সাবধান, ৭০ লক্ষ ভারতীয় ব্যক্তিগত ও ব্য়াঙ্কের তথ্য ফাঁস হয়েছে ডার্ক ওয়েবে
একজন দুজন নয়, ৭০ লক্ষ ভারতীয় ব্যক্তিগত ও ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে ডার্ক ওয়েবে। আর চাইলে যে কোনও ব্যক্তি সেই তথ্য জেনে নিতে পারবেছেন। সাইবাক সিকিউটিকির গবেষক রাজশেখর রাজহরিয়া জানিয়েছেন, এই মাসের গোড়ার গিকে ডার্ক ওয়েব থেকে গুগুল ড্রাইভের লিঙ্কটির কথা তাঁরা জানতে পেরেছিলেন। এটি ক্রেডিট কার্ডধারীদের তথ্য শিরোনামে একটি প্রকাশ করা হয়েছিল বলেও তিনি দাবি করেছেন। সেখানের ব্যক্তিগত তথ্যের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কী জাতীয় অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে তাও দেওয়া হয়েছে।
- FB
- TW
- Linkdin
৭০ লক্ষ ভারতীয় ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়েগিয়েছে অনলাইনে। ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত ফোননম্বর, ইমেল আইডি, স্থায়ী অ্যাকাউন্ট নম্বরের সঙ্গে প্যানকার্ডের পুরো বিবরণও ফাঁস হয়ে গেছে।
ফাঁস হওয়া ডেটা ২ জিবি আকারে রয়েছে। একটি এক্সেল ফাইলে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেই বিস্তারিত বিবরণ দেওয়া হয়েছে। তারমধ্যে পাওয়া যাবে ব্যবহারকারীর নাম, ব্যবহারকারীর মোবাইল নম্বর, সাইবার গবেষক রাজহরিয়ার কথা এই তথ্য ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের সঙ্গে সম্পর্কিত। আর এই তথ্য স্ক্যামার ও হ্যাকারদের কাছে খুবই মূল্যবান।
রাজহরিয়া জানিয়েছেন, এই মাসের গোড়ার দিকেই ডার্ক ওয়েবে থেকে গুগুল ড্রাইভের লিঙ্কটির সম্পর্কে জানা গেছে। এটি যারা আপলোড করেছে তাদের সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। ক্রেডিট কার্ডধারীদের ডেটা নাম দিয়েই এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
সাইবার বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন এক্সেলফাইলের তালিকাভুক্ত কিছু নাম লিংকডেনে খুঁজে পেয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ট্যুকলার অ্যাপ্লিকেশনের মাধ্যমে তালিকাটি যাঁচাই করে দেখেছিলেন। আর সেখানে নিজের নামও খুঁজেপেয়েছিলেন সাইবার বিশেষজ্ঞ।
তিনি আরও জানিয়েছেন ডেটাগুলিতে ব্যাঙ্কের কোনও স্পষ্ট উল্লেখ নেই। তবে কার্ডধারীদের বিষদ বিবরণ ফাঁস হয়ে গেছে। যেসব কার্ডধারীর তথ্য ফাঁস হয়েছে তাঁরা মোবাইলে সতর্কতা গ্রহণ করতে সক্ষম কিনা তাও বিস্তারিত ভাবে জানান হয়েছে।
এই তথ্য কোন সময় সমস ফাঁস হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। যাদের তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তারা অধিকাংশ পেশাদার কারণ ডেটাগুলি আর্থিক পণ্যগুলির সঙ্গে সম্পর্কিত। ডেটাগুলি কোনও তৃতীয় পক্ষের হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি পুরো বিষয়টি ইনক২৪-কে জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, ডার্ক ওয়েবের মাধ্যে ৭০ লক্ষ ভারতীয় নাগরিকের আর্থিক তথ্য ফাঁস হওয়ায় ঘটনায় ফিশিং বা ম্যালওয়ার আক্রমণ ব্যবহার করা হতে পারে। এই ডেটাগুলি নিয়ে আগামী দিনে জালিয়াতি শুরু হতে পারে।
একটি সূত্র বলছে তথ্যে যেসব ব্যক্তিদের নাম রয়েছে, তারা অধিকাংশই বহুজাতিক সংস্থার কর্মী। তারা নেটদুনিয়া সম্পর্কে সচেতন হওয়ায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কিছুটা হলেও কম। তবে এটাই প্রথমবার নয়। এর আগেও একাধিকবার এজাতীয় ঘটনা ঘটেছে।