আসছে বাদল অধিবেশন, চিন-কোভিড-ফেসবুক - মোদীকে সামলাতে হবে কোন কোন ঝড়ের ঝাপটা
সাধারণত জুলাইয়ের মাঝামাঝি সময়ে শুরু হয় সংসদের বাদ অধিবেশন। কিন্তু এইবার কোভিড মহামারির কারণে এইবার অধিবেশনের সময় অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় ১০ সেপ্টেম্বর থেকে বাদল অধিবেশন শুরু হতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে অন্যান্যবারের থেকে এইবারের অধিবেশ অনেকটাই সংক্ষিপ্ত হবে। তবে সেই সক্ষিপ্ত সময়েই নরেন্দ্র মোদী সরকার-কে মোকাবিলা করতে হতে পারে চিন, কোভিড, ফেসবুক-সহ বেশ কয়েকটি ঝড়ের।
- FB
- TW
- Linkdin
কংগ্রেস দলের সূত্রে জানা গিয়েছে গত মে-জুন মাসে লাদাখ সীমান্তে ঠিক কী ঘটেছিল সেই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকে একটি বিবৃতি দাবি করা হবে। চিনা বাহিনীর অনুপ্রবেশ নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিবেদন এবং ১৯ জুনের সর্বদলীয় বৈঠকে প্রধানমমন্ত্রীর বক্তব্যের গরমিল নিয়ে বিদ্ধ করা হবে।
সেইসঙ্গে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিজেপির নেতা-মন্ত্রীদের প্রতি ফেসবুক ইন্ডিয়ার নিয়মগুলি উপেক্ষা করে পক্ষপাতিত্বের যে অভিযোগ উঠেছে, সেই বিষয়ে একটি যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবি জানানো হবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। ইতিমধ্যে এই বিষয় নিয়ে কংগ্রেস ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকেরবার্গ-কে চিঠি দিয়েছে।
কোভিড -১৯ মহামারি পরিচালনায় সরকারের ব্যর্থতা নিয়েও নোদী সরকারকে বিধতে চলেছে কংগ্রেস। প্রধানমনত্রী সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি করার পরেও ভারত ২ কোটির বেশি কোভিড-১৯ রোগীর নিয়ে বিশ্বে তৃতীয় স্থানে কেন রয়েছে তাই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হবে।
শুধু তাই নয়, কংগ্রেসের অভিযোগ কোভিড ঠেকাতে 'অপরিকল্পিতভাবে' লকডাউন জারি করেছিল মোদী সরকার। যার ফলে বিশাল অর্থনৈতিক সংকট এবং কর্মসংস্থানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তারপরেও সেই লকডাউন মহামারি ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে কেন, সেই প্রশ্ন করা হবে সরকারকে।
পিএম কেয়ার্স ফান্ডের বিষয়েও আলোচনার দাবি তোলা হবে। তহবিলের বিষয়ে স্বচ্ছতার দাবি করা হবে। এতে ঠিক কত টাকা উঠেছে সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হবে। কারা কীভাবে টাকা দিচ্ছে তাও জানানোর দাবি তুলবে কংগ্রেস। জাতীয় ত্রাণ তহবিল থাকা সত্ত্বেও পিএম কেয়ার্স ফান্ড কেন প্রয়োজন হল তাও জানতে চাওয়া হবে।
৩২ টি রাষ্ট্রায়ত্ব সংস্থা বিক্রি এবং রেল এবং বিমানবন্দরগুলি ব্যক্তিগত মালিকানায় হস্তান্তর করার বিষয় নিয়েও প্রতিবাদে মুখর হতে চলেছে কংগ্রেস।
এছাড়া কাজের সংখ্যা আরও হ্রাস পাওয়া, কৃষিক্ষেত্রে এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সঙ্কটের বিষয়েও জোর আওয়াজ তোলা হবে কংগ্রেস সহ বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে বলে মনে করা হচ্ছে। “
তবে শুধু কংগ্রেস নয়, বামদলগুলি, সপা, আরজেডি-র মতো বহু বিজেপি বিরোধী দলই উপরের বিষয়গুলি নিয়ে সরব হতে পারে। জানা গিয়েছে সমালোচনামূলক সব বিষয় নিয়ে সংসদে একটি ঐক্যফ্রন্ট স্থাপনের জন্য অন্যান্য সমমনস্ক বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে শীঘ্রই কথা বলা হবে।