পূর্ণিমার রাতেই চাঁদের 'কলঙ্ক' হয় পড়ছে মরচে, চন্দ্রযান-১ এর তথ্য থেকে জানাল নাসা
- FB
- TW
- Linkdin
চন্দ্রযান ১ এর পাঠানো ছবি ও তথ্য় বিশ্লেষণ করছে নাসাক জেট প্রোপালসন ল্যাবরেট্ররির বানানো মুন মিনাব়্যালেডি ম্যাপার ইনস্ট্রুমেন্ট। আর সেইখান থেকেই জানতে পারা গেছে চাঁদের রয়েছে বরফ হয়ে যাওয়া জল আর প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ।
চন্দ্রযান ১ এর পাঠান তথ্যগুলি বিশ্লেষণ করতে গিয়ে একাবার রীতিমত আবাক হয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা দেখিয়ে দিয়েছেন চাঁদের গায়ে পড়েছে মরচে।
কিন্তু অক্সিজেন না থাকলে মরচে পড়ে না। তাই কোথা থেকে চাঁদে অক্সিজেন আসছে। সেই তথ্যই খুঁজতে বসেছিলেন তাঁরা। আর তাতেই পেলেন চমকপ্রদ তথ্য। যে পৃথিবীর অক্সিজেন থেকেই চাঁদের গায়ে মরচে ধরছে।
চন্দ্রযান ১ এর তথ্য আর ছবি বিশ্লেষণ করে ছবি আর তথ্য বিশ্লেষণ করে হিমাটাইমের সন্ধান পাওয়া গেছে। এটি লোহার একধরনের অক্সাইড যৌগ। পৃথিবীতে যার নাম মরচে।
কিন্তু দেখা গেছে চাঁদে হাইড্রোজেন তলটি সৌরবায়ুমণ্ডলের প্রভাবে বিস্ফোরিত হয়। যা জারণ প্রক্রিয়াকে বাধা দেয়। তাই কোথা থেকে এক অক্সিজনে তা জানতে তৎপর হয় বিজ্ঞানীরা।
আর সেই সূত্র বিশ্লেষণ করে হাইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের দাবি করেন যে পৃথিবীর উপরের বায়ুমণ্ডলের ওপরিভাগের অক্সিজেনই চাঁদে মরচের প্রধান কারণ। যা কয়েক কোটি বছর ধরে সৌর বাতাসের মাধ্যমে পৌঁছে যাচ্ছে চাঁদে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন চাঁদ যখন পৃথিবীর খুব কাছে ঠিল তখনই চাঁদে মরচে পড়তে শুরু করেছিলে। বর্তমানে ইঞ্চি ইঞ্চি করে চাঁদ পৃথিবী থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের মতে চাঁদের দুই মেরুতেই বরফের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেই এলাকাতেও মরচে পড়েছে।
পৃথিবী থেকে যে অক্সিজেন চাঁদে চলে যাচ্ছে তা জলে পরিণত হতে পারে না। তৈরি হতে পারে না আইড্রোক্সিল আয়ন। আর সেই কাণরেই অনেক ধরনের অক্সাইডের সন্ধান পাওয়া গেছে।
চাঁদে মরচে পড়ে পূর্ণিমার সময়। কারণ এই সময় সৌরবায়ুর হাইড্রোজেনের দাপট কম থাকে। আর অক্সিজেন জলে পরিণত হতে পারে না।