প্যান, পেনশন থেকে পিএফ - আধার না থাকলে মিলবে না কোন ১০ পরিষেবা, দেখুন
ক্রমেই ভারতে দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠছে আধার। ২০০৯ সালে ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়া বা ইউআইডিএআই (UIDAI) আধার কার্ড চালু করেছিল। তারপর থেকে বিভিন্ন ক্ষেত্রে শনাক্তকরণের প্রধান নথি হয়ে দাড়িয়েছে আধার কার্ড। গাড়ি ঋণ থেকে শুরু করে পেনশন স্কিম এবং এমনকী আয়কর রিটার্ন দিতে গেলে পর্যন্ত, এখন আধার যাচাইকরণের বাধ্যতামূলক। দেখে নেওয়া যাক ২০২১ সালে, চালু হওয়ার ১২ বছর পর কোন ১০ টি ক্ষেত্রে আধার লাগবেই লাগবে -
- FB
- TW
- Linkdin
বিভিন্ন ধরণের পরিচয়গত প্রমাণের ক্ষেত্রে সর্বাধিক স্বীকৃত এবং ব্যাপকভাবে গৃহীত পরিচয় পত্র হয়ে উঠেছে আধার। বিশেষ করে ঠিকানা, বয়স, লিঙ্গের মতো বিষয়ের প্রামাণ্য হিসাবে আধার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ক্রস-ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়ায় জন্য, ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়ার কাছে প্রত্যেক আধারকার্ডধারীর ৩০টিরও বেশি নথির একটি তালিকা রয়েছে। যার ভিত্তিতে আধারের বিশদ বিবরণ যাচাই করা যায়।
বিদেশ ভ্রমণের জন্য আবশ্যক হল পাসপোর্ট। আর একজন ভারতীয় নাগরিকের পাসপোর্ট পাওয়ার ক্ষেত্রে, যে নথিগুলি অত্যন্ত আবশ্যক, তার মধ্যে একটি হল আধার। সে প্রথমবার পাসপোর্ট তৈরি করা হোক কিংবা পাসপোর্ট পুনর্নবিকরণ করা।
ভারতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ভর্তির আবেদন করতে গেলে পরিচয়ের প্রমাণ হিসাবে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক। েকই কথা প্রযোজ্য, NEET বা তার মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষাগুলিতে বসার আবেদনের ক্ষেত্রেও। ভারতের অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই আধার কার্ডকেই পরিচয়ের প্রমাণ হিসাবে অগ্রাধিকার দেয়।
ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আধার একেবারে বাধ্যতামূলক। বিশেষ করে কেউ যদি সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, কেওয়াইসি-র জন্য আধার লাগবেই লাগবে।
বেশিরভাগ ভারতীয় পরিবারে এখন রান্নার হয় এলপিজি গ্যাসে। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব জ্বালানি সংস্থাগুলিই ই গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহ করে। এই সিলিন্ডারগুলি বুক করার জন্যও, পরিচয় এবং বসবাসের ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে আধার কার্ড প্রয়োজন।
আপনার পেনশন স্কিমের পূর্ণ ব্যবহার করতে গেলে আধার কার্ড বাধ্যতামূলক। আধার কার্ড ছাড়াও পেনশন স্কিমের আওয়ায় আসা যায়। তবে সেই ক্ষেত্রে সমস্ত সুযোগ সুবিধা পাওয়া যায় না।
গণবন্টন ব্যবস্থা বা পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম (PDS)-র আওতায় সারা দেশেই ভর্তুকিকৃত মূল্যে খাদ্যশস্য, চিনি, লবণ এবং অন্যান্য ভোগ্যপণ্য পাওয়া যায়। ই ব্যবস্থার সম্পূর্ণ পরিসরের সুবিধা পেতে হলে, জারি করা রেশন কার্ডের সাথে প্রমাণের জন্য আধার থাকতে হবে।
সংগঠিত শ্রম ক্ষেত্রের অধিকাংশ কর্মচারীই কোনও না কোনও সময়ে প্রভিডেন্ট ফান্ড খোলেন। ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে সরকার ের পূর্ণাঙ্গ সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার জন্য আধারকে পিএফ-এর সঙ্গে যুক্ত করা বাধ্যতামূলক করেছে। ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে, যদি আধারকে পিএফ অ্যাকাউন্টের সঙ্গে যুক্ত না করা হয়, তাহলে কর্মচারী বা নিয়োগকর্তা কোনও পক্ষই পিএফ-এ কোনও অবদান রাখতে পারবে না।
যেসব অনাবাসী ভারতীয়, ভারতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলতে চান, তাদের সনাক্তকরণের জন্য আধার যাচাইকরণ বাধ্যতামূলক। আগে অনাবাসী ভারতীয়দের আধারের আবেদন করার জন্য়ই প্রায় ১৮২ দিন মতো অপেক্ষা করতে হতো। ২০২১ সালের অগাস্ট থেকে এই ব্যবস্থা পরিবর্তিত হয়েছে। এখন আর দেশে আসার পর আর আধারের আবেদনের জন্য আর ১৮২ দিনের অপেক্ষা করতে হবে না তাদের।
চলতি সেপ্টেম্বরের মাসের মধ্যে যদি প্যান কার্ডের সঙ্গে আধার কার্ড লিঙ্ক না করা হয়, তবে প্যান কার্ডটি অবৈধ হয়ে যাবে। আয়কর আইনের ১৩৯-র এএ ধারার আওতায় ২০১৭ সালের ১ জুলাই-ের আগে পর্যন্ত যারা প্যান কার্ড পেয়েছিলেন, তাদের সকলের প্যানকে আধারের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে। অতি সম্প্রতি সরকার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বরের করেছে।