- Home
- India News
- মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে জিডিপির অধোগতি, পরিস্থিতি সামল দিতে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই
মুদ্রাস্ফীতির সঙ্গে জিডিপির অধোগতি, পরিস্থিতি সামল দিতে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল আরবিআই
- FB
- TW
- Linkdin
পলিসি রিভিউ মিটিংয়ে রেপো রেট অপরিবর্তিত রাখল ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আরবিআই গভর্নর শক্তিকান্ত দাসের নেতৃত্বে ৬ সদস্যের মনিটারি পলিসি কমিটি বা এমপিসি একথা জানিয়েছে।
অর্থাৎ রেপো রেট ৪ শতাংশই রয়ে গেল, রিভার্স রেপো রেট রইল ৩.৩৫ শতাংশ।
রেপো রেট সেই হার যাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অন্য ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেয়। রিভার্স রেপো রেট হল, যে হারে আরবিআই অন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ গ্রহণ করে।
গত কয়েকদিনে বিভিন্ন ভোগ্যপণ্যের দাম বেড়েছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক চায় ভোগ্যপণ্যের খুচরো মূল্য যেন অপরিবর্তিত থাকে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেন, মনিটারি পলিসি কমিটি সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সব রেট অপরিবর্তিত থাকবে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের লক্ষ্য তিনটি। অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করা। কোভিড ১৯ অতিমহামারী অর্থনীতিতে যে প্রভাব ফেলেছে, তা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করা। মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা।
বর্তমানে দেশ তথা বিশ্বের অর্থনীতির সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। বৃহস্পতিবারের আলোচনার শুরুতে সেই দিকটিই তুলে ধরেন শক্তিকান্ত দাস। তিনি বলেন, করোনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকায় অর্থনীতি চাঙ্গা করতে আনলক করা হয়েছিল। কিন্তু লকডাউন লঘু করার প্রক্রিয়াতেই আবারও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে সংক্রমণ। ফলে আবারও দেশের বহু স্থানে সম্পূর্ণ ও আংশিক লকডাউন। আর তার জেরে আবারও আগের পরিস্থিতিতে দেশের অর্থনীতি।
এদিন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, চলতি অর্থবর্ষের প্রথমার্ধে জিডিপি বৃদ্ধির গ্রাফ নিম্নমুখী থাকবে বলেই মনে করা হচ্ছে। শুধু প্রথম অর্ধেই নয়, করোনা পরিস্থিতির প্রভাব থাকবে সারাবছরই। তাই গোটা ২০২০-২১ অর্থবর্ষতেই দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার নেগেটিভ হবে বলেই মনে করছে আরবিআই।
করোনা পরিস্থিতিতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে সহজে ঋণ প্রদানের বিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। এদিনের ঘোষণাতেও সেই নীতিতে অনড় থাকছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রেপো রেট কম হওয়ায় ব্যাঙ্কগুলিতে কম সুদের হারে ঋণ প্রদানের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে। গত এক দশকে বাজারে এটাই নুন্যতম সুদের হার, জানালেন শক্তিকান্ত দাস।
বাজারে লিকুইডিটি বজায় রাখতে রেপো রেটের ভিত্তিতে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা ন্যাশানাল এগ্রিকালচার অ্যান্ড রুরাল ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক এবং ন্যাশানাল হাউজিং ব্যাঙ্ককে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এর ফলে বাজারে অর্থের তারল্য থাকবে এবং ঋণ প্রদানে সহায়তা হবে। প্রদত্ত ঋণের ইএমআই নিয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্ক নমনীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
লকডাউনের পর থেকে এখনও খুব বেশি বদলায়নি বাজারের পরিস্থিতি। এই দিকটি মাথায় রেখে, আপাতত ঋণনীতিতে খুব বেশি পরিবর্তন আনছে না রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। করোনা পরিস্থিতি সামাল দিতে যা করণীয়, তা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শক্তিকান্ত।
শুধু তাই নয়, করোনা পরিস্থিতিতেও যাতে ব্যাঙ্কের কাজ বন্ধ না হয়, তারও ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে এদিন জানান আরবিআই গভর্নর। তিনি বলেন, "বিশ্বের মধ্যে একমাত্র ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কই এমন কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক, যারা আলাদা কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি রেখেছে আপদকালীন পরিস্থিতিতেও কাজ করার কথা মাথায় রেখে।"