- Home
- India News
- পুলওয়ামা হামলায় বড় ভূমিকা ছিল এক জঙ্গির প্রেমিকার, ২৩ বছরের রহস্যময়ী সেই নারীর কাহিনি এল সামনে
পুলওয়ামা হামলায় বড় ভূমিকা ছিল এক জঙ্গির প্রেমিকার, ২৩ বছরের রহস্যময়ী সেই নারীর কাহিনি এল সামনে
- FB
- TW
- Linkdin
২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জইস জঙ্গিদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল পুলওয়ামা। সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের ৪০ জওয়ানের প্রাণ গিয়েছিল। সদ্যোই পুলওয়ামা হামলার চার্জশিট পেশ করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর সেই ১৩৫০০ পাতার চার্জশিটে নাম রয়েছে ইনসা জান ও তারিক আহমেদ শাহর। এনআইএর দাবি এঁদের বাড়িতে।
তদন্তকারীদের দাবি ২৩ বছরের ইনসা জান পুলওয়ামা হামলায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিল। হামলাকারীদের খাবার, অস্ত্র, রসদ দিয়ে সাহায্য করেছিল।
জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছেন মহম্মদ উমর ফারুকের সঙ্গে রীতিমত ঘনিষ্ঠতা ছিল ইনসা জানের। ফোন ও একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে উমরের সঙ্গে কথাবার্তা হত ইনসার। তাদের কথাবার্তা কোড ল্যাঙ্গোয়েজে হত। বেশ কিছু কোড ইতিমধ্য়েই উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে বলেও দাবি করেছেন তদন্তকারীরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন ইনসা ছিল উমরের প্রেমিকা। আর তাদের সম্পর্কের কথা জানত ইনসার বাবা তারিক।
জইশ ই মহম্মদের প্রধান মাসুদ আজহারের ভাইপো উমর। ইনসার বাড়িতে ছিল তার অবারিত দার। পুলওয়ামা হামলার দায় স্বীকার করে যে ভিডিও জইস প্রকাশ করেছিল তা ইনসার বাড়ি থেকেই শ্যুট করা হয়েছিল।
তদন্তকারী সংস্থা আরও জানিয়েছে পুলওয়ামা হামলার ব্লু প্রিন্ট তৈরির জন্য পিতাপুত্রী জুটি ১৫টিরও বেশি বৈঠক করেছিল উমর ফারুক, সমীর দার আর আদিল আহমেদেরর সঙ্গে। ২০১৮ -১৯ সালের মধ্যে ইনসার বাড়িতেই তারা আশ্রয় নিয়েছিল। কখনও কখনও চার দিনেরও বেশি ছিল তাদের বাড়িতে।
এনআইএ চার্জশিটে বলা হয়েছে ইনসা জান মুম্বই হামলার মাস্টার মাইন্ড মাসুদ আজহারের ভাইপোকে সুরক্ষা দিয়েছে। পাশাপাশি ভারতীয় জওয়ানদের গতিবিধি সংক্রান্ত খবরই সে সরবরাহ করত।
ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে ইনসা ও তার বাবাকে। তারা পুলওয়ামা জেলার হাকিপোড়া গ্রামের বাসিন্দা। ট্রাকের চালক হিসেবেই ইনসার বাবাকে সবাই চিনত।
এনআইএ-র পেশ করা চার্জশিটে মূল পুলওয়ামা হামলার মূল চক্রী হিসেবে নাম রয়েছে মাসুদ আজহারের। তারই ভাইপো উমর ফারুক পুলওয়ামা হামলায় জড়িত ছিল।
পুলওয়ামা হামলায় মোট ১৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে এনআইএ। জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা দাবি করেছে পুলওয়ামা বিস্ফোরণের জন্য খরচ করা হয়েছিল ৫লক্ষেরও বেশি টাকা।