- Home
- India News
- রাম মন্দির নিয়ে কংগ্রেসের দাবি নস্যাৎ, তালা খোলার বিষয়ে জানতেনই না রাজীব, বিতর্ক উস্কালেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু
রাম মন্দির নিয়ে কংগ্রেসের দাবি নস্যাৎ, তালা খোলার বিষয়ে জানতেনই না রাজীব, বিতর্ক উস্কালেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু
- FB
- TW
- Linkdin
কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ কমল নাথের দাবি, কংগ্রেস শুরু থেকেই রাম মন্দিরের পক্ষে। রাজীব গান্ধীর আমলেই প্রথমবার মন্দিরের শিলান্যাস হয়। সাধারণ মানুষের জন্য মন্দিরের দরজাও খুলে দিতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।
এক সর্বভারতীয় সাক্ষাৎকারে কমল নাথ বলেছেন,”আমি শুরু থেকেই বলছি, মন্দির নির্মাণকে সমর্থন করি। ভারতই একমাত্র দেশ যেখানে সবার সম্মতিতে এভাবে মন্দির নির্মাণ সম্ভব। ভুলে গেলে চলবে না যে ১৯৮৬-তে রাম মন্দিরের দরজা কিন্তু রাজীব গান্ধীই খুলেছিলেন। ১৯৮৯ সালেই একরকম ভূমিপুজো হয়ে গিয়েছিল। রাজীব ভোটের প্রচারেও রামরাজ্যকেই স্লোগান করেছিলেন।”
শুধু কমলনাথ নয়, রামমন্দির বিবাদ ইস্যুতে অনেকেরই ধারণা যে ১৯৮৬ সালে বাবরি মসজিদের দরজার তালা খোলার নেপথ্যে ছিলেন রাজীব গান্ধী।
তবে কংগ্রেসের এহেন দাবিকে নস্যাৎ করে রাজীব গান্ধীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু হাবিবুল্লাহ নিজের বইতে লেখেন, 'আমি প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম মন্দিরের তালা খোলার বিষয়ে তিনি জানতেন কিনা। তাতে তিনি আমাকে জবাব দিয়েছিলেন, কোনও সরকারেরই উপাসনার জায়গা নিয়ে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। আমি এই বিষয়ে বীর বাহাদুর সিংকে (তৎকালীন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী) জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তবে আমার মনে হয় এর পিছনে ছিলেন অরুণ নেহরু এবং মাখল লাল ফতেদার। যদি তা সত্যি হয়, তবে আমাক কোনও একটি পদক্ষেপ নিতে হবে।'
হাবিবুল্লাহ জম্মু ও কাশ্মীর ক্যাডারের একজন প্রাক্তন আইএএস অফিসার। রামমন্দির অধ্যায়ের যেই পর্বের উল্লেখ করা হচ্ছে, সেই সময় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে কাজ করছিলেন হাবিবুল্লাহ।
গতবছর অযোধ্যার জমি বিবাদ মামলার নিষ্পত্তি ঘটিয়ে শীর্ষ আদালত বিতর্কিত জমিটি রামলালা বিরাজমানকে দেওয়ার রায় দেয়। এই পরিস্থিতিতে রামমন্দির নিয়ে বিজেপির পালের হাওয়া কাড়তে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল যে রাজীব গান্ধী রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে ছিলেন।
১৯৮৬ সালে ফৈজাবাদের আদালত রাম জন্মভূমির তালা খোলার এবং সেখানে হিন্দুদের প্রার্থনা করার অধিকার প্রদান করে রায় দিয়েছিল৷ তবে যেদিন এই রায়দান করা হয়, সেদিন নাকি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী দেশের খরা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলেন।
তবে পরবর্তীতে ১৯৮৯ সালের ১৪ অগাস্ট অযোধ্যার বিতর্কিত জমিটিতে যেভাবে পুজো চলছে তা চালু রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। এর পরেই রাজীব গান্ধী শাসিত দিল্লির কংগ্রেস সরকার ভিএইচপি-কে রামমন্দিরের শিলান্যাসের অনুমতি দেয়। রামমন্দিরের প্রথম ইঁটটি স্থাপন করা হয়।
এদিকে কংগ্রেস যতই গলা ফাটাক রাম মন্দির ইস্যুতে নিজের পুরনো দলকে কটাক্ষ করলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াও। তাঁর নিশানায় কার্যত মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমলনাথ এবং কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর। সিন্ধিয়ার কথায়, রাজীব গান্ধী বাবরি মসজিদের তালা খুলেছিলেন কি না, তা জানে না কংগ্রেসই।
গত ৫ আগস্ট রাম মন্দিরের ভূমিপুজোর দিন কমলনাথ বলেছিলেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীই বাবরি মসজিদের তালা প্রথম খুলেছিলেন। সেই প্রসঙ্গেই সিন্ধিয়া বলেন, ‘‘একদিকে তিনি (কমলনাথ) বলছেন রাজীব গান্ধী বাবরি মসজিদের তালা খুলেছিলেন। অন্যদিকে শশী থারুর বলছেন, না তিনি তালা খোলেননি। কংগ্রেস নিজেই জানে না, তাঁদের নেতৃত্ব কী করেছে আর কী করেনি।’’