- Home
- India News
- কোভিডের নতুন জটিলতা গুলেন-ব্যারি সিন্ড্রোম, সারা শরীরে পক্ষাঘাত কিংবা নেমে আসতে পারে মৃত্যুও
কোভিডের নতুন জটিলতা গুলেন-ব্যারি সিন্ড্রোম, সারা শরীরে পক্ষাঘাত কিংবা নেমে আসতে পারে মৃত্যুও
- FB
- TW
- Linkdin
মুম্বইয়ে চলছে বিশ্লেষণ
জানা গিয়েছে ভারতের শুধু মুম্বই শহরেই এখনও অবধি ২৪ জন কোভিড রোগীর ক্ষেত্রে গুলেন-বারি সিন্ড্রোম দেখা গিয়েছে। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, ডাক্তার এলএইচ হিরানন্দনী হাসপাতালের স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার মেঘা ধামনের নেতৃত্বে এখন বেশ কয়েকজন ডাক্তার কোভিড রোগীদের মধ্যে এই সিন্ড্রোমের বিকাশের কারণ বিশ্লেষণ করার চেষ্টা করছেন। গবেষণাটি আগামি তিন সপ্তাহের মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে। কোথায় কোথায় কোভিড রোগীদের মধ্যে জিবি সিন্ড্রোম দেখা যাচ্ছে তা মানচিত্রকরণ করা এবং তাদের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
গুলেন-ব্যারি সিনড্রোম কী?
গুলেন-ব্যারি সিনড্রোম একটি বিরল অটোইমিউন ডিসঅর্ডার। এইক্ষেত্রে কোনও ব্যক্তির দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তার স্নায়ুগুলিকে আক্রমণ করে। দুর্বলতা এবং জড়তা এর প্রাথমিক লক্ষণ। তবে এই সংবেদন দ্রুত সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে পুরো শরীর পঙ্গু করে দিতে পারে। এমনকী হৃৎপিণ্ডের স্নায়ু কর্মক্ষমতা হারানোর ফলে হৃৎপিণ্ড কাজ করা বন্ধও করে দিতে পারে।
এই সিনড্রোমের লক্ষণগুলি কী কী?
- শুরুতেই পায়ের আঙুল, গোড়ালি, এবং হাতের আঙুল ও কব্জিতে অসাড়তা কাজ করে
- তারপর শুরু হয় দুর্বলতা, বিশেষ করে পা দগুর্বল হয়ে হাঁটার ক্ষমতা হারিয়ে যেতে পারে
- ডাবল ভিশন অর্থাৎ যে কোনও বস্তু দুটি দুটি করে ধরা পড়ে চোখে
- চোখের মণি সরাতে অক্ষম হয়ে পড়েন কেউ কেউ
- হৃৎস্পন্দনের গতি বেড়ে যায়
- রক্তচাপের ওঠানামা শুরু হয়
- ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে অসুবিধা হতে থাকে
- সারা শরীরে ঝিনঝিনে ব্যথা হতে থাকে
গুলেন-ব্যারি সিনড্রোমের কারণ কী?
এই সিন্ড্রোমের কোনও সঠিক কারণ জানা যায়নি। তবে এটা একটা স্নায়বিক প্রতিক্রিয়া। ইতিমধ্যেই প্রমাণিত যে করোনাভাইরাসের কারণে স্নায়ুতন্ত্রের উপর প্রভাব পড়ে। ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস হতে পারে। গবেষকরা মনে করছেন কোভিড রোগীদের শরীরে গুলেন-ব্যারি সিন্ড্রোম দেকা যাওয়ার পিছনে সম্ভবত কোভিডের স্নায়বিক প্রভাবই দায়ী।
গুলেন-ব্যারি সিন্ড্রোমের চিকিত্সা
কোভিডের মতোই এই সিন্ড্রোমের কোনও নির্দিষ্ট চিকিত্সা পদ্ধতি এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তবে প্লাজমা এক্সচেঞ্জ এবং ইমিউনোগ্লোবিন থেরাপির মাধ্যমে এই সিন্ড্রোমের মোকাবিলা করা যায়। অসুস্থতার তীব্রতা কমাতে কিছু ওষুধও রয়েছে। কিন্তু, নির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা এখনও নেই।