জারি হল আনলক ৫-এর নির্দেশিকা, সিনেমা হল, স্কুল - আর কী কী খুলল
বুধবার আনলক ৫-এর জন্য নতুন নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। ১ অক্টোবর থেকে এই নির্দেশিকা কার্যকর করা হবে। কনটেইনমেন্ট জোনগুলির বাইরে সিনেমা হল, থিয়েটার এবং মাল্টিপ্লেক্সে মতো আরও বেশ কয়েকটি আরও কার্যক্রম চালু করার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। মন্ত্রক জানিয়েছে, এই নতুন নির্দেশিকাটি, প্রত্যেকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সরকার এবং সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় মন্ত্রক এবং বিভাগগুলির সঙ্গে ব্যাপক আলোচনা ও পরামর্শের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। দেখে নেওয়া যাক আনলকের পঞ্চম পর্যায়ে আর কী কী অর্থনৈতিক পরিষেবা খুলল, আর কী কী এখনও বন্ধই রইল -
- FB
- TW
- Linkdin
সিনেমা, থিয়েটার, মাল্টিপ্লেক্সগুলিকে মোট তাদের আসনের ৫০ শতাংশ নিয়ে খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। এর জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক থেকে পৃথক নির্দেশিকা জারি করা হবে।
বিজনেস টু বিজনেস (বি টু বি) প্রদর্শনীগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। এর জন্য বাণিজ্য দপ্তর থেকে নির্দেশিকা জারি করা হবে।
ক্রীড়াবিদদের প্রশিক্ষণের জন্য ব্যবহৃত সুইমিং পুলগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। এই বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসেস জানাবে কেন্দ্রীয় যুব বিষয়ক ও ক্রীড়া মন্ত্রক।
বিনোদন উদ্যান এবং অনুরূপ স্থানগুলি খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। এর জন্য স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক নিকর্দেশিকা জারি করবে।
স্কুলগুলি ফের চালু করার সিদ্ধান্তটি কেন্দ্র, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারগুলির উপরই ছেড়ে দিয়েছে। তারা চাইলে ১৫ অক্টোবর-এর পর থেকে ধাপে ধাপে চালু করতে পারে। এরপরেও অনলাইন ও দূরশিক্ষা-র বিষয়েই শিক্ষার্থীদের উত্সাহিত করা হবে। যেসব স্কুলে অনলাইন ক্লাস চলছে, সেখানে কোনও শিক্ষার্থী স্কুলে গিয়ে ক্লাস করার বদলে যদি অনলাইন ক্লাস করতে চায়, তাকে তার অনুমতি দেওয়া হবে। বাবা-মায়েদের লিখিত সম্মতি থাকলে তবেই শিক্ষার্থীরা স্কুল বা অন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে পারবে। উপস্থিতির হার নিয়ে কড়াকড়ি করা যাবে না। শিক্ষা মন্ত্রকের স্কুল শিক্ষা ও সাক্ষরতা বিভাগ (ডিওএসইএল)-এর জারি করা নির্দেশিকার ভিত্তিতে স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ফের চালু করার জন্য স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা সতর্কতা সম্পর্কে স্থানীয় প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সরকারগুলিকে নিজস্ব নির্দেশিকা তৈরি করতে হবে। স্কুলগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির শিক্ষা বিভাগের জারি করা নির্দেশিকা অনুসরণ করতে হবে।
পরিস্থিতি যাচাই-এর ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের (এমএইচএ) সঙ্গে পরামর্শ করে কলেজ ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি খোলার সময় সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে শিক্ষা মন্ত্রকের উচ্চশিক্ষা দপ্তর (ডিএইচই)। এইক্ষেত্রেও অনলাইন ও দুরশিক্ষা এখনও চালু থাকবে এবং সেই বিষয়েই শিক্ষার্থীদের উত্সাহিত করা হবে। তবে, রিসার্চ স্কলার (পিএইচডি) এবং পরীক্ষাগারের প্রয়োজন এমন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শাখার স্নাতকোত্তর বিভাগের শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে ১৫ অক্টোবর থেকে খোলার অনুমতি দেওয়া হবে। কেন্দ্রীয় অর্থায়নে চলা উচ্চশিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলির প্রধানকে নিশ্চিত করতে হবে যে পরীক্ষাগার ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সংশ্লিষ্ট রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারগুলি।
এতদিন কনটেইনমেন্ট জোনের বাইরে সামাজিক / শিক্ষাগত / ক্রিড়া বিষয়ক / বিনোদনমূলক / সাংস্কৃতিক / ধর্মীয় / রাজনৈতিক এবং অন্যান্য জমায়েতের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১০০ জন উপস্থিত হতে পারবেন। ১৫ অক্টোবরের পরে থেকে ১০০ জনের বেশি মানুষ জমায়েতের অনুমতি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সরকার। তবে এই বিষয়ে কিছু শর্ত রয়েছে।
বন্ধ জায়গায় হলের সর্বাধিক ক্ষমতার ৫০ শতাংশ ব্যক্তি জমায়েত হতে পারবেন, সর্বোচ্চ সীমা ২০০ জন। ফেস মাস্ক, সামাজিক দূরত্ব, তাপমাত্করা মাপা এবং হ্যান্ড ওয়াশ বা স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। খোলা জায়গায় হলে জমায়েতের ক্ষেত্রে কোনও সীমা নেই। তবে জায়গার আকারকে মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্বের কঠোরভাবে বজায় রাখতে হবে, মাস্ক পরা, থার্মাল স্ক্যানিং, এবং হ্যান্ড ওয়াশ বা স্যানিটাইজারের বিধান মানা বাধ্যতামূলক। এই জাতীয় সমাবেশগুলি থেকে কোভিড যাতে না ছড়ায় তা নিশ্চিত করার জন্য রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে, এই জাতীয় সমাবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিশদ নির্দেশিকার জারি এবং কঠোরভাবে তার প্রয়োগ করতে হবে।
এখনও বন্ধ রইল আন্তর্জাতিক যাত্রী বিমান চলাচল। কনটেইনমেন্ট জোনগুলিতে লকডাউন কঠোরভাবে চলবে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত। রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকারগুলি অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে পরামর্শ না করে রাজ্য / জেলা / মহকুমা / শহর / গ্রাম পর্যায়ে স্থানীয়ভাবে লকডাউন জারি করতে পারবে না।