ভারতে করোনা ছড়াচ্ছে সুপার স্প্রেডাররা, নতুন গবেষণায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
ভারতে করোনাভাইরাসের মাত্রাতিরিক্ত সংক্রমণের জন্য দায়ি সুপার প্রেডাররা। সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্রে তেমনই দাবি করা হয়েছে। আর এই সুপার স্প্রেডারদের থেকে নিরাপদ শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বলেও সতর্ক করে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। মোট সংক্রমিত ১০ শতাংশ মানুষই সুপার স্প্রেডার হতে পারে বলেও জানান হয়েছে রিপোর্টে।
- FB
- TW
- Linkdin
সায়েন্স জার্নালে প্রকাশিত গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, ভারতে করোনাভারাসে আক্রান্ত ৮ শতাংশ মানুষের মাধ্যেমে সংক্রমিত হয়েছেন দেশের দুই তৃতীয়াংশ মানুষ।
অগাস্টে তামিলনাড়ু আর অন্ধ্রপ্রদেশের ৩০ লক্ষ মানুষের কন্ট্রাক্ট ট্রেসিং করে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এটি ছিল উন্নয়নশীল দেশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া নিয়ে প্রথম সবথেকে বড় গবেষণা।
গবেষণা পত্রের মূল লেখক রামানন লক্ষ্মীনারায়ণ জানিয়েছেন, মোট সংক্রমিতের ১০ শতাংশ মানুষই রোগটিকে অন্যদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। এদেরই মূলত সুপার স্প্রেডার বলে। এটি শুধু ভারতে নয়। এই ছবি গোটা বিশ্বে।
তিনি আরও বলেছেন, তাঁদের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই যা থেকে স্পষ্ট করে করে জানা যায় সেই মানুষের সংখ্যাটা কত। তবে ৭১ শতাংশ মানুষ করোনাভাইরাসটি দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে দিতে পারেননি।
আইসিএমআরএর সিরোলজিক্যাল সমীক্ষায় দেখা গেছে ১৫ জন ভারতীয়র মধ্যে একজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
নতুন এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে ১৩০ কোটি মানুষের দেশে সংক্রমণ এড়াতে রীতিমত কঠোর লকডাউন পালন করা হয়েছে। আর সেই সময় থেকেই কন্ট্র্যাক্ট ট্রেসিং করা হয়েছে। সেই সময়ই এই তথ্য উঠে আসে।
সমীক্ষা রিপোর্টে বলা হয়েছে ভারতে ৬৫ বা বছর বয়সীদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা অন্যান্য দেশগুলির তুলনায় অনেক কম। ভারতীয়দের গড় আয়ু পশ্চিমের দেশগুলির তুলনায় অনেক কম। তবে যাঁরা সেই বয়স অতিক্রম করে যান সুস্থভাবেই বেঁচে থাকেন বলে এই রোগ প্রতিহত করতে সক্ষম হন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে পরিবারের সদস্য নয় এমন ব্যক্তি ৪০ জনেরও বেশি মানুষকে সংক্রমিত করতে পারেন। তবে ১৪ বছরের কম বয়সীরা মূলত পরিবারের সদস্যদের থেকেই সংক্রমিত হয়।