জট কাটতে চলেছে সেরামের, তিনটি প্রতিষেধক নিয়ে আশাবাদী স্বাস্থ্য মন্ত্রক
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে রবিবারই আশার আলো দেখিয়েছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। তিনি বলেছিলেন আগামী বছর গোড়ার দিতে আসতে পারে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক। তবে দিনক্ষণ নির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। মঙ্গলবার অনেকটা সেই পথেই হাঁটল তাংর মন্ত্রক।
ভারত বায়োটেক আর ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চের যৌথ উদ্যোগে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক নিয়ে রীতিমত সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে প্রতিষেধকটি রীতিমত সুরক্ষিত। বর্তমানে অ্যান্টিবডি তৈরির ক্ষমতা নিয়ে পর্যবেক্ষণ চলছে।
ভারতে করোনাভাইরাসের তিনটি প্রতিষেধকের ট্রায়াল রান চলছে। যা নিয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। কিন্তু সেরাম ইনস্টিটিউট অক্সফোর্ডের যে প্রতিষেধকের ট্রায়াল রান চলাচ্ছিল বর্তমানে তা বন্ধ রয়েছে। সেরাম ড্রাগ কন্ট্রোলারের ছাড়পত্রের জন্য অপেক্ষা করছে বলেও জানিয়েছে। অক্সফোর্ডের প্রতিষেধকটি দ্বিতীয় দফায় বি২ পরীক্ষা শেষ করেছে বলেও জানিয়ে মন্ত্রক।
তৃতীয় প্রতিষেধকটি হল জাইডাস ক্যাডিলার আবিষ্কার করা দেশীয় প্রতিষেধক। সেটিরও দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার ক্লনিক্যাল পরীক্ষা চলছে।
শিয়ার সঙ্গেও করোনাভাইরাসের প্রতিষেধ নিয়ে কথা বার্তা চলছে। ওই প্রতিষেধকটিও এই দেশে তৈরি হতে পারে। তবে এখনও পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে কোনও গবেষণা শুরু হয়নি।
সেরাম আর আইসিএমআর বিদেশে বিকাশকারী দুটি প্রতিষেধক তৈরির বিষয়ে অংশীদার হয়েছে। মন্ত্রকের তরফ থেকে জানান হয়েছে আইসিএমআর আর এসআইআই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি নোভাভ্যাক্স তৈরির বিষয়ে অংশীদার হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে এদিন জানান হয়েছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের চূড়া এখনও এদেশে দেখতে পাওয়া যায়নি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপের দেশগুলি থেকে শিক্ষা নেওয়া হয়েছে। তাই পরিস্থিতি জটিল হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আর ইউরোপের দেশগুলিতে সংক্রমণ কমছে। কিন্তু এখন একটা দ্বিতীয় তরঙ্গ দেখা যাচ্ছে মহামারির। কিন্তু দেশে অনেক আগে থেকেই লকডাউন কার্যকর হওয়ায় মৃত্যুর হার অনেকটাই কমানো গেছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে প্লাজমা থেরাপি নিয়েও মন্তব্য করে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। প্লাজমা থেরাপি ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহার করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের ক্ষেত্রে এটি সফল না অসফল তা এখনও বলার সময় আসেনি। আরও গবেষণার প্রয়োজন।
সংক্রমণ রুখতে ভারত আগের তুলনায় অনেকটাই প্রস্তুত বলে জানান হয়েছে। অক্সিজেন থেকে হাসপাতালের শয্য়া সবদিকেই গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।