক্ষিণ চিন সাগরকেও কব্জা করতে চাইছে চিন। তাই ভারতের মতো মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপিন্সও চিনা সেনার অবিরাম হুমকির শিকার। ফলে, চিনকে শায়েস্তা করতে ভারতের পাশেই থাকবে এই দেশগুলি।
তাইওয়ানও চিনের আগ্রাসনকে ভাল ভাবে দেখে না। ১৫ জুন লাদাখ সীমান্তে হওয়া সংঘর্ষরে পরেই অশুভ চিনের বিরুদ্ধে ভারত বড় জয় পেয়েছে বলে তাইওয়ান মিডিয়া খবর প্রকাশ করেছে। তাই তাইওয়ানের সমর্থনও যে ভারতের দিকে থাকবে তা বলাই বাহুল্য।
তবে শি জিনপিংয়ের দেশের পাশেই দাঁড়াবে পাকিস্তান সেটা সহজেই বোধগম্য। বরাবরই পাকিস্তান ভারত বিরোধী। আর এই ভারত বিরোধিতা থেকেই চিন ও পাকিস্তান এখন পরম বন্ধু।
পাকিস্তান ছাড়াও চিনের আরেকটি বন্ধু রয়েছে, উত্তর কোরিয়া। যুদ্ধ বাধলে কিমের দেশ চিনকেই সমর্থন করবে সেটাও স্পষ্ট।
যুদ্ধ বাঁধলে আমেরিকার পাশাপাশি জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও ভারতের পক্ষ নিয়ে ময়দানে নেমে পড়বে। ইতিমধ্যে জাপান তাদের মিসাইলের মুখ চিনের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে।
তবে সবচেয়ে বেশি ধোঁয়াশা রয়েছে রাশিয়াকে নিয়ে। রাশিয়া এখনও পর্যন্ত মুখ বন্ধই রখেছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে রাশিয়া কাকে শেষ পর্যন্ত সমর্থন করবে, কার পাশে গিয়ে দাঁড়াবে, তা নিয়ে সন্দিহান গোটা বিশ্ব। এমনকী রাশিয়া নিজেও ধন্দে রয়েছে। তার কারণ, ভারত তার পুরনো বন্ধু। অন্য দিকে, চিনের সঙ্গেও রাশিয়ার সম্পর্ক এখন ভালো। তাই রাশিয়া পুরনো মিত্র নাকি নয়া মিত্রের পাশে দাঁড়াবে তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারেনি।