সাংসদদের জন্য আধুনিক আবাসনের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর, ছবির সঙ্গে রইল থুঁটিনাটি তথ্য
- FB
- TW
- Linkdin
সরকারে আসার পর থেকেই সাংসদদের থাকার সমস্যা সামাধানে উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তারই ফলস্বরূপ বিশ্বম্ভর দাস মার্গ এলাকার এই আবাসন। যেখানে রয়েছে ৭৬টি মাল্টিস্টোরেড বিল্ডিং।
নতুন আবাসনে সাংসদদের জন্য বরাদ্দ চার কামরার একটি করে ফ্ল্যাট। সাংসদের জন্য বরাদ্দ থাকবে একটি অফিস।। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকছে সেখানে। আর থাকছে গাড়ি রাখার সুবন্দোবস্ত।
প্রতিটি ফ্ল্যাটে থাকছে শীতাতর নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের আওতায়। বেসমেন্টে কার পার্কিংএর জায়গা থেকেই থাকছে লিফটের ব্যবস্থা। প্রতিটি ফ্ল্যাটই দোতলা। প্রথম তলায় থাকছে সাংসদের অফিস। আর দ্বিতীয় তলে তাঁর ও তাঁর পরিবারের থাকার ব্যবস্থা।
আবাসন তৈরির ক্ষেত্রে সবুজায়নের দিকে জোর দেওয়া হয়েছে। ফ্লাই অ্যাস দিয়ে তৈরি হয়েছে ইট। আর নির্মাণের কাজেও ব্যবহার করা হয়েছে বর্জ্য। বিদ্যুৎ বাঁচাতে ব্যবহার করা হয়েছে এলইডি লাইট।
বিল্ডিংগুলিতে আলো ও শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রে জন্য আলোক সেন্সের লাগানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাতে বিদ্যুতের খরচ কমানো যায়। জল সংলক্ষণের বিশেষ ব্য।বস্থা রয়েছে। বর্ষার জল ধরে রাখার জন্য ছাদে তৈরি হয়েছে রিজার্ভার। আর ছাদে বসানো হয়েছে সোলার প্ল্যান্ট।
ফ্ল্যাটগুলি নির্ধারিতত মূল্যের থেকে প্রায় ১৪ শতাংশ কম খরচে নির্মাণ করা হয়েছে। করোনাভাইরাসের এই মহামারির কারণেই কাজে কোনও ঢিলে দেওয়া হয়নি। প্রায় নির্ধাতিত সময়ের মধ্যেই পরিকল্পনা বাস্তবে রূপায়িত হয়েছে।
২৭ মাসের মধ্যেই ফ্ল্যাটের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। আর খরচ পড়েছে ১৮৮ কোটি টাকা। তিনটি মাল্টি স্টোরেড বিল্ডিং-এর নাম হল গঙ্গা, যমুনা ও সরস্বতী।
কমপ্লেক্সের মধ্যেই রয়েছে কমিউনিটি সেন্টার, গেস্ট হাউস। জলের সুবন্দোবস্ত-সহ একাধিক সুবিধে।
আবাসনের মধ্যেই বসানো হয়েছে ইলেকট্রিক ট্রান্সফর্মার, নিকাশি ব্যবস্থা। সিসিটিভি বসানো রয়েছে। ব্যবস্থা রয়েছে ইউপিএসএর। ইন্টারকম ও টেলিফোনের ব্যবস্থাও হয়েছে। আর রয়েছে ভিডিও ডোর ফোন।