- Home
- India News
- তৈরি হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিস্ময় 'অঞ্জি খাদ ব্রিজ' - ভারতের প্রথম তারে বাঁধা রেল সেতু, দেখুন প্রথম ঝলক
তৈরি হচ্ছে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিস্ময় 'অঞ্জি খাদ ব্রিজ' - ভারতের প্রথম তারে বাঁধা রেল সেতু, দেখুন প্রথম ঝলক
- FB
- TW
- Linkdin
সেতুটি তৈরি করছে রাষ্টায়ত্ত্ব সংস্থা কোঙ্কন রেলওয়ে কর্পোরেশন লিমিটেড। নদীতল থেকে ৩৩১ মিটার উচ্চতায় নির্মিয়মান এই সেতুটি জম্মু ও কাশ্মীরের কাটরা এবং রেয়াসি উপত্যকাকে সংযুক্ত করবে। এই ব্রিজ-কে ইঞ্জিনিয়ারিং-এর বিস্ময় বলা হচ্ছে, তার কারণ এটির নির্মাণ প্রক্রিয়াতে জড়িত বিবিধ বাধা-বিপত্তি এবং এর নির্মাণ-প্রযুক্তি।
অঞ্জি খাদ ব্রিজটি থাকবে একটিমাত্র পাইলন বা স্তম্ভের উপর। এই পাইলনের উচ্চতা নদীতল থেকে ৩৩১ মিটার। আর ব্রিজটির দৈর্ঘ্য ৪৭৩.২৫ মিটার। পাইলনটি চওড়ায় হবে ৯৪.২৫ মিটার। এর থেকে ৯৬টি কেবল বা তার বেরিয়ে ধরে রাখবে ব্রিজটিকে। এলকাটির ভূতাত্ত্বিক জটিলতার জন্য এখানে আর্ক ব্রিজ তৈরি করা সম্ভব হয়নি। তাই কেবল ব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
পাইলনটির দক্ষতা বাড়াতে 'জাম্প শাটারিং', 'পাম্প কনক্রিটিং'-এর মতো সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। রেল মন্ত্রক জানিয়েছে, এই সব প্রযুক্তি একদিকে শ্রমিকদের উচ্চতর সুরক্ষা দেবে, অন্যদিকে নির্মাণের সময়ও প্রায় ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যাবে। এছাড়া এই ব্রিজের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য সেন্সর স্থাপন করা হচ্ছে। সেগুলির মাধ্যমে সমন্বিত পর্যবেক্ষণের ব্যবস্থা থাকবে। অঞ্জি খাদ ব্রিজ-এর নকশা এমনভাবে করা হয়েছে, যাতে ভারি ঝোড়ো বাতাসেও সেতুটির কোনও ক্ষতি না হয়।
উল্লেখ্য উধমপুর-শ্রীনগর-বারমুল্লা রেল লিংক বা ইউএসবিআরএল প্রকল্পটি জম্মু ও কাশ্মীরের এমন এক অংশে তৈরি হচ্ছে যেখানে সমতল জমি প্রায় নেই বললেই চবলে। ফলে ভারতীয় রেল-কে রেলের লাইন পাতার জন্য একের পর এক সেতু এবং টানেল নির্মাণ করতে হচ্ছে।
সেইসঙ্গে নির্মাণস্থলে বিভিন্ন নির্মাণ সামগ্রী এবং ভারী যন্ত্রপাতি পরিবহনের সুবিধার জন্য যোগাযোগের রাস্তার একটি নেটওয়ার্কও তৈরি করছে তারা। এই ভাবে রেল মন্ত্রক জম্মু ও কাশ্মীরে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা খরচ করে ১ টি টানেল ও সেতু সহ ২০৫ কিলোমিটারেরও বেশি রাস্তা তৈরি করেছে।
ইউএসবিআরএল প্রকল্পের মধ্যেই রয়েছে রিয়াসি জেলার চেনাব নদীর উপর নির্মিয়মান সেতুটিও। নির্মাণকাজ শেষ হলে এটিই হবে বিশ্বের সর্বোচ্চ রেল সেতু। এটি আইফেল টাওয়ারের থেকেও ৩৫ মিটার লম্বা, দৈর্ঘ ১.৩ কিলোমিটার।
ইউএসবিআরএল প্রকল্পের জন্য মোট ২৭,৯৯৯ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। এই প্রকল্পের ফলে জম্মু এবং ভারতের অন্যান্য অংশের সঙ্গে রেল যোগাযোগের মাধ্যমে যুক্ত হবে কাশ্মীর উপত্যকা। এই প্রকল্পে পাতা রেলপথের দৈর্ঘ্য হবে ২৭২ কিলোমিটার।