পুলওয়ামা হামলার ২ বছর, হামলার জন্য প্রয়োজনীয় রাসায়নিক কেনা হয়েছিল অনলাইনে
- FB
- TW
- Linkdin
সন্ত্রাসবাদীরা এই দিনটিকেই দেশের সেনাদের উপর হামলার জন্য বেছে নিয়েছিল। রাজ্যের পুলওয়ামা জেলার জয়শ-ই-মোহাম্মদের অন্তর্গত এক জঙ্গি বিস্ফোরকবাহী গাড়িতে সিআরপিএফ (CRPF) জওয়ানদের বহনকারী একটি বাসকে ধাক্কা দেয়।
এই ঘটনায় ৪০ জন সেনা শহীদ হন এবং বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। পুলওয়ামার (Pulwama) এই ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। সেই দিনই ভ্যালেনটাইন ডে (Valentine Day) ভুলে, জাতি-ধর্ম ভুলে শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছিল গোটা দেশ। চেয়েছিল রক্তাক্ত প্রতিবাদ।
দেশবাসীর চাহিদা মত দেশের বীর সেনারাও ১৯ ফেব্রুয়ারি বালাকোটের (Balakot) ওই জঙ্গীঘাটিতে করেছিল সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (Surgical Strike)। সেখানে প্রায় ৩৫ জনেরও বেশি সন্ত্রাসবাদী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছিল।
সুদ সহ নিয়েছিল সৈন্যদের প্রতিশোধ। জম্মু ও কাশ্মীরের ৩ বছরের সন্ত্রাসী হামলার ইতিহাসে পুলওয়ামার (Pulwama) এই আক্রমণ সবচেয়ে বড় আক্রমণ বলে মনে করা হয়।
২০২০ সালের মার্চ মাসে একটি প্রতিবেদনে এই ঘটনা সংক্রান্ত একটি চমকপ্রদ ঘটনা প্রকাশ করা হয়েছিল। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, পুলওয়ামার (Pulwama) হামলায় বোমা তৈরির জন্য ব্যবহৃত সমস্ত রাসায়নিক জনপ্রিয় ই-কমার্স সাইট থেকে কেনা হয়েছিল।
এনআইএ (NIA)এই সন্ত্রাসবাদী ষড়যন্ত্রে জড়িত দুজন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছিল, তার পরে বেশ কয়েকটি প্রকাশনা প্রকাশ করা হয়েছিল। ২০২০ সালের মার্চ মাসে শ্রীনগরের ১৯ বছর বয়সী ওয়াইজ-উল ইসলাম,পুলওয়ামা সন্ত্রাসী হামলায় জড়িত ছিলেন।
ইসলাম বলেছিল যে হামলার জন্য বোমা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত জিনিস ই-কমার্স সাইট থেকে কেনা থেকে হয়েছিল। এর মধ্যে রাসায়নিক, তারের ব্যাটারি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস অন্তর্ভুক্ত ছিল। ইসলাম স্বীকার করেছে যে তিনি কেবল সন্ত্রাসী সংগঠন জয়শ-ই-মোহাম্মদের (Jaish e Mohammed) নির্দেশেই এই অনলাইনে শপিং করেছিলেন।
বাংলার দুই বীর সন্তান বাবলু সাঁতরা ও সুদীপ বিশ্বাস-সহ সারা দেশ জুড়ে উত্তরপ্রদেশে ১২, রাজস্থানে ৫, পাঞ্জাব ৪, উত্তরখন্ডের ২, ওড়িশার ২ , বিহার,মহারাষ্ট্রে ২, অসম, কেরল, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, ঝাড়খন্ড, মধ্যপ্রদেশ, জম্মু-কাশ্মীর, হিমাচলের থেকে ১ জন জওয়ান শহীদ হয়েছেন এই হামলায়।
গোটা দেশের মনে আজও জ্বলজ্বল করছে সেই দিনের মর্মান্তিক ঘটনা। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ভালোবাসার দিনের বদলে দেশের Black Day বা কালা দিবস হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
আজ সোশ্যাল মিডিয়ার পাতা খুললেই চোখে পড়েছে বীর শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা ও পুলওয়ামা হামলার স্মরণের সেই দিন।