- Home
- India News
- ভারতে ৪ জনের মধ্যে ১ জন করোনা আক্রান্ত, দিল্লিতে ইতিমধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি ২৯ শতাংশের মধ্যে
ভারতে ৪ জনের মধ্যে ১ জন করোনা আক্রান্ত, দিল্লিতে ইতিমধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি ২৯ শতাংশের মধ্যে
- FB
- TW
- Linkdin
ফের একবার দৈনিক সংক্রমণে রেকর্ড গড়ে ফেলল দেশ। এই প্রথম দৈনিক আক্রান্ত ৭০ হাজারের কাছাকাছি পৌঁছে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯,৬৫২ জন। যা এদেশে এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। ফলে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮ লক্ষ ৩৬ হাজার ৯২৬।
এদিকে দেশে করোনা সংক্রমণ নিয়ে আরও আশঙ্কার খবর শোনাল ভারতীয় ল্যাবরেটরি চেইন থাইরোকেয়ার। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরোকিয়াস্বামী ভেলুমণি বলেন, দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যানের থেকে আক্রান্তের সংখ্যা আরও অনেক বেশি।
সারা দেশ জুড়ে করোনার অ্যান্টিবডি টেস্ট করেছে থাইরোকেয়ার। ২ লক্ষ ৭০ হাজারের বেশি অ্যান্টিবডি পরীক্ষা হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে দেশে ইতিমধ্যে ২৬ শতাংশ মানুষের মধ্যে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। যাদের মধ্যে শিশু থেকে শুরু করে সব বয়সী লোকজনই রয়েছে।
গত ৭ সপ্তাহ ধরে দেশের ৬০০টি শহরের উপর সীমাক্ষা চালিয়েছে থাইরোকেয়ার। সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরোকিয়াস্বামী ভেলুমণি বলেন, সমীক্ষা বলছে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশে ৪০ শতাংশ মানুষের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাবে।
এদিকে দিল্লির প্রায় এক তৃতীয়াংশ মানুষের মধ্যে কোভিড -১৯ এর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। রাজধানীতে সাম্প্রতিক সেরোলজিক্যাল সার্ভের রিপোর্টে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।
দিল্লির বাসিন্দাদের অনেকেই নিজেদের অজান্তে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু তাঁদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (অ্যান্টিবডি) তৈরি হওয়ায় তাঁরা সেরেও উঠছেন।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, "দ্বিতীয় সেরো সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে রাজধানীর ২৯.১ শতাংশ বাসিন্দার শরীরে করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠেছে।" অর্থাৎ দিল্লির ৫৮ লক্ষ মানুষের শরীরে এখন অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। ওই সমীক্ষায়আরও দেখা গেছে যে, দিল্লির দক্ষিণ পশ্চিম জেলাতেই সব থেকে বেশি মানুষ অর্থাৎ প্রায় ৩৩.২ শতাংশের মধ্যে এই অ্যান্টিবডির অস্তিত্ব মিলেছে। নয়া দিল্লি এলাকায় সেই তুলনায় এই পরিমাণ কিছুটা হলেও কম। সেখানে ২৪.৬ শতাংশের শরীরে মিলেছে অ্যান্টিবডি।
গত জুলাই মাসে প্রকাশিত ‘প্রথম সেরোলজিক্যাল সার্ভে রিপোর্ট’ জানিয়েছিল, দিল্লির অন্তত ২৩.৪৮ শতাংশ বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্ডিবডি তৈরি হয়েছে। তাঁরা কোনও ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে সেরেও উঠেছেন।
গত জুলাই মাসে প্রকাশিত ‘প্রথম সেরোলজিক্যাল সার্ভে রিপোর্ট’ জানিয়েছিল, দিল্লির অন্তত ২৩.৪৮ শতাংশ বাসিন্দার শরীরে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী অ্যান্ডিবডি তৈরি হয়েছে। তাঁরা কোনও ভাবে করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। পরে সেরেও উঠেছেন।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে যাঁদের শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে তাঁরা মোটামুটি আগামী ৬ থেকে ৮ মাস করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকবেন। "বিজ্ঞানীদের মতে অ্যান্টিবডিগুলো ৬ থেকে ৮ মাস পর্যন্ত প্রতিরোধকারী শক্তি হিসাবে কাজ করবে", একথাও বলেন সত্যেন্দ্র জৈন। মন্ত্রী নিজেও কিছুদিন করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।
এই সমীক্ষাটি দিল্লির মানুষজনের মধ্যে ১ থেকে ৭ অগাস্ট পর্যন্ত চালানো হয়। এর পর আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসেও এমন সমীক্ষা করার পরিকল্পনা রয়েছে দিল্লি সরকারের।
এবারের সমীক্ষার জন্য দিল্লির ১১ টি জেলা থেকে ১৫,০০০ মানুষের রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য় নেওয়া হয়।