ভোটের দায় বড় দায়, মাঝসমুদ্রে নৌকো থেকে ঝাঁপ মারলেন রাহুল গান্ধী - দেখুন ছবিতে ছবিতে
- FB
- TW
- Linkdin
নির্বাচনের আগে বুধবার কেরলের কোল্লাম জেলায় মৎসজীবীদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে অংশ নেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। মৎসজীবীদের সঙ্গে তিনি সমুদ্রে মাছ ধরার মহড়াতেও অংশ নেন।
ব্যক্তিগত সুরক্ষা কর্মকর্তাকে নিয়েই এদিন রাহুল গান্ধী চড়ে বসেন জেলে নৌকায়। তাঁর সঙ্গে নৌকায় সঙ্গী হন এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপাল, কেরলের কংগ্রেস নেতা টিএন প্রথাপনসহ অন্যান্য স্থানীয় নেতারা।
মহড়া চলাকালীন, কয়েকজন মৎসজীবীকে মাছ ধরার জন্য জাল ফেলে সমুদ্রে ঝাঁপ দিতে দেখেন রাহুল। নৌকায় থাকা জেলেদের প্রশ্ন করে তিনি জানতে পারেন, সমুদ্রে ঝাঁপানো জেলেরা জলের নীচে ডুব দিয়ে জাল ঠিকঠাক করে সাজাচ্ছেন তাঁরা। এরপরই সময় নষ্ট না করে সমুদ্রে ঝাঁপ দেন রাহুল গান্ধীও।
কেরল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে প্রায় ১০ মিনিট গভীর সমুদ্রে জেলেদের সঙ্গে সাঁতার কাটেন রাহুল গান্ধী। মৎসজীবীদের কাজটা কতটা কঠিন তা অনুভব করতেই তাঁর এই সমুদ্রে ঝাঁপ, বলে জানা গিয়েছে।
পরে মৎসজীবীরা প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতিকে জেলে নৌকায় রুটি এবং তাজা মাছের তরকারি রান্না করেও খাওয়ান। রাহুল জেলেদের আশ্বস্ত করেন, আসন্ন নির্বাচনে তাঁর দল মৎসজীবীদের চাহিদা-প্রয়োজনীয়তাকে নির্বাচনী ইস্তেহারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
পশ্চিমবঙ্গে জোট গড়ে নির্বাচনে লড়ার সিদ্ধআন্ত নিলেও, কেরলে বাম সরকারের সঙ্গে সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নেমেছে কংগ্রেস। ট্রলার নির্মাণ সংক্রান্ত বিতর্কিত চুক্তি নিয়ে ক্ষমতাসীন বামফ্রন্ট সরকার-এর সমালোচনা করেন রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন এই চুক্তি মৎসজীবীদের জীবন-জীবিকার ক্ষতি করবে।
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, কৃষকরা যেমন জমি চাষ করেন, তেমনই মৎসজীবীরা সমুদ্রে চাষ করেন। কৃষকদের জন্য দিল্লিতে পৃথক মন্ত্রক রয়েছে, কিন্তু, মৎসজীবীদের জন্য কোনও মন্ত্রক নেই। দিল্লিতে কেউ মৎসজীবীদের পক্ষে কথা বলে না। কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে প্রথমেই ভারতের জেলেদের জন্য নিবেদিত একটি মন্ত্রক তৈরি করবেন। তাতে করে মৎসজীবীদের সমস্যাগুলির সমাধান হবে।