বিশ্বের পঞ্চম সেরা নৌশক্তি ভারতীয় নৌসেনা, নেভি ডে-তে জেনে নিন গর্বের ১০ তথ্য
- FB
- TW
- Linkdin
১৬৬২ সালে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে গঠিত হয়েছিল ভারতীয় নৌসেনা। তখন অবশ্য এর নাম ছিল রয়্যাল ইন্ডিয়ান নেভি। স্বাধীনতার পর ১৯৫০ সালের ২৬ জানুয়ারী বাহিনীর নাম বদলে ভারতীয় নৌসেনা বা ইন্ডিয়ান নেভি করা হয়েছিল।
১৯৬১ সালে গোয়াকে মুক্ত করতে পর্তুগালের নৌবাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযানই ছিল স্বাধীতার পর ভারতীয় নৌবাহিনীর প্রথম স্বতন্ত্র অভিযান।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ভারতের নৌবাহিনী অন্যতম বড় ভূমিকা পালন করেছিল। শুরুর দিকে বহর ছোট আকারের হলেও যুদ্ধের পরবর্তী পর্যায়ে জাহাজ এবং কর্মী সদস্যদের সংখ্যা অনেকগুণে বেড়েছিল। ভারত থেকে ব্রিটেন পর্যন্ত কাঁচামাল ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রি সরবরাহে বিপুল সংখ্যক ভারতীয় বণিক ও বাণিজ্যিক জাহাজ সহায়ক ভূমিকা পালন করেছিল।
একাত্তরের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময়, ভারতীয় নৌসেনা করাচি বন্দরে পাক নৌসেনার সদর দপ্তরে দুর্দান্ত হামলা চালিয়েছিল। 'পিএনএস খাইবার'-সহ পাকিস্তানের বেশ কয়েকটি রণতরী এবং তেল ট্যাঙ্কার অ্যান্টি শিপ ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার ধ্বংস করে দিয়েছিল। এই হামলার দিনটিকেই নেভি ডে বা নৌসেনা দিবস হিসাবে পালন করা হয়।
বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম নৌবাহিনী হল ভারতীয় নৌসেনা। ২০১৫ সালের বিসাব অনুযায়ী, ভারতীয় নৌবাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৫৮,৩৫০ জন। হাতে রয়েছে দুটি বিমানবাহী কেরিয়ার, একটি উভচর ট্রান্সপোর্ট ডক, ৯ টি ল্যান্ডিং শিপ ট্যাঙ্ক, ১০ টি ডেস্ট্রয়ার, ১৫ টি ফ্রিগেট, একটি পারমাণবিক শক্তি চালিত হামলাকারী সাবমেরিন, ১৪ টি সাধারণ হামলাকারী সাবমেরিন, ২৫ টি করভেট, ৭ টি মাইন কাউন্টারমেজার ভেসেল, ৪৭ টি টহলদারী ভেসেল, ৪ বহর ট্যাঙ্কার এবং অন্যান্য সহায়ক ভেসেল।
কেরলের ইজিমালা নৌ একাডেমি এশিয়ার বৃহত্তম নৌ অ্যাকাডেমি।
ছত্রপতি শিবাজি রাজে ভোঁসলে-কে ভারতীয় নৌবাহিনীর জনক বলা হয়। সমুদ্র বাণিজ্য সুরক্ষিত করতে তিনি কোঙ্কন এবং গোয়া উপকূল জুড়ে একটি শক্তিশালী নৌ বহর তৈরি করেছিলেন।
আইএনএস বিরাট ভারতীয় নৌসেনার প্রথম বিমানবাহী রণতরী বা এয়ারক্র্যাফ্ট কেরিয়ার। এটি বর্তমানে বিশ্বের প্রাচীনতম বিমানবাহী রণতরী। আমাদের দ্বিতীয় বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রমাদিত্য। এটি ভারতে তৈরি করা প্রথম বিমানবাহী রণতরী।
ভারতের পারমাণবিক শক্তিধর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত সাবমেরিনগুলির মধ্যে সেরা হল আইএনএস আরিহান্ত। এই ৬০০০ টনের সাবমেরিনটিই হল রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য দেশ ছাড়া অন্য কোনও দেশের তৈরি প্রথম ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রযুক্ত সাবমেরিন।
ভারতের তিন সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ বাহিনীগুলির সেরা হল নৌসেনার বিশেষ বাহিনী মার্কোস বা মেরিন কমান্ডোস। ভারতীয় নৌসেনার অত্যন্ত গোপন অভিযানগুলির দায়িত্ব থাকে এই বাহিনীর উপর। নাগরিক অঞ্চলে মার্কোস সদস্যরা সাধারণত দাড়ি রেখে ছদ্মবেশ ধারণ করেন বলে, সন্ত্রাসবাদীদের কাছে তারা পরিচিত 'দাড়িওয়ালে ফৌজ' হিসাবে। পাহাড়, সমুদ্র, মরুভীমি, জঙ্গল - যে কোনও অঞ্চলে অভিযানে সক্ষম করার জন্য মার্কোস সদস্যদের কঠোর প্রশিক্ষণ নিতে হয়। প্রশিক্ষণ ও নিয়োগের মাঝে বাদ পড়ে যায় ৯০ শতাংশই।