- Home
- India News
- পারফরম্যান্স রিভিউয়ের পর হতে পারে ছাঁটাই, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আশঙ্কার মেঘ সরকারি কর্মীদের
পারফরম্যান্স রিভিউয়ের পর হতে পারে ছাঁটাই, কেন্দ্রের সিদ্ধান্তে আশঙ্কার মেঘ সরকারি কর্মীদের
- FB
- TW
- Linkdin
৩০ বছরের বেশি সরকারি চাকরি করছেন এমন কর্মীদের দিকে এবার নজর পড়েছে কেন্দ্রের। অযোগ্য কিংবা দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেই চিহ্নিত করে ‘জনস্বার্থে’ আগাম অবসরে পাঠানো হবে তাঁদের।
কর্মীবর্গ মন্ত্রক সূত্রে খবর, প্রতিটি কেন্দ্রীয় দফতরে এই সার্ভিস রেকর্ড রিভিউ চালু হতে চলেছে। সরকারি বেতনভূক কর্মীর কর্মদক্ষতা বিচার করা হবে মৌলিক বিধি ৫৬ (J)এবং ৫৬ (I), এছাড়া সেন্ট্রাল সিভিল রুল ১৯৭২ এর ৪৮ (১) ধারার আওতায়। এই ধারা অনুযায়ী জনস্বার্থে যে কোনও সরকারি কর্মচারীকে অবসর গ্রহণে বাধ্য করার এক্তিয়ার থাকে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সাম্প্রতিক কেন্দ্রীয় সরকার এক নির্দেশিকা বের করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, কোনও সরকারি কর্মীর বয়স ৫০-৫৫ বছর হলে এবং চাকরিজীবনের ৩০ বছর পূর্ণ হলে জনস্বার্থে প্রয়োজনে তাঁকে মেয়াদ ফুরানোর আগেই সরকার অবসর নিতে নির্দেশ দিতে পারে। নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এই সমস্ত ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মী অবসরগ্রহণের পরে যথাযথ হারে পেনশনের সুবিধা পাবেন।
১৯৭২ সালের সিসিএস (পেনশন) নিয়মাবলীর রুল ৪৮ (১) (বি) অন্তর্ভুক্ত কর্মীদের ৩০ বছর চাকরি জীবন অতিক্রান্ত হলে সরকার মনে করলে যে কোনও সময় কর্মীদের পারফর্ম্যান্স রিভিউ করাতে পারে এবং প্রয়োজন হলে তাঁকে অবসরের নির্দেশও দিতে পারে।
অকর্মণ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মীদের চিহ্নিত করতে সমস্ত বিভাগে ৩০ বছরের বেশি চাকরির অভিজ্ঞতা সম্পন্ন কর্মচারীদের সার্ভিস রেকর্ড যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে অবসরে পাঠানোর আগে তাঁকে তিন মাসের নোটিশ দিতে হবে অথবা তিন মাসের বেতন ও প্রাপ্য ভাতা দিতে হবে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়সীমার আগেই অবসরগ্রহণে বাধ্য করা আদৌ কোনও শাস্তি নয়। এটা বাধ্যতামূলক অবসরগ্রহণের নামান্তর। এবং কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিস রুল ১৯৬৫ অনুযায়ী কর্মে বিচ্যুতির জন্য এই নিয়ম লাগু করা যায়। অর্থাৎ ৫০-৫৫ বছর বয়স বা ৩০ বছর কাজ করেছেন এমন যে কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীকে সরকার যে কোনও মুহূর্তে অবসরগ্রহণে বাধ্য করতে পারে জনস্বার্থের বিষয়টিকে সামনে রেখে।
এই রিভিউয়ের জন্য সমস্ত দফতরকে রেজিস্টার তৈরি করার নির্দেশও দিয়েছে কেন্দ্র। সেই সঙ্গে কর্মীদের পার্ফরম্যান্স রিভিউয়ের জন্য বিশেষ রিভিউ কমিটি গঠন করা হবে বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।
কর্মীবর্গমন্ত্রক সূত্রে খবর, অতীতেও বিভিন্ন দফতরে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কোনও ব্যক্তি আন্ডারপারফরমার কিনা তা জানতে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে। তবে এবারের নির্দেশিকা কেন্দ্রের পদক্ষেপ বিষয়ে একটা স্বচ্ছ ধারণা দিচ্ছে। মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, একই সঙ্গে কাজের গতি পর্যবেক্ষণ, কর্মপদ্ধতির মূল্যায়ণ, এবং বাধ্যতামূলক অবসরগ্রহণকে এক ছাতার তলায় আনতে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করছে কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সমস্ত কেন্দ্রীয় দফতরের সেক্রেটারির কাছে এই নির্দেশিকা পাঠানো শুরু হয়ে গিয়েছে।
তবে কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত ভালো চোখে দেখছেন না কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। এই নিয়ে বৃহত্তর আন্দোলনের বিষয়েও ভাবছে বিভিন্ন কর্মী সংগঠন।