- Home
- India News
- রাজপথ থেকে কর্তব্যপথ-ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন মুছে গণতন্ত্রের জয়, দেখে নিন এই আইকনিক রাস্তার ইতিহাস
রাজপথ থেকে কর্তব্যপথ-ঔপনিবেশিকতার চিহ্ন মুছে গণতন্ত্রের জয়, দেখে নিন এই আইকনিক রাস্তার ইতিহাস
- FB
- TW
- Linkdin
ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচিত, রাজপথ। ২৬ জানুয়ারি বার্ষিক প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ হয় এই রাস্তাতেই। এটি দেশের প্রধান রাজনৈতিক নেতাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার জন্যও ব্যবহৃত হয়।
আইকনিক তিন কিলোমিটার বিস্তৃত রাজপথের ইতিহাস ১৯১১ সাল থেকে শুরু, যখন দিল্লি ভারতের রাজধানী হিসাবে গড়ে উঠছিল। আসুন জেনে নিই রাজপথের ইতিহাস এবং কীভাবে এটির জন্ম হয়েছিল।
একসময় ব্রিটিশ শাসনামলে 'কিংসওয়ে' নামে পরিচিত, রাজপথ হল একটি আনুষ্ঠানিক বুলেভার্ড যা রাইসিনা হিলসের রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে বিজয় চক এবং ইন্ডিয়া গেট হয়ে পুরানা কিলায় শেষ হয়।
১৯১১ সালে, ব্রিটিশ ইম্পেরিয়াল সরকার এবং ভাইসারেগাল প্রশাসন সিদ্ধান্ত নেয় যে ব্রিটিশ ভারতীয় সাম্রাজ্যের রাজধানী কলকাতা থেকে দিল্লিতে স্থানান্তরিত করা উচিত। সেই অনুসারে, দিল্লি হয়ে ওঠে ভারতের ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের নয়া রাজধানী।
ব্রিটিশ রাজ নতুন শহরটি নির্মাণের জন্য বিংশ শতাব্দীর অন্যতম প্রধান ব্রিটিশ স্থপতি স্যার এডউইন লুটিয়েন্সকে আমন্ত্রণ জানান। লুটিয়েন্স একটি "আনুষ্ঠানিক অক্ষ"কে কেন্দ্র করে একটি আধুনিক সাম্রাজ্যবাদী শহরের ধারণা করেছিলেন, যেমন অক্ষটি এখন রাজপথ নামে পরিচিত বৃহৎ বুলেভার্ড।
লুটিয়েন্স ভাইরেগাল প্রাসাদ থেকে দিল্লি শহরের প্যানোরামিক ভিউ চেয়েছিলেন। ফলস্বরূপ, রাইসিনা হিলসের দৃশ্য রাজপথ এবং ইন্ডিয়া গেট জুড়ে বাধাহীনভাবে দেখা যায় এবং উইকিপিডিয়া অনুসারে শুধুমাত্র ন্যাশনাল স্টেডিয়াম এই পথে পড়ে।
রাজপথের আশেপাশের বেশিরভাগ ভবন লুটিয়েন্স এবং প্রকল্পের দ্বিতীয় স্থপতি স্যার হারবার্ট বেকার ডিজাইন করেছিলেন। স্যার এডউইন লুটিয়েন্সকে নতুন দিল্লির নকশায় তার অপরিসীম অবদানের জন্য 'সর্বশ্রেষ্ঠ ব্রিটিশ স্থপতি' উপাধিতেও ভূষিত করা হয়েছিল যার জন্য শহরটি আগে তার নামে নামকরণ করা হয়েছিল 'লুটিয়েন্স দিল্লি'।
ভারতের সম্রাট পঞ্চম জর্জের সম্মানে এই রাস্তাটির নামকরণ করা হয়েছিল কিংস ওয়ে বা কিংসওয়ে, যিনি ১৯১১ সালের দরবারের সময় দিল্লি সফর করেছিলেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে রাজধানী স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর, রাস্তাটির ইংরেজী পদবীর পরিবর্তে তার হিন্দি নাম 'রাজপথ' দেওয়া হয়।
এই রাজপথ ঔপনিবেশিকতার অন্যতম প্রতীক। তাই মোদী সরকারের লক্ষ্য দেশের গণতন্ত্রকে আরও মজবুত করতে এই ধরণের সব চিহ্নকে মুছে ফেলা। নতুন রাজপথ উদ্বোধনের পর এই পথ ধরে যাতায়াত করতে পারবে জনসাধারণ। কাজের জন্য গত কুড়ি মাস সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ ছিল রাজধানীর এই আইকনিক রাজপথ।
নতুন রাজপথ উদ্বোধনের পর এই পথ ধরে যাতায়াত করতে পারবে জনসাধারণ। কাজের জন্য গত কুড়ি মাস সর্বসাধারণের জন্য বন্ধ ছিল রাজধানীর এই আইকনিক রাজপথ। আগের মতোই পিকনিক, আইসক্রিম খাওয়া, ছবি তোলার সব সুযোগ থাকবে নতুন সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউতে। শুধু বদলে যাচ্ছে নিয়ম-কানুন। পিকনিক বা কেনাকাটার জন্য আলাদা ব্লকে ভাঙা হচ্ছে রাজপথকে।